চি ত্ৰ ক লা সম্প্রতি একাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘পেন্টার্স এইটি’ শিল্পগোষ্ঠীর বার্ষিক প্রদর্শনী, মোট দশজন সদস্যের কয়েকটি করে কাজ নিয়ে। অধিকাংশ ছবির মধ্যেই যে-মূল সুরটি প্রচ্ছন্ন হয়ে থাকতে দেখি, তা হল বিষণ্ন ও বিধ্বস্ত যাপনের অ-সরলরৈখিক আখ্যান, তা শিল্পীরা দেখেছেন ও দেখিয়েছেন নিজস্ব এবং স্বতন্ত্র ভঙ্গিতে। এখানে স্মৃতিময় অতীত রয়েছে, সম্ভাবিত আশ্বস্ত ভবিষ্যৎ-ও, এবং এই দু'টি মেরুর মধ্যে যে-যাতায়াতের রাস্তাটি, সেখানে বিবিধ স্থানাঙ্কের মতো জেগে থাকতে দেখি নানাপ্রকার অসহায়তার কাহিনিকে স্মৃতিও এই অসহায়তার অংশ, কারণ তার মধ্যে আশ্রয়ের একটা আদল থাকলেও বস্তুত তা বর্তমানের অপরিপূর্ণতাকেই নির্দেশ করে। দৃশ্যসঙ্কেত ও তার নির্দেশিত অর্থের যে সাধারণ, প্রচলিত সম্পর্ক, সে-সমস্তই প্রশ্নের মুখে পড়ে কখনও-কখনও, এবং এই সাবভার্ট করার প্রবণতা থেকে তৈরি হতে থাকে অন্যতর অর্থসম্ভাবনাও। এই বিষয়টি নির্দিষ্টভাবে লক্ষ করা যায় অমিত চক্রবর্তীর দু’টি কাজের ক্ষেত্রেই। দু’টি ছবির শিরোনামই ‘স্টোরি অফ ল্যাডারস'। তাঁর মইগুলি নিরালম্ব, খানিকটা ভঙ্গুর হলেও প্রথম ছবির সিঁড়িটি কিন্তু জমিতে দৃঢ়প্রোথিত। তা বহুদূর পেরিয়ে গেছে শহরের আকাশরেখাকে, একেবারে শিখরে একটি মহার্ঘ সিংহাসন কাত হয়ে পড়ে আছে আধুনিক-দর্শন একটি কেজো চেয়ারের ওপর! তাঁর এই কথনের বিস্তার নানাবিধ, সব মিলিয়ে যা প্রথমেই মনে হয় তা হল, শিল্পী একাধিক বাইনারি-যুগ্মকে একত্রে আনার চেষ্টা করেছেন। প্রোথিত-নিরালম্বের ব্যাপারটি বাদ দিলেও স্থাণুত্ব ও ঊর্ধ্বগতির পরস্পরবিরোধও তাঁর অন্যতম বিষয় বলে মনে হয়, বিশেষত যখন কূপমন্ডুকদের সারি আমরা দেখতে পাচ্ছি দ্বিতীয় ছবির নীচে, এবং প্রথম ছবির উপরে, এবং এইভাবেই উচ্চ-নীচ, উন্নতি-অগ্রগতির পুনর্পাঠ চলেছে ছবি জুড়ে। এই বোধ আরও দৃঢ় হয় যখন আমরা লক্ষ করি কীভাবে মইয়ের অবয়ব মিশে যাচ্ছে অট্টালিকার সঙ্গে, প্রাপ্তি-প্রাচুর্য ও উচ্চাসীনতার অর্থান্তর আছড়ে পড়ছে বিচ্ছিন্নতার এলাকায়! তবে এ কথাও মনে রাখতে হবে যে, সিঁড়ি বা মইয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগত অথবা সামূহিক অগ্রগতির যে-জটিল প্রতীকী সম্পর্ক রয়েছে, তা নতুন নয়, বিভিন্ন প্রসঙ্গে ও বিবিধ আঙ্গিকে আমরা তা বহুদিন যাবৎই দেখছি।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।