বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবস্থান নিয়ে আলোচনায় বিতর্ক আর বিহ্বলতার দান প্রায় সমান সমান। বিতর্ক তাঁর প্রতিভা নিয়ে ততটা নয়, যতটা প্রতিভার প্রয়োগ নিয়ে, ব্যবহার নিয়ে। রবীন্দ্রনাথ, নজরুলকে সারা জীবনই প্রায় সমাদরই করেছেন, একবার শুধু নজরুলের ‘খুন' শব্দের ব্যবহার নিয়ে তাঁর আপত্তির কথা প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন। নজরুল সেই আপত্তি গ্রহণ করেননি, বরং গদ্যে ও কবিতায় তার বিরোধিতাই করেছেন। তবে বাংলা সাহিত্য পাঠকের কাছে, যাঁরা কাজী নজরুল ইসলামের লেখা পড়েন তাঁদের কাছে, নজরুল সম্পর্কে যে-ধারণা এখনও প্রতিষ্ঠিত, তার প্রায় পুরোটাই তৈরি করে দিয়েছেন বুদ্ধদেব বসু। পরে-পরেই আছেন জীবনানন্দ দাশ। তার পরেও অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য কিছু লেখা ও বই, বিশেষ করে বাংলাদেশে, নজরুল ইসলাম সম্পর্কে প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু নজরুল সম্পর্কে পাঠকের সাধারণ বিবেচনায় খুব একটা টোল পড়েনি। এই পাঠকদের মধ্যে দুটো স্তর আছে। একটা অংশের পাঠক মূলত এলিট, নিজেরাও কমবেশি, লেখক, শিক্ষিত, অল্পবিস্তর সচেতনও বলা যায়। তাঁরা মনে করেন, নজরুল ইসলাম সারা জীবনই লিখেছেন উচ্চগ্রামে, বুদ্ধদেব বসুর ভাষায় ‘প্রতিভাবান বালকের' মতো। তাঁর রচনায় দার্ঢ্য ছিল, সংহতি ছিল না। উদারতা ছিল, সংযম ছিল না। রবীন্দ্রনাথ এবং তিরিশের দশকের কবিদের মধ্যবর্তী অসংগঠিত অবস্থানে নজরুল-সহ আরও কয়েকজনকে দেখতে চান তাঁরা। সেই কয়েকজনের মধ্যে আছেন মূলত, মোহিতলাল মজুমদার ও যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। তবে এই তিনজনের মধ্যে নজরুলের অবস্থানই যে সবচেয়ে জোরালো ও সরব, সেটা নিয়ে প্রায় সকলে একমত। দ্বিতীয় স্তরের পাঠকরা নজরুলকে ‘বিদ্রোহী' কবি হিসেবে গ্রহণ করে, প্রচার করে এবং প্রণাম করে নিশ্চিন্ত থাকতে চান। ‘বিদ্রোহী' কবিতাটিই তাঁদের কাছে নজরুলের প্রথম এবং শেষ রচনা। কেউ কেউ ‘কাণ্ডারী হুঁশিয়ার' বা এইরকম আরও কিছু কবিতার নামও জানেন। আর বিশেষ করে আবৃত্তিকারদের সৌজন্যে নজরুলের নির্দিষ্ট কিছু কবিতা জনমনোরঞ্জক হয়েছে।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।