এত দিন তাহলে আমি কোথায় ছিলাম? এত দিন কি তাহলে একটা জলের বাস্কেটের মধ্যে খলবল করে গেলাম? প্রকৃত মাটি কি ছিল না পায়ের তলায়? যদি পঞ্চাশ বছরের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে হঠাৎই একদিন উপলব্ধি করি যে, হ্যাঁ, তাই তো, ইয়ে আজাদি ঝুটা থা, ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়—তা হলে যাপিত ও উদযাপিত জীবনকে প্রকাণ্ড একটা ফাঁকি বলে মনে হতে বাধ্য, মনে হতে বাধ্য যে, অস্তিত্বের জায়গায় আসলে রয়েছে বিরাট একটা শূন্যতা। এবং সেটাই ঘটেছে গত ৯ অগস্ট রাতে আরজি কর হসপিটালের চেস্ট ডিপার্টমেন্টে ঘটে যাওয়া অবর্ণনীয়, ঘৃণা উদ্রেককারী, ভয়ের চোরাস্রোতে তলিয়ে যাওয়ার মতো হিংস্রতা, ধর্ষণ, খুন ও সমস্ত দুর্বৃত্তি চাপা দেওয়ার নিদারুণ ঘটনাটি সামনে আসার পর। যত সময় গেছে ততই যেন হাঙরের মতো তেড়ে আসা ভয়ের দাঁতগুলো বড় হয়েছে। যত বুঝেছি আসল বিষয়টা আসলে কী, ততই গভীর হয়েছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহীনতা, সমষ্টির নিরাপত্তাহীনতা। তত যেন নিজের ভিতরে নিজের শরীরের যে-কঙ্কাল, তার আতঙ্ক টের পেয়েছি। টের পেয়েছি যে, এ আসলে দুর্বৃত্তি শুধু নয়, দুর্বৃত্তায়ন, দুর্বৃত্তিকরণ। ভেবে চিন্তে, ঠান্ডা মাথায়, ধীরে ধীরে মানুষের বাঁচার অধিকার, মানুষের সেফটি-সিকিয়োরিটি, মানুষের ইনটেগ্রিটিকে শেষ করে দেওয়া চলছে এ রাজ্যে। মেয়েদের নিরাপত্তাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়ে শাসক দল ও তাদের আনুগত্যের বৃত্তের মধ্যে থাকা চরম দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মচারী, পুলিশ এবং বাপে তাড়ানো, মায়ে খেদানো গুন্ডাদের পারস্পরিক সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে এমন একটা নেক্সাস, এমন একটা চক্র যার হাত থেকে সম্ভবত কোনও মেয়েই আর নিরাপদ নয়। শুধু তাই নয়, কোনও শিশু নিরাপদ নয়, কোনও বয়স্ক মানুষ নিরাপদ নন আর হয়তো একই ভাবে অরক্ষিত এ রাজ্যের পুরুষরাও কারণ, এই দুর্বৃত্তায়নের শিকার তাদেরও হতেই হবে একদিন না-একদিন, হয় পরিবারের নারীদের রক্ষা করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হবে নয়তো এমনিই জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে গিয়ে কোনও না কোনও ভাবে কোনও না-কোনও চক্রের শিকার হতে হবে।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।