আকাশ-বাতাস মথিত করে সহস্র কণ্ঠে চারিদিকে শুধু একটাই শব্দ ধ্বনিত হচ্ছে: ‘জাস্টিস! উই ওয়ান্ট 'জাস্টিস!'
রাজপথে ঝড় তোলা অজস্র পায়ের নাগরিক পদধ্বনি জানিয়ে দিচ্ছে, এ নিছক ক্ষণস্থায়ী আবেগ নয়। তারা বিচার চায়। আরজি কর হাসপাতালে যে-নারী তাঁর কর্মক্ষেত্রে খুন ও ধর্ষিতা হলেন, সেই নারী বেশ কিছু দিনই আমাদের সকলের ঘরের মেয়ে হয়ে গিয়েছেন। নাগরিক সমাজ জানিয়ে দিয়েছে, ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যা যা হয়েছে, তা যে-কোনও পরিবারের যে-কোনও নারীর সঙ্গে হতে পারত। তাই এই বিচারের দাবি।
নাগরিক সমাজের এই চাওয়া প্রকৃতপক্ষে অত্যন্ত ন্যায্য, সঙ্গত ও যুক্তিপূর্ণ। চতুর্দিকে ক্ষোভের বিস্ফোরণের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কিন্তু সেই ক্ষোভ প্রশমনে পুলিশপ্রশাসনের ভূমিকা কি আদৌ সংবেদনশীল? ভারতের মতো কল্যাণকামী একটি রাষ্ট্রে নারীদের জীবন বারে বারে বিপন্ন হয়ে পড়ে কেন? কেনই-বা বারংবার অভিযোগ ওঠে সংবেদনশীলতার অভাবের?
শুধু এই কলকাতা, এই বঙ্গদেশেই নয়, গণআন্দোলনের আবেগ আছড়ে পড়েছে ভারতের বাইরেও। কিন্তু সেখানকার মানুষ এই রাজ্যে কী দেখছে? দেখছে, যাঁকে ঘিরে অভিযোগের পাহাড় জমেছে, মহিলা চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পরে যাঁর নানা কার্যকলাপ নানাবিধ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, এমনকি কয়েক বছর আগে থেকেই যাঁর বিরুদ্ধে ভূরিভূরি দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে স্বাস্থ্যভবন সমেত বিভিন্ন মহলে, আরজি কর হাসপাতালের সেই সুপার সন্দীপ ঘোষ ‘ইস্তফা’ দেওয়ার ঘণ্টা চারেকের মধ্যেই তাঁকে কলকাতার আর-একটি হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে বসিয়ে দেওয়া হয়! নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সন্দীপবাবুর পাশেই দাঁড়ালেন!
তখনও কলকাতা হাই কোর্টে এই মামলা ওঠেনি। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী বললেন, এই মামলার তদন্ত সিবিআই করলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। কারণ, তাঁদের কোনও কিছু লুকোনোর নেই। তার পরে অবশ্য প্রথম দিনের শুনানিতেই কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট যে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে, সেই মামলার প্রথম শুনানির দিনেই রাজ্যকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের অজস্র প্রশ্নবাণের কোনও সদুত্তর মেলেনি এখনও।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।