- রাতে শুধু নারী চিকিৎসকের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শাশ্বতী ঘোষ (প্রচ্ছদকাহিনি, দেশ ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪) তাঁর নিবন্ধে। নিবন্ধকারের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত হয়েও আরও কিছু প্রসঙ্গের অবতারণা করতে চাই। কেন শুধু নারী চিকিৎসকদের জন্যই সুরক্ষাবৃত্তের বন্দোবস্ত? আরও একাধিক নানা রকমের পেশায় নারীরা নিযুক্ত আছেন যাঁরা রাতে ডিউটি করেন, তাঁদের সুরক্ষা কে দেবে? আসল কথা হল, শুধু নিরাপত্তার কথা বলে কিছু হবে না। নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব যাঁদের হাতে ন্যস্ত তাঁরা কঠোর ভাবে পালন করেন কিনা সেটাও তো দেখা জরুরি। কঠোর আইন যেমন দরকার, আইনের কঠোর প্রয়োগও দরকার। নারীদের নিরাপত্তা শুধু কর্মস্থলে নয়, পথে-ঘাটে এবং ঘরে-বাইরে সব জায়গাতেই নিশ্চিত করতে হবে। শুধু নারী কেন? একজন মানুষ হিসেবে একজন পুরুষেরও নিরাপত্তা আছে কি? যখন সে একাকী প্রতিবাদ করে কোনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে? সেই সমস্ত ক্ষেত্রে তার নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নেবে?
খুব যুক্তিসঙ্গত কথা বলেছেন রাজশ্রী বসু অধিকারী তাঁর প্রচ্ছদনিবন্ধে। অজস্র আইন, কঠোরতম সাজা, সমস্ত কিছু সত্ত্বেও ধর্ষণের মামলা এই পোড়া দেশে কিছু কম নেই। আসল কথা হল, আমরা দোষ দেখি অন্যের। নিজেদের দোষ দেখতে খুব একটা অভ্যস্ত নই। বর্তমানে আমরা একটা বাচ্চাকে সেই ভাবে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পারছি না। আজকালকার বাবা-মায়েরা ছোটদের শেখাই না কী ভাবে প্রকৃত সৎ মানুষ হতে হয়! শুধু শেখাই কী ভাবে অনেক টাকা রোজগার করতে হয়! তাই লোভ, হিংসা, অন্যকে সম্মান না করার মতো প্রবণতা বাসা বাঁধছে শৈশব জীবনের শুরু থেকেই। শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য যদি চরিত্র গঠন না হয়, তাহলে ধর্ষণের মতো অপরাধ শুধু আইন প্রণয়ন করে বন্ধ করা যাবে কি? শুধু আইনের সংশোধন নয়। সংশোধন দরকার গোটা সমাজ ব্যবস্থার। দিলীপকুমার দত্ত, পশ্চিম মেদিনীপুর-৭২১১০২
দুই ا সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত দেশ (২ সেপ্টেম্বর ২০২৪) পত্রিকার প্রচ্ছদ নিবন্ধগুলি প্রসঙ্গে কয়েকটি কথা বলতে চেয়ে এই পত্ৰ । সম্ভবত শাসক দলের সমর্থকও এ কথা আজ বিশ্বাস করেন না যে, জনৈক সিভিক ভলেন্টিয়ার এই ঘটনার একমাত্র অপরাধী। বরং রাজ্যবাসীর মনে এ প্রত্যয় ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছে যে, এটি একটি সংঘটিত খুন এবং স্বাস্থ্য-ব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তর থেকে এই নারকীয় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে ও হয়ে চলেছে।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।