শীত এবং হেমন্তে রাতের আকাশে তারা দেখার আমেজটাই আলাদা। সাধারণত মেঘ থাকে না। তখন। আর বেশ কয়েকটা উজ্জ্বল তারা দেখা যায় আকাশে। ‘হিমের রাতের ওই গগনের দীপগুলি'র দৃশ্য দেখে রোমাঞ্চ হয়। তখন সবারই নজর পড়ে কৃত্তিকা নক্ষত্রপুঞ্জর দিকে। কারণ খালি চোখে দেখা যায় এমন একগুচ্ছ তারার উদাহরণ আকাশে আর নেই বললেই চলে। কালপুরুষের পশ্চিমে আকাশের এক জায়গায় জড়ো হয়ে থাকে নক্ষত্রের এই স্তবক। তাই সবার নজর কাড়তে বাধ্য। আকাশ পরিষ্কার থাকলে তো কথাই নেই। তখন বাজি রাখা যেতে পারে, কে বেশি সংখ্যক তারা দেখতে পেরেছে, এই নিয়ে। বেশির ভাগ লোকজন বলবেন, ছয়টি নক্ষত্র দেখতে পারছেন তাঁরা।
তখন হয়তো অনেকের মনে পড়ে যেতে পারে কিছু প্রাচীন গল্প। পুরাণের কাহিনি কার্তিকের ছয়জন মাতৃদেবীর কথা বলে, যাঁরা হলেন কৃত্তিকা। এই ছয়জন মাতৃদেবীর স্তন্যপান করেছিলেন বলেই কার্তিকের আর এক নাম ষড়ানন। গল্পের সঙ্গে আমাদের দেখা তারার সংখ্যা বেশ মিলে যাচ্ছে জেনে কৌতুক বোধ হতে পারে। তবে কারুর হঠাৎ মনে পড়ে যেতে পারে যে এর চেয়েও প্রাচীন গল্পে কিন্তু ছয়জন কৃত্তিকা ছিলেন না। যেমন, তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ জানায় সাতজন কৃত্তিকার কথা, যাঁদের নামগুলো ভিন্ন— অম্বা, দুলা, নিতত্নি, অভ্রয়ন্তি, মেঘয়ন্তি, বর্ষয়ন্তি এবং চুপুনীকা। গ্রিক পুরাণেও আমরা দেখি কৃত্তিকার নক্ষত্রগুলিকে সাতজন বোন হিসেবে কল্পনা করা হয়েছিল। ছয় না হয়ে সাত কেন, এই প্রশ্নে যাওয়ার আগে আর-একটা কথাও আমাদের ভাবায়। পাঠক একটু খুঁজলেই বের করতে পারবেন যে, কৃত্তিকার নক্ষত্রগুলোকে কেউ একদল পুরুষ বলে ভাবেনি। শুধু গ্রিক এবং ভারতেই নয়, কৃত্তিকার নক্ষত্রগুলিকে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতার লোকজন মহিলা হিসেবে কল্পনা করেছে।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
কবিতার খাতা
দিন শেষ হয়ে যায়। অন্ধকার নেমে আসে আকাশ থেকে। কিন্তু রোজকার মতো ঝলমলিয়ে ওঠে না তাঁর পাড়া। দোকান-বাজার। শব্দ ওঠে জেনারেটরের। বড় বড় আলো পড়ে ধ্বংসস্তূপের ওপর। যেন সেটাই মঞ্চ।
কলের গাড়ি
এক দিন আবিষ্কার হল অগ্ন্যাশয়ে বাসা বেঁধেছে কর্কট ব্যাধি, অন্তিম পর্যায়। পারিবারিক আবহাওয়ায় দ্রুত পরিবর্তন দেখা দিল। রোগশয্যায় শুয়ে সবই টের পায় শান্তিলাল। এক দিন হীরালাল সামনে এসে দাঁড়ায়।
উপেনবাবুর মেয়ে
গোকুলপিঠে খেতে খেতে ছেলেবেলার স্মৃতি জাগিয়ে তোলে, যখন শীতের সকালে মায়ের হাতে বানানো গরম গরম পিঠে ছিল সবচেয়ে বড় সুখ।
ভালবাসার গল্প
বাদামি চুলের এলা কাঁদছিল। কিন্তু অমল যেন দেখতে পাচ্ছিল বাসবকাকার মুখ। দেখতে পাচ্ছিল আবছায়া একটা ঘর। আর তার মধ্যে ছোট্ট একটা পুঁটলির মতো পড়ে আছে ওর অসহায় বাবা।
তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন
জাকির হুসেন, তবলার অতুলনীয় জাদুকর, যাঁর স্পর্শে তবলা খুঁজে পেয়েছিল নতুন ভাষা। তাঁর প্রতিভা ও ক্যারিশমা আজও সঙ্গীতজগতে এক আলোকবর্তিকা।
সুখলালের কিস্সা
সন্ধের ভিজিটিং আওয়ারে সুখলাল দেখেছিল, ফিমেল ওয়ার্ডের আঠাশ নম্বর বেডে সাদা কাপড়ে ঢাকা একটা দেহ। মন মানতে চাইছিল না। এখনও বারবার মনে হয়, ফুলমণি বলেছিল, আজ কোথাও যেয়ো না।
১৯৬৪
শৈশবের সেই যাত্রার মধ্যে মধ্যে মিশে ছিল রোমাঞ্চ; গোয়ালন্দে গাদার মাছের কাঁটা গলায় বিঁধে যাওয়ার পর দলা করে মাখা শুকনো ভাত মুখে পুরে গিলে দেওয়ার ভিতর থেকেও আনন্দই জেগে উঠেছিল সেবার।
রক্ষক
আরিয়ানাকে নিয়ে চলে গেছে লুকাস। একা বসে আছে রাফায়েল। ভাবছে, আজ যদি ওর নিজের সন্তান বেঁচে থাকত, তবে তো কুড়ি বছর বয়স হত তার। সে হয়তো কোনও ইউনিভার্সিটিতে আন্ডার গ্র্যাড করত এখন।
ফুলের তোড়া
বাবুই মায়ের দিকে বিষণ্ণ চোখে তাকিয়ে বলল, “মা, তুমি তো রোজ দুটো খবরের কাগজ আদ্যোপান্ত পড়ো। বাবা সারা বিশ্বের খবর রাখে। একটি মেয়ে রাজনীতি করছে, এ কি খুবই বিস্ময়কর?”
সমাজের শিকড়ে
মানুষ যে ভাবে ৯ অগস্টের পর একটা সমাজে সন্নিবিষ্ট হতে পেরেছিল, তার পিছনে ছিল হৃদয়ের জোরালো টান।