বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট: খরচ কি কমতে পারে?

সুতরাং পশ্চিমবঙ্গের একজন রোগীর ট্রান্সপ্লান্ট দরকার হলে তিনি অনুদানের সাহায্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেন।

●● • বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট কেন এত মহার্ঘ? • আপনি কি জানেন, আজকের দিনে আমেরিকায় বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করাতে হলে তার খরচ প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার! ভারতীয় মুদ্রায় যা ২ কোটি টাকারও বেশি! এবার আমাদের দেশে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের খরচের সঙ্গে খরচটি মিলিয়ে দেখুন। এই তথ্য জানানোর পর এবার আমি নিজের জার্নির কথা বলি। আটের দশকের কথা। সিএমসি ভেলোরে কাজ করছি। সেই সময় বিরল ধরনের লিউকেমিয়া আক্রান্ত বাচ্চাকে নিয়ে আমার কাছে আসেন এক দম্পতি। তবে তখন আমি বোন ম্যারো ট্র্যান্সপ্লান্ট শুরু করিনি। ওই সন্তানের প্রাণ বাঁচানোর জন্য ওই দম্পতির নাছোড়বান্দা মনোভাব ও কাজ আমাকে অবাক করেছিল। বাচ্চাটির বাবা এয়ার ইন্ডিয়া থেকে বিনামূল্যে টিকিট জোগাড় করে ছুটে গিয়েছিলেন আমেরিকায়। সেখানে এক আমেরিকান দম্পতি তাঁদের খুব সাহায্য

করেছিলেন। তাঁরা ইউনিভার্সিটি অব নেব্রাস্কায় শিশুটিকে নিয়ে যান। সেখানে তার অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন হয়। একজন অভিভাবক সন্তানের প্রাণরক্ষার জন্য বহুদূর অবধি যেতে পারেন। কিন্তু কেন বাবা-মা তাঁর নিজের দেশে কম খরচে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে পারবেন না? প্রশ্নটা আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছিল। এই ভাবনা থেকেই অস্ট্রেলিয়ায় ছুটে যাই। আলাদাভাবে ট্রেনিং নিই। ফিরে এসে ভেলোরে কাজ কাজ শুরু করলাম। ১৯৮৬ সালে ভারতে প্রথম একজন থ্যালাসিমিয়া রোগীর বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়। লিউকেমিয়া এবং অন্যান্য অসুখের জন্য বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট আগেই শুরু হয়েছিল। বর্তমান সময়ে সিএমসি ভেলোরে সারা দেশের মধ্যে সর্বাধিক বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট হয়। ইতিমধ্যে ২০০০-এরও বেশি ট্রান্সপ্লান্ট সম্পূর্ণ হয়েছে।

• কীভাবে হয় ট্র্যান্সপ্লান্ট? • কিছু অসুখ থাকে যেগুলির একমাত্র ● ●● চিকিৎসা হয়ে দাঁড়ায় অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন। তবে অস্থিমজ্জার জন্য দরকার পড়ে একজন ডোনার বা দাতার যার সঙ্গে গ্রহীতার ম্যাচিং করাতে হয়। সাধারণত সহোদর বা সহোদরার সঙ্গে ম্যাচিং হয় যাকে বলে অ্যালোজেনিক ট্রান্সপ্লান্ট। এখন হাফ ম্যাচ ট্রান্সপ্লান্টও হচ্ছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে দাতা হন বাবা, মা বা সন্তান। ট্রান্সপ্লান্টের আগে হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন টাইপিং ইত্যাদি করাতে হয়।