স কাল সাড়ে ছ'টার আগেই আমরা সবাই প্রস্তুত হয়ে আছি পদমচেনের হোমস্টেতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ির চালক এসে ব্যাগপত্তর নিয়ে গেল। হোমস্টের মালকিনের জোরাজুরিতে এত সকালে কোনওক্রমে সামান্য নুডলস্ আর লিকার চা খেয়ে, ওঁর আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য অজস্র ধন্যবাদ জানিয়ে গাড়িতে চড়ে বসলাম। ততক্ষণে ঘড়ির কাঁটা সকাল সাতটা ছুঁয়েছে। গতরাতে বেশ কিছুক্ষণ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হলেও আকাশের ঝকঝকে হাসিমুখ এখনও দেখা যাচ্ছে না। খোলামেলা জায়গায় আকাশ বেশ পরিষ্কার। কিন্তু কাছে-দূরের সব পাহাড়ই দেখছি, ভারী সলাজ। সারা পাহাড়ের গায়েই কোথাও সাদাটে কুয়াশার ওড়না, কোথাও বা বেশ ভারী চাদর। তবে কোনও কোনও জায়গায় সামান্য নীল আকাশও দেখা যাচ্ছে। সময়টা এপ্রিলের মাঝামাঝি হলেও ঠান্ডার প্রকোপ ভালোই।
চালক অবশ্য বেশ নিশ্চিত যে থাম্বি থেকে আমরা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাবই। সেজন্যই ও চাইছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব থাম্বিতে পৌঁছতে। বেশ কিছুদিন ধরেই, রাতের বেলা পাহাড়ের গায়ে আশ্রয় নেওয়া যত মেঘ-কুয়াশার দল, একটু বেলা বাড়লেই নাকি নিজেদের সাদা ভেলা ভাসিয়ে পাড়ি দিচ্ছে ওই আকাশপানে। আর সারাদিন ধরেই কড়া পাহারায় বন্দি করে রাখছে কাঞ্চনজঙ্ঘা ও তার সঙ্গীসাথীদের। চালকের কথায়, ভারি বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত আপাতত এমন করেই দিন। কাটবে এখানকার পাহাড়ের। যাই হোক, রওনা হতে সেই সাতটা দশ বেজেই গেল। পথ ভারী সুন্দর, আঁকাবাঁকা। শুরু থেকেই বেশ চড়াই। উচ্চতার নিরিখেও বেশ রোমাঞ্চকর এই পথ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গাড়ি পৌঁছে যাওয়ার কথা ১১ হাজার ২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত থাম্বিতে। হোমস্টে থেকে জেনেছিলাম, পদমচেনের উচ্চতা সাত হাজার ফুটের আশপাশে। আবার এই এলাকায় নিয়মিত গাড়ি ছোটানো ড্রাইভারের উত্তর, ‘হোগা কছ ছ-সাত হাজার ফিট।'
গুগলের একাধিক তথ্যও বিভ্রান্তিমূলক। তবে পদমচেনের উচ্চতা ছয় বা সাত হাজার ফুট, যাই হোক না কেন, তার অর্থ আরও চার-পাঁচ হাজার ফুট উপরে পৌঁছে যেতে পারি মাত্র ঘণ্টা দুই-আড়াইয়ের মধ্যেই। সুতরাং সামনের পথের খাড়াই বা চড়াই সম্পর্কে কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যাচ্ছিল। ফলে প্রচণ্ড উৎসাহ আর টানটান মানসিক অবস্থায় যাত্রা হল শুরু। আগের দিনই পদমচেন আসার পথে শুনেছিলাম যে কখনও কখনও বেলা দশটা বাজতে না বাজতেই গনেক ভিউ
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
হাতছানি দিয়ে ডাকে
দেবাশীষ দেব ৷৷ ভাষা ভেঞ্চার (৫/২৫, সেবক বৈদ্য স্ট্রিট, কল-২৯) ৷৷ ৭৫০ টাকা। • অনির্বাণ রক্ষিত
কক্সবাজারে ক'দিন
ভ্রমণের শখ যাদের, তাদের কি রাজনৈতিক বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় আটকাতে পারে? কক্সবাজারের সফরে আমি এমনই একটি অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলাম। বাংলাদেশে চলছিল ছাত্র আন্দোলন ও রাজনৈতিক অস্থিরতা। তবুও, আশা না হারিয়ে শেষে কক্সবাজার পৌঁছাতে পারলাম। সৈকতের সৌন্দর্য, সমুদ্রের ঢেউ, ঝর্ণা এবং স্থানীয় বাজারে কেনাকাটা—সবই এক অনন্য অভিজ্ঞতা হয়ে রইল।
কোথায় সমাধিস্থ সুলতান রাজিয়া?
রাজিয়া সুলতান ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা শাসক, যিনি তার পিতার মৃত্যুর পর সিংহাসন লাভ করেন। মেধা, সাহস ও যুদ্ধের দক্ষতায় তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে, নারীরা শাসনে সক্ষম। তবে, তার উত্থান অনেকের পছন্দ হয়নি এবং ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তাকে বন্দি করা হয়। পরবর্তীতে, আলতুনিয়ার সঙ্গে তার বিবাহ এবং বিদ্রোহের পর, রাজিয়া কোথায় মারা গেছেন, তা আজও রহস্য। ইতিহাসের নানা বিবরণে তার মৃত্যুর স্থান ও সময় সম্পর্কে নানা মত রয়েছে।
বরফের সাম্রাজ্য দুধপাথরি
বৈচিত্র্যময় ভারত আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য মিশ্রণ। কাশ্মীরের প্রকৃতি যেন এক জীবন্ত কবিতা, যেখানে শ্বেতশুভ্র পর্বত, সবুজ বন ও তুষারপাতের মাঝে হারিয়ে যাওয়ার মতো এক অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে। দুধপাথরি, শ্রীনগর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে, একটি অদ্ভুত সুন্দর ও নির্জন স্থান, যেখানে বরফে ঢাকা উপত্যকায় প্রবাহিত শালিগঙ্গা নদী আপনার মন মুগ্ধ করবে। এখানকার তুষারশোভিত দৃশ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ যেন স্বর্গের একটি ক্ষণস্থায়ী চিত্র।
ব্যতিক্রমের বারান্দা
সুমন প্রতিদিনের মতো সাতটা বাইশের বনগাঁ লোকালে শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছাল। আজকের দিনটা বিশেষ ছিল, কারণ তিনি একজন ডাক্তারের স্ত্রী, লিপির সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন। তার স্বামী নির্মাল্য সেনগুপ্তের অকাল মৃত্যুতে লিপি চাকরি পেতে মেডিক্যাল পরীক্ষায় ফিট না হওয়া সত্ত্বেও সুমন তার পাশে দাঁড়ান। শেষমেশ, সুমন ডাক্তারের রিপোর্ট পরিবর্তন করে লিপির চাকরি নিশ্চিত করেন, এবং লিপি নতুন জীবনের পথে এগিয়ে যায়।
ট্রাম্পের জয়, মোদির স্বস্তি
হিউস্টনে ২০১৯ সালের 'হাউডি মোদি' সভায় নরেন্দ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প একসাথে মঞ্চে উপস্থিত হন, এবং একে অপরকে উজ্জ্বল প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। এর পরেই ২০২০ সালে মোদি ও ট্রাম্পের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু বাইডেন প্রশাসনের অধীনে সেই সম্পর্কের উষ্ণতা অনেকটাই কমে যায়। রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক, পাকিস্তান এবং চীন নিয়ে ট্রাম্পের কট্টর অবস্থান ভারতকে কিছু সুবিধা দিতে পারে, তবে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি, বিশেষ করে H-1B ভিসা নিয়ে ভারতীয়দের জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ধোঁয়ার ব্যবহার
গভীর জঙ্গলে হারিয়ে গেলে বিপদ থেকে বাঁচার জন্য ধোঁয়া ব্যবহার করা যেতে পারে। তিনটি স্থানে আগুন জ্বালালে বা ত্রিভুজের মতো আগুন জ্বালালে দূর থেকে ধোঁয়া দেখা যাবে। বাতাস অনুকূলে থাকলে ধোঁয়া উদ্ধারকারীদের কাছে সাহায্যের সংকেত পৌঁছাবে। তবে, সতর্কতার সাথে আগুন নেভানো জরুরি।
মোবাইল ফোন ব্যবহার
জরুরি অবস্থায় মোবাইল ফোনটি হতে পারে আপনার উপকারী বন্ধু। আইফোনে এসওএস ফিচার ব্যবহার করে আপনি সহজে সাহায্য চাইতে পারবেন। সাইড বাটন ও ভলিউম বাটন একসঙ্গে চেপে এই ফিচার চালু করলে ‘ইমার্জেন্সি এসওএস’ লেখা দেখা যাবে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জরুরি সেবায় ফোন করবে। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ‘এসওএস ইমার্জেন্সি’ অপশন ব্যবহার করে সরাসরি জরুরি নম্বরে ফোন করতে পারবেন।
ওভারিয়ান ক্যান্সারের লক্ষণ বুঝবেন কীভাবে?
ওভারিয়ান ক্যান্সার মহিলাদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে থাকা এক ধরনের ক্যান্সার, যা ওভারির কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি থেকে সৃষ্টি হয়। অসুখটির প্রাথমিক উপসর্গ অস্পষ্ট থাকায় এটি ‘নীরব ঘাতক’ হিসেবেও পরিচিত। গ্যাস, অ্যাসিডিটি, পেট ফুলে যাওয়া, ক্লান্তি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে সতর্ক হওয়া জরুরি। চিকিৎসা পদ্ধতিতে সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং উন্নত চিকিৎসা কৌশল যেমন এইচআইপিএসি ব্যবহার করা হয়। এটি শনাক্ত করতে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি এবং অন্যান্য পরীক্ষা করা হয়।
ব্যাখ্যাহীন বিপর্যয়
ক্রিকেট আসলে জীবনের এক রূপ, যেখানে কিছুই চিরস্থায়ী নয়। রোহিত শর্মার দলের এমন বিপর্যয় ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য বড় অঘটন। নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হার এবং ঘরের মাঠে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশের কলঙ্ক ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এক বড় লজ্জা। ব্যাটিং ব্যর্থতা, পেস ও স্পিনের বিরুদ্ধে খারাপ প্রদর্শন, এবং রক্ষণাত্মক টেকনিকের অভাব দলের পরাজয়ের মূল কারণ।