সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে, বেরিয়ে পড়লাম ট্রেকিংয়ে। এবার চলেছি পশ্চিম নেপালের ডোলপা জেলার লেক শে ফোকসুনদো (উচ্চতা ১১,৮৫০ ফুট, গভীরতা ১৪৫ মিটার) হয়ে, কাগমারা লা (৫,১১৫ মিটার) অতিক্রম করে জুমলাতে। সেখান থেকে রারা লেক দেখে ধরব ফিরতি পথ। আমাদের এবারের টিম যেন ভারত-নেপাল মৈত্রীর সুরে বাঁধা। কলকাতা থেকে আমি, সুব্রত গুহ আর মিতালিদি আর নেপালগঞ্জবাসী নেহা পোখরেল ও দামোদর চাঁদ। শেষোক্ত দুজনই দন্ত চিকিৎসক।
হাঁটা শুরুর আগের যাত্রাপথটা খুব সংক্ষেপে বলে নিই। ২০২২-এর ২৩ সেপ্টেম্বর বাঘ এক্সপ্রেসে উঠে পরদিন রাত সাড়ে দশটায় গোন্ডা পৌঁছে গেলাম। একটা মাঝারি হোটেলে রাত কাটিয়ে ২৫ তারিখ বারিচ হয়ে রূপাইডহ বর্ডার পেরিয়ে নেপালগঞ্জ। মধ্যিখানে ভারতীয় টাকা বদলে নেপালি টাকা করে নিয়েছি। এদিকে প্যানপ্যানে বৃষ্টি শুরু হল। জুফল এয়ারপোর্টের টিকিট নেই! অগত্যা রাস্তাই একমাত্র রাস্তা! নারায়ণী হোটেলে স্নান-খাওয়া সেরে নিলাম। বিকেল সওয়া পাঁচটার কিছু পরে সুমো ছাড়ল। তখনও প্রকৃতি বরিষণ মুখরিত। রাস্তার অবস্থা কহতব্য নয়! ঝাঝারকোটে থামা হল রাতের খাওয়াদাওয়া করতে। রাত বারোটা থেকে ভোর চারটে অবধি পাহাড়ের রাস্তায় গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই। তাই নিশ্চল গাড়িতেই ঠাসাঠাসি করে ঘুমনোর চেষ্টা করলাম খানিক। তবে অনেক রাত অবধি নেহা আর দামোদর আমাদের নেপালি ভাষা পড়াল – 'খানা ছ?’, কতি রূপয়া?”, লজে গিয়ে, ‘রুম ছ?' ইত্যাদি। পরদিন ধসে গাড়ি আটকাল, দড়ির ব্রিজে নদী পেরিয়ে গিয়ে গাড়ি বদলানো হল, এই সব নানাবিধ কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সন্ধে সাতটায় পৌঁছলাম ত্রিপুরাকোটে। প্রায় সাড়ে পঁচিশ ঘণ্টা সুমোয় ঠাসাঠাসি হয়ে বসে থাকা অবস্থা থেকে অবশেষে মিলল মুক্তি!
নিকুঞ্জের পারমিট সন্ধে নামার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা বেশ বেড়ে গেল ত্রিপুরাকোটে। এখান থেকে আমাদের পোর্টার নিতে হবে। কিন্তু আপাতত রাতের খাওয়া সেরে একটা লম্বা ঘুম দেওয়া ছাড়া মাথায় আর কিছু নেই। পরদিন ২৭ সেপ্টেম্বর। ঘুম থেকে উঠেই চড়াই ভেঙে আমরা একটা হিলটপে গেলাম। এখানে রয়েছে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির! মন্দিরের নামেই গ্রাম। বহু নীচে এঁকেবেঁকে চলেছে থুলি ভেরি খোলা। মনোমুগ্ধকর দৃশ্য! আমাদের আগামী কয়েক দিনের পদযাত্রায় পোর্টার হিসেবে পাওয়া গেল লক্ষ্মীন্দর আর প্রকাশকে! দুজনেই অন্য সময় রাজমিস্ত্রির কাজ করে। প্রতিদিন জনপ্রতি ২,৫০০ এন সি ‘শুখা’
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
বসন্তে মানাং
নেপালের বেসিশহর থেকে মার্সিয়াংদি নদীর তীর ধরে মানাং ৯৮ কিলোমিটার। এখন ফোর হুইল গাড়িতে পৌঁছনো যায়। যাত্রাপথের আকাশ জুড়ে নামি নামি তুষারশৃঙ্গ আর মার্সিয়াংদির বয়ে চলা নিবিড়ভাবে দেখতে চাইলে মাঝপথে খানিক আনন্দময় পদযাত্রাও করতে পারেন। বসন্তে মানা গেলে ফোটা ফুলের শোভা বাড়তি পাওনা।
কর্ণাবতীর পাড়ে
কর্ণাবতী বা কেন নদী বয়ে গেছে পান্না অরণ্যের মধ্য দিয়ে। ঘন সবুজ বন, নীল নদী, পাথুরে নদীতট, গভীর গিরিখাত, ঝরনা আর অরণ্যের রাজা-প্রজাদের নিয়ে পান্নার জঙ্গলের কোর অঞ্চল খোলা থাকে অক্টোবর থেকে জুন। বাফার অঞ্চলে যাওয়া চলে বছরভর। খাজুরাহো থেকে পান্না ৩০ কিলোমিটার।
পৌষ সংক্রান্তির শিলাই পরব
পুরুলিয়ার হুড়া থানার বড়গ্রামে শিলাই নদীর উৎপত্তি। প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তিতে নদীর উৎসস্থলে বসে টুসু বিসর্জনের মেলা। এবারের শিলাই পরব শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি।
জয়পুর হয়ে ভানগড় মনোহরপুর সরিস্কা
রাজস্থানের জয়পুরে ঘোরাঘুরি খাওয়াদাওয়া সেরে ভূতুড়ে দুর্গ ভানগড় দেখে সরিস্কা অরণ্য। ভানগড় থেকে সরিস্কার পথে মনোহরপুরের বাড়োদিয়া গ্রামে এক মনোরম নিশিযাপন।
শিবখোলার তীরে লিঝিপুর
কার্শিয়াং থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে লিঝিপুরে এসে গোটাদিন কাটিয়ে যেতে পারেন। যাঁরা শিবখোলার ধারে লিঝিপুরে একটা রাত কাটাতে চান, তাঁরা নদীর ধারে বসে একবেলা পিকনিকও করতে পারেন।
নাচুনে হরিণের দেশে
চিরকালের শান্তির রাজ্য মণিপুর ঢেকে গেছিল অশান্তির কালো মেঘে। এখন সেই মেঘ কেটে ধীরে ধীরে শান্তির আলো ফিরছে ক্রমশ। তবে সব জায়গা পর্যটকের জন্য উন্মুক্ত হয়নি এখনও। এই অগস্টের ভ্রমণকথা ।
বরাক উপত্যকার বনবাদাড়ে
দক্ষিণ আসামের বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ জেলার দসদেওয়া গ্রাম ও তার আশপাশের জঙ্গলে পাখপাখালির ভরা সংসার। পর্যটনের পরিকাঠামো গ্রামে সেভাবে গড়ে ওঠেনি, তাই পাখি আর প্রকৃতির সৌন্দর্যের টানে যাঁরা আর সব অসুবিধা তুচ্ছ মানেন, শুধু তাঁরাই যাবেন এই আরণ্যক গ্রাম ভ্রমণে।
জামনগর
শীতের জামনগর এক বিস্ময়নগরী। একদিকে রমরমিয়ে চলছে শিল্পতালুকের কর্মকাণ্ড, অন্যদিকে একের পর এক জলাভূমি অতিথি পাখিদের ভিড়ে যেন নন্দনকানন ।
তিন সংস্কৃতি-স্পর্শী স্পেনের টলেডো
সকাল সাতটায় বেরিয়েছি, ভোরের আলো তখনও ফোটেনি। বড়দিনের ছুটিতে আধঘুমে থাকা মাদ্রিদের শুনশান রাস্তা যেন হলিউডের মার্ডার মিস্ট্রি সিনেমার সেট। লাজ-মাদ্রিদ গেস্ট হাউস থেকে বড় রাস্তায় এসে বাসের পিক-আপ পয়েন্ট খুঁজলাম। টলেডো ট্যুরে আমাদের সঙ্গী দিল্লির এক ভারতীয় পরিবার। বাস ছাড়ল মাদ্রিদ থেকে, টলেডোর দিকে। পাহাড়, নদী আর ইতিহাসে মোড়া শহরটিতে পৌঁছে দেখি ইউনেস্কোর স্বীকৃত প্রাচীন নিদর্শন। সংকীর্ণ রাস্তা, সিনাগগ, ক্যাথিড্রাল আর এল গ্রেকোর শিল্পকর্ম—টলেডো যেন ইতিহাসের এক জীবন্ত জাদুঘর।
তাইগা ফ্লাইক্যাচার
তাইগা ফ্লাইক্যাচার (Taiga Flycatcher), বৈজ্ঞানিক নাম Ficedula albicilla, একটি শীতকালীন পরিযায়ী পাখি, যা মূলত ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ব, মধ্য এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে দেখা যায়। এরা ঝোপঝাড়, চাষের জমি ও ছোট গাছপালার আশেপাশে বিচরণ করে। পাখিটির গড় দৈর্ঘ্য ১১-১২ সেন্টিমিটার। প্রজননকালে পুরুষ পাখিটির গলার গেরুয়া কমলা রঙ খুব উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। স্ত্রী পাখি এবং প্রথম বছরের পুরুষ পাখির রং অপেক্ষাকৃত হালকা। এদের প্রধান খাদ্য পোকামাকড়, যা তারা মাটি, গাছ বা শূন্য থেকে শিকার করে। লেখা ও ছবি: সৌম্যজিৎ বিশ্বাস