
বি মানে গুয়াহাটি নেমে গাড়িতে পাড়ি | দিলাম সোজা চেরাপুঞ্জির দিকে। সেই চেরাপুঞ্জি, যেখানে বারো মাস মেঘেদের ভরভরন্ত সংসার আর বৃষ্টি নামে খেয়ালখুশি মতো। সময় লাগবে ঘণ্টা চারেক। আর যাওয়ার পথে আরও কত দ্রষ্টব্য, সেসব দেখতে দেখতে থামতে থামতে গেলে সময় লাগবে আরও একটু বেশি। যেমন, উমিয়ম লেকের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দু'দণ্ড দাঁড়াতেই হবে। উমিয়ম বা বড়া পানি তার বিশাল ব্যাপ্তি নিয়ে মুগ্ধ করবে। এরপর শিলংয়ে বিরতি নিতে হবে খাওয়াদাওয়ার জন্য। শিলং থেকে মাত্র মিনিট পঁয়তাল্লিশের গাড়িপথে লাইটলুম ক্যানিয়ন। খাসি শব্দ লাইটলুমের অর্থ ‘পাহাড়ের শেষ’। পাহাড়ের সেই শেষ প্রান্ত থেকে নেমে গেছে খাড়া খাদ, অনেক নীচে চুলের মতো সরু নদী বয়ে চলেছে। দূরে দূরে আরও পাহাড়ের সারি। খাদের নীচ থেকে আকাশ পর্যন্ত মেঘ উড়ে বেড়াচ্ছে ইচ্ছেমতো। ক্যানিয়নের উপরে অনেকটা জুড়ে মেঘ-কুয়াশার পর্দা। ঘাসের গালিচায় পা ছড়িয়ে, গা এলিয়ে কিছুটা সময় এখানে না কাটালেই চলে না। তারপর আবার মেঘ ঠেলতে ঠেলতে চেরাপুঞ্জির পথে চলা।
মাঝরাস্তার এই সব দেখাদেখি এড়াতে না পেরে প্রায় সন্ধেয় পৌঁছলাম রিসর্টে। ততক্ষণে বৃষ্টিও নেমেছে। রিসর্টটাও একেবারে পাহাড়ের ধারে, নিরিবিলিতে। রিসর্টের বাইরে বেরলেই দেখা যায় অনেক দূরে, নীচে বাংলাদেশের ভূখণ্ড।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In

ইয়েলবং
গুহার মধ্যে রুমতি নদীর পাথুরে খাতে হাঁটুজলে বুকজলে হাঁটা, উপর থেকে ঝরে পড়া নদীর জলে ভিজে যাওয়াইয়েলবংয়ে নদীখাত পদযাত্রার সেরা সময় মার্চ-এপ্রিল।

চোপতা তুঙ্গনাথ আউলি গরসন বুগিয়াল
হরিদ্বার থেকে দেবপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, কুণ্ড হয়ে চোপতা। চোপতা থেকে তুঙ্গনাথ, চন্দ্রশিলা। তারপর যোশিমঠ থেকে বদ্রীনাথ, আউলি হয়ে গরসন বুগিয়াল। গাড়োয়ালের নিসর্গপথে বেড়ানোর সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

ভাগামনের চা-বাগানে
চা-বাগান, বুগিয়াল আর পাইনবনে ছাওয়া গাঢ় সবুজ ভাগামনে সারাবছর যাওয়া চলে। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে। ভাগামনের বাড়তি পাওনা প্যারাগ্লাইডিং।

নতুন পথে গোকিও হ্রদ অভিযান
থোনাক লা (৫,৪১৬ মিটার) আর রেঞ্জো লা (৫,৪৩৫ মিটার)-য় দাঁড়িয়ে সোজা তাকালে আকাশের গায়ে ঝকঝক করে এভারেস্ট শৃঙ্গ, আর চোখ নামালে হিমালয়ের নীলকান্তমণি গোকিও হ্রদ। এভারেস্টের পাড়ায় দু'দিক থেকে গোকিও হ্রদ অভিযানের সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

একুশে ফেব্রুয়ারি
১৯৯৮ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে, গাজী সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে আনিসুজ্জামানের সঙ্গে গভীর আলোচনার পর, ঢাকা শহরের রাস্তায় বাঙালির একুশের মিছিলের অংশ হিসেবে মাতৃভাষার জন্য রক্তদান করা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে ফুলের পাহাড়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলাম।

রণথম্ভোরের রাজকাহিনি
রণথম্ভোর অরণ্যে যাওয়া চলে ১ অক্টোবর থেকে ৩০ জুন। তবে, গ্রীষ্মে প্রখর দাবদাহ সহ্য করে জলের ধারে অপেক্ষা করলে বাঘের দেখা পাওয়ারই কথা।

মেঘালয় ভ্রমণ
একের পর এক জলপ্রপাত, হ্রদ, নদী, রুট ব্রিজ, প্রাকৃতিক গুহা— সব কিছু নিয়ে মেঘালয় প্রাকৃতিক সম্পদের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার। বেড়ানোর সেরা সময় মার্চ থেকে জুন। তাপমাত্রা এ-সময় ১৬ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

হাব্বা খাতুনের দেশে
কাশ্মীরের চেনাপথ ছেড়ে এক অচেনা কাশ্মীর ভ্রমণ। মারশেরি, বাঙ্গাস, লোলাব, মচ্ছল ও গুরেজ উপত্যকা। গুরেজ উপত্যকায় যেতে হলে যে গিরিবা পেরতে হয়, সেই রাজদান পাস শীতের মাসগুলোয় বরফে ঢাকা থাকে।

লিপুলেখ থেকে কৈলাস পর্বত দর্শন
কুমায়ুন হিমালয়ের লিপুলেখ গিরিবর্তে দাঁড়ালে দেখা যায় সুদূর তিব্বতের কৈলাস পর্বত। গাড়ি চলে যায় লিপুলেখ পাস পর্যন্ত। তবে, লিপুলেখ পাসে যেতে সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক অনুমতি লাগে। নাবি থেকে নাভিধাং হয়ে লিপুলেখ পাস ৩০ কিলোমিটার । নাবি থেকে আরেক পথে জলিংকং হয়ে আদি কৈলাসও ৩০ কিলোমিটার। পার্বতী সরোবরের ধারে আকাশ আলো করে দাঁড়িয়ে আছে আদি কৈলাস।

আয়ারল্যান্ডের পথে-প্রান্তরে
সাগর, নদী, হ্রদ, আদিগন্ত ঢেউখেলানো সবুজ উপত্যকা, প্রাচীন সব দুর্গ, প্রাসাদ, আড্ডাখানা নিয়ে আয়ারল্যান্ড গ্রীষ্মে ভারি মনোরম।