ত্বকের ইশারা বুঝুন

ত্বকের প্রতিটা পরিবর্তনই কিছু না কিছুর ইঙ্গিত দেয়। সেসবের সমাধান চাইলে, আগে সমস্যাগুলো চিনতে হবে। ত্বকের দশটি কমন সমস্যা এবং তার ‘সায়েন্টিফিক’ সমাধান রইল।

কখনও খেয়াল করেছেন, হঠাৎ করে ত্বকে একগাদা সমস্যা এসে হাজির হয়েছে? বা লাইফস্টাইল, ঘুমের প্যাটার্ন অথবা ডায়েটে একটু বদল হলেই ত্বকের আচরণও বদলে গিয়েছে? নিউটনের তৃতীয় সূত্র কিন্তু এখানেও প্রযোজ্য। আমাদের প্রতিটা ক্রিয়ার সমান এবং উলটো (বিপরীত) প্রতিক্রিয়া পড়ে আমাদের ত্বকে। যেমন ঘুমের অভাব থেকে চোখ-মুখ ফুলে যেতে পারে, শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়লে তা ত্বকের মসৃণতায় প্রভাব ফেলতে পারে। আবার, হঠাৎ অ্যাকনের সমস্যা বেড়ে গেলে তা হরমোনাল ইমব্যালান্সের দিকে নির্দেশ করতে পারে। এর সমাধান হিসেবে দোকানে অসংখ্য প্রডাক্টের অপশন রয়েছে ঠিকই, তবে সমস্যার মূলে না পৌঁছলে তো কোনওকিছুরই চিরস্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়! তাই শুধু বাহ্যিক যত্নেই সীমিত থাকা যথেষ্ট নয়। আগে সমস্যা চিনতে হবে, তারপর শুরু হবে যত্ন। কোন সমস্যার নেপথ্যে সম্ভাব্য কী কারণ থাকতে পারে, তা জেনে নিন।

১. অ্যাকনের বাড়াবাড়ি = হরমোনের গোলযোগ এক্ষেত্রে বয়সটাও অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। কারণ টিনএজের অ্যাকনের সঙ্গে তিরিশোর্ধ্বদের অ্যাকনের তফাত রয়েছে। বয়ঃসন্ধির অ্যাকনে ত্বকে তেল জমেও হতে পারে। তবে তিরিশ পেরলে অ্যাকনের মূল কারণ হতে পারে হরমোনাল পরিবর্তন। অ্যাকনে হরমোনাল কিনা, তা বোঝার আরএকটা উপায় হল, ত্বকের লালচেভাব লক্ষ করা। হরমোনাল অ্যাকনেতে সাধারণত ইনফ্ল্যামেশনও বেশি হয়। এই ধরনের অ্যাকনে সারানোর প্রধান উপায় ত্বককে শান্ত করা। এমন উপাদান ব্যবহার করুন, যা ত্বককে ইরিটেট করবে না। বেনজ়োইল পারঅক্সাইড হরমোনাল অ্যাকনের পক্ষে ভাল। সেনসিটিভ ত্বকে সালফার বা উইলো বার্কের মতো উপাদানে ভাল ফল দেবে।