ভিটামিন ডি চাই-ই!

শুধু মেয়েদের না, বয়স নির্বিশেষে সব মানুষের। ভিটামিন ডি-র উপকারিতা বুঝিয়ে বললেন সিনিয়র রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ান অর্পিতা ঘোষ দেব। শুনলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।

টিটি-র দৌলতে টিভি আজকাল কম দেখা হয় ঠিকই। কিন্তু যাঁরা এখনও । টিভি খুলে বসেন, ‘মেয়েদের ভিটামিন ডি খুব দরকার’— এই মর্মে বিভিন্ন প্রডাক্টের বিজ্ঞাপন তাঁরা দেখেছেনই। মেয়েদের কথাই কেন বারবার ওঠে বিশেষ এই ভিটামিন নিয়ে আলোচনা করতে গেলে? বাকিদের বুঝি সুস্থ থাকার জন্য ভিটামিন ডি-র প্রয়োজন পড়ে না? তেমন কিন্তু নয় ব্যাপারটা। সব মানুষেরই ভিটামিন ডি দরকার। হয়তো বিশেষ কিছু কারণে মেয়েদের প্রয়োজনটা একটু বেশি গুরুত্ব পায়। ভিটামিন ডি-র প্রয়োজনীয়তা, কী ধরনের খাবার খেলে তা সহজেই মেলে... সব নিয়েই আজ কথা বলব আমরা।

সানশাইন ভিটামিন ভিটামিন ডি-র আর এক নাম। কারণ, মানুষের শরীরে ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি ঢোকে সূর্যের আলট্রা-ভায়োলেট বি রশ্মি থেকে। বাকি ২০ শতাংশ পাওয়া যায় সঠিক খাবার খেলে। তবে সূর্যরশ্মি থেকে ভিটামিন ডি মেলে মানেই তার কনভারশন পুরোপুরি ত্বকে আলো পড়ে হয়, এমন নয়। ত্বক, তারপর যকৃৎ বা লিভার, শেষে কিডনি— এই তিন জায়গায় একাধিক কনভারশনের ধাপ পেরিয়ে তৈরি হয় ক্যালসিট্রায়ল (calcitriol), যা হল সবচেয়ে ‘অ্যাকটিভ ফর্ম অফ ভিটামিন ডি’। কিডনিতে এই যে কনভারশন হচ্ছে, এটাকে আবার নিয়ন্ত্রণ করে একাধিক ফ্যাক্টর— যথা, প্যারাথাইরয়েড হরমোন লেভেল, সেরাম ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস লেভেল। এতগুলো ভারী ভারী কথা বলার উদ্দেশ্য একটাই জিনিস বোঝানো—যে সানশাইন ভিটামিন তৈরির কাজ শুধুমাত্র ত্বকের নয়। শরীরের একাধিক অঙ্গ হাতে হাতে মিলিয়ে সে কাজ করে।