শাস্ত্রীয় নৃত্যের একনিষ্ঠ সাধক

কুচিপুরি নৃত্যশৈলীর আইকনিক ব্যক্তিত্ব। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছেন ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে। রিহার্সালের ফাঁকে রাজা রাধা রেড্ডি ও কৌশল্যা রেড্ডির সঙ্গে জুম আড্ডায় মধুরিমা সিংহ রায়।

কুচিপুরি নৃত্যশৈলীর কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব রাজা রাধা রেড্ডি। তাঁর প্রথম স্ত্রী রাধা রেড্ডি নৃত্যপরম্পরাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। দ্বিতীয় স্ত্রী কৌশল্যা রেড্ডিও একই পথের পথিক। সাক্ষাৎকারে, রাধা রেড্ডি ছিলেন না। কিন্তু একসঙ্গে পাওয়া গেল রাজা রাধা রেড্ডি ও কৌশল্যা রেড্ডিকে।

প্রতিবছর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘পরম্পরা’ সিরিজ ভারতীয় সংস্কৃতির এক অনবদ্য প্রদর্শন বলা যেতে পারে। এই ফেস্টিভ্যাল শুরুর সময়কার ভাবনা ঠিক কীরকম ছিল? কৌশল্যা রেড্ডি: ‘পরম্পরা’ শুরু হয়েছিল

১৯৯৮ নাগাদ। সেসময়ে আমরা সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়াচ্ছি, অনেকেই বলতেন ভারতের রাজধানীতে সেভাবে কোনও বড় কনসার্ট বা সঙ্গীত-নৃত্যের অনুষ্ঠান দেখতে পাই না কেন? সেই জায়গা থেকেই রাজধানীতে সঙ্গীত ও নৃত্যের ফেস্টিভ্যাল শুরু করার ভাবনা। দেশের সেরা পারফর্মারদের এক ছাদের তলায় আনার প্রচেষ্টা ছিল। একটি আন্তর্জাতিক ডান্স ফেস্টিভ্যালও আয়োজন করেছিলাম। মস্কোর ব্যালে গ্রুপ-সহ সারা বিশ্বের সেরা পারফর্মাররা এসেছিলেন দিল্লিতে। নাচ-গানের জগতে দীর্ঘদিন ধরে যে শিক্ষকরা আছেন, ‘নাট্যতরঙ্গিনী’ তাঁদেরও প্রোমোট করে এসেছে সবসময়। এখন তিনটি ব্রাঞ্চ আছে আমাদের। পুরো পরিবারই শাস্ত্রীয় নৃত্য-সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত। ফেস্টিভ্যালে কিশোরী আমোনকর, হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, শিবকুমার শর্মা-সহ অনেকেই এসেছেন বিভিন্ন সময়ে। ইট ওয়াজ় আ ওয়ে অফ এক্সপোজ়িং দ্য অডিয়েন্স টু দ্য হেরিটেজ অফ আওয়ার কান্ট্রি।

লেট নাইন্টিজ় থেকে এখনও অবধি, শ্রোতাদের বিবর্তন কীভাবে দেখেন? কৌশল্যা রেড্ডি: বর্তমান প্রজন্ম ডিজিট্যালি এক্সপোজ়ড়। আমাদের ফেস্টিভ্যালে নতুন