সালটা সম্ভবত ১৯৫০। টনসিলের পিছনে থাকা সংক্রমিত অ্যাডেনয়েড গ্ল্যান্ডের থেকে পাওয়া ভাইরাসের নামকরণ করা হল অ্যাডেনো ভাইরাস। আমাদের গলার অসুখের (বিশেষ করে শৈশবে বারবার সর্দিকাশির কারণ হিসেবে) জন্য অনেকাংশেই কিন্তু দায়ী এই অ্যাডেনো ভাইরাস।
করোনাভাইরাসের যখন সবে মাত্র মানুষ আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেয়ে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে, যখন লকডাউনে বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলের প্রার্থনার লাইন, পার্ক, খেলার মাঠ আবার ভরে উঠেছে শিশুদের প্রাণচাঞ্চল্যে— তখন পুনরায় ফিরে এসেছে মৃত্যুভয়। সৌজন্যে অ্যাডেনো-আতঙ্ক। খবরে কাগজের পাতা ওল্টালেই চারিদিকে কেবল বাচ্চাদের হাসপাতালে ভর্তি আর শিশু মৃত্যুর খবর। এই সংকট মুহূর্তে আতঙ্কিত না হয়ে, সচেতন হওয়া জরুরি। চিনুন এই ভাইরাসের চরিত্র, উপসর্গ এবং সম্ভাব্য প্রতিকার।
ভাইরাসের চরিত্র এই ভাইরাসটি আসলে একটি আবরণহীন (নন-ক্যাপসুলেটেড), নিউক্লিয়ার ডিএনএ ভাইরাস। যার সমস্ত জীবনচক্রের (যেমন
বিভাজন, জনন এবং বংশগতি) প্রতিটি ধাপই আবর্তিত হয় আমাদের শরীরের আক্রান্ত কোষটির মধ্যে। এটি শরীরের কোষের বাইরের আবরণের উপরে থাকা ‘কার’ (CAR – COXSACKIE AND ADENO RECEPTORS) রিসেপটারকে ব্যবহার করে ভিতরে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়। তারপর সাইটোপ্যাথিক এফেক্ট-এর মাধ্যমে সংক্রমিত কোষটিকে ধ্বংস করে। আজ পর্যন্ত প্রায় আশিটি বিভিন্ন ধরনের অ্যাডেনো ভাইরাস চিহ্নিত হয়েছে, যাদের সাতটি গ্রুপে (A to Z) ভাগ করা হয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গবেষণা করা হয়েছে গ্রুপ সি-এর দুই আর পাঁচ নম্বর টাইপটিকে নিয়ে। সাধারণত নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস, মুখ ও নাকের নিঃসৃত রস (এরোসল), খাবার, জলের (ফেকো ওরাল রুট) মাধ্যমে শরীরে ভাইরাস সংক্রমিত হয়। সংক্রমণের জন্য সাধারণত পাঁচটি ভাইরাল পার্টিকলই যথেষ্ট, সেখানে আমরা একবার হাঁচলে বা কাশলে ভাইরাস পার্টিকল ছড়ায় প্রতি মিলিলিটারে প্রায় ১০ লক্ষ। এই অসুখের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ (অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি) নেই। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্যান্য ভাইরাসের জন্য ব্যবহৃত ওষুধ (যেমন সিডোফোভির, রিবাভারিন ইত্যাদি) ট্রায়াল হিসেবে ব্যবহার করে (বিশেষ করে সিডোফোভির) বেশ ভাল ফল পাওয়া যাচ্ছে।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।