আমার মা বাঙালি সংস্কৃতির একনিষ্ঠ অনুরাগী ছিলেন

নতুন ছবির প্রচারে কলকাতায় এসেছিলেন দীপ্তি নাভাল। সিনেমা, বই, কলকাতা, সব নিয়ে তাঁর সঙ্গে আড্ডায় মধুরিমা সিংহ রায়।

কলকাতা ও বাংলার প্রভাব আপনার জীবনে চিরন্তন। তাই না? কলকাতায় আমার প্রথমবার আসা ফারুকের (অভিনেতা ফারুক শেখ) সঙ্গে একটি ছবির শুটিংয়ে। আটের দশকের শেষের দিকে হবে। ছবির নাম ছিল ‘ম্যায় অউর মেরি তনহাই।' কিন্তু ছবির কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় কখনও মুক্তি পায়নি ছবিটি। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে ছবির একটা গানের শুটিং ছিল আমাদের। আমার মা বাঙালি সংস্কৃতির একনিষ্ঠ অনুরাগী ছিলেন। বাংলা ছবি দেখতে খুব ভালবাসতেন। সত্যি বলতে, মা বাঙালি হতে চাইতেন (হাসি)! পঞ্জাবি ছিলেন আদতে, কিন্তু স্কুলে মা নিজেকে ‘বিউটি কুইন অফ বেঙ্গল’ বলতেন। কারণ, উনি বাঙালিদের মতোই সুন্দরী ছিলেন। একদম ছোট বয়স থেকেই তাই বাঙালিদের ব্যাপারে শুনে বড় হয়েছি। কলকাতার প্রতি ভালবাসাও তাই সহজাত। কী সুন্দরভাবে বাঙালি মেয়েরা শাড়ি পরেন! আমার প্রথম ছবির প্রথম দৃশ্যে লাল পাড় সাদা শাড়ি পরেছিলাম। লম্বা চুল ছিল তখন। লন্ডনে শুটিং হয়েছিল। কলকাতায় ওল্ড ওয়র্ল্ড চার্ম আছে। আর একবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পড়তে শুরু করলে তো কথাই নেই!

বাঙালি সংস্কৃতি আপনার শিল্পকে প্রভাবিত করেছে তার মানে...