নিজের কাজকে এতটাই ভালবাসি, যে মি টাইমের দরকার হয় না

ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমির মেন্টর হিসেবে শহরে এসেছিলেন পুল্লেলা গোপীচন্দ৷ কিংবদন্তির সঙ্গে কথা বললেন মধুরিমা সিংহ রায়।

ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমির জন্য মাঝে মাঝেই কলকাতায় আসেন আপনি। এ ছাড়া কলকাতা আর কীভাবে আপনাকে আকর্ষণ করে? এই শহরের মানুষজন খুব ভাল, আন্তরিক। আর এই অ্যাকাডেমির কর্ণধার শেখর দাদা (শেখর চন্দ্র বিশ্বাস) ও তাঁর পরিবার আমার খুবই কাছের। ওঁরা ডাকলেই চলে আসি। এমনিতে কলকাতা যেভাবে সারা বিশ্বের খেলোয়াড়দের সম্মান দেয়, তা খুবই স্পেশ্যাল। যে কোনও ক্রীড়া ব্যক্তিত্বই কলকাতায় এলে এ কথা বলেন! তবে, যখনই আসি, বড্ড তাড়াহুড়োতে আসি। শহরটাকে যে একটু উপভোগ করব, তা হয় না। কলকাতার মিষ্টি খুব প্রিয়। এখানে এলে প্রচুর মিষ্টি খাওয়া হয়, নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না (হাসি)। বাঙালি রান্নাও খুব প্রিয়।

হরিনাভিতে অত্যাধুনিক ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমির মেন্টর আপনি। কীভাবে যুক্ত হলেন এর সঙ্গে? কলকাতায় তথা বাংলায় ব্যাডমিন্টনের যথাযোগ্য পরিকাঠামোর অভাব একটা বড় সমস্যা ছিল। কিন্তু বাংলার ছেলেমেয়েদের প্রতিভার কোনও অভাব নেই কোনওদিনই। অনেকেই বাংলা থেকে হায়দরাবাদে চলে আসত খেলা শিখতে। ওখানে আমার অ্যাকাডেমিতে এতজনকে অ্যাকোমোডেট করতে অসুবিধে হচ্ছিল। তখন শেখরদার সঙ্গে কথা বলি। সমাধান বেরয়। ছ'টি কোর্টের এই অ্যাকাডেমি তৈরি হয়। খুব দরকারি উদ্যোগ ছিল।