গাড়ি সুরক্ষার খুঁটিনাটি

vঅ্যান্টি লক ব্রেক সিস্টেমে একটি কন্ট্রোল সার্কিট দেওয়া থাকে। এটি চাকার স্লিপ রেট গণনা করে ও ব্রেক ফ্লুইড নিয়ন্ত্রণ করে।

বি জ্ঞান ও প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাপনকে অনেকটা সহজ করে তুলেছে। সুরক্ষিত করেছে সমাজকে। শিল্পে এনেছে গতি। ভারত তথা গোটা বিশ্বেই উন্নততর টেকনোলজির হাত ধরে সাবালক হচ্ছে শিল্পব্যবসা-বাণিজ্য। অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতেও সেই প্রভাব স্পষ্ট। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল সুরক্ষার। টেকনোলজির সুবাদে গাড়ি শিল্পে এসেছে বিপ্লব। এসেছে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ, মুভমেন্ট কন্ট্রোল, অ্যাক্সিডেন্ট অ্যালার্টের মতো অত্যাধুনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা। ইলেকট্রিক যানবাহনে থাকছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই বেসড সফ্টওয়্যার কন্ট্রোল সিস্টেম।

গাড়িতে প্রযুক্তিগত সুরক্ষা কেন জরুরি? প্রধানত শহরাঞ্চলে ব্যক্তিগত গাড়ির চাহিদা খুব বেশি। ক্রেতার চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উৎপাদন বাড়াচ্ছে গাড়ি নির্মাণ সংস্থাগুলো। প্রতি মাসেই আসছে নতুন নতুন

মডেল। গাড়ির বাজারে ক্রয় বিক্রয় ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এরই সঙ্গে বেড়ে চলেছে পথ দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান। তথ্য বলছে, শুধু ২০২২ সালেই পথ দুর্ঘটনায় ভারতে প্রায় ১,৫৫,৬২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার প্রায় ৫৯.৭ শতাংশ দুর্ঘটনাই হয়েছে অতিরিক্ত গতির কারণে। ২০২১-২২ সালে এই সংখ্যাটা ছিল প্রায় দেড় লাখ, যার মধ্যে প্রায় ৫৫.৯ শতাংশ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী উচ্চ গতি। পাশাপাশি গাড়ি চুরির ঘটনাও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এক সর্বভারতীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে প্রতি বছর প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি গাড়ি চুরির ঘটনা ঘটে। তাই গাড়িতে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও নিয়মবিধি মেনে গাড়ি চালানো অত্যন্ত জরুরি।

ভারতে গাড়ি সুরক্ষা আইন ভারত সরকার গাড়ি সুরক্ষার বিষয়ে একাধিক আইন এনেছে। সম্প্রতি গাড়ি সুরক্ষার আইনে আরও কিছু নতুন সংযোজন করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যাত্রীর সুরক্ষা নিশ্চিত করে এ রকম কিছু সিকিওরিটি কম্পোনেন্ট গাড়িতে থাকতে হবে। তা ছাড়া ভারতে বিক্রি হওয়া সমস্ত গাড়িকেই কিছু পরীক্ষমূলক ক্র্যাশ টেস্টের গণ্ডি পেরোতে হবে। এতে দুর্ঘটনার সংখ্যা যেমন কমবে, তেমনই নিশ্চিত হবে সুরক্ষাও।