দূরে থাক স্ট্রেস

স্ট্রেস বা মানসিক চাপ নানা কারণে হয়। তবে তা সামলানোর উপায়ও রয়েছে। বুঝিয়ে বললেন কনসালট্যান্ট সাইকায়াট্রিস্ট দিব্যা পাল। শুনলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।

বয়স, জেন্ডার, আর্থ-সামাজিক অবস্থান... সব নির্বিশেষে যে কোনও মানুষকে যে কোনও সময় আক্রমণ করতে পারে মানসিক চাপ। ঘায়েল করে দিতে পারে এতটাই, যে মন, শরীর, জীবনচর্যা, সব এলোমেলো হয়ে যায়। তবে যে কোনও সমস্যার মতোই এটারও সমাধান রয়েছে এবং তা খুব দুঃসাধ্যও নয়। মানসিক চাপের বিভিন্ন আঙ্গিক নিয়েই আমাদের এবারের আলোচনা।

কর্মজগতের স্ট্রেস কর্মজগতে আপনার অবাধ বিচরণ, কিন্তু জীবনে কোনও স্ট্রেস নেই— এটা হওয়া সম্ভবই নয়। প্রথম প্রথম কাজ করার সময় যে কারওরই মনে একটা সংশয় থাকে— পারব তো? এই সংশয় মনে চাপ সৃষ্টি করেই। কেউ কেউ ঠান্ডা মাথায় প্রথম থেকেই চাপ সামলে নেয়, কেউ অতটাও পারে না। তবে কাজ যত বাড়ে, চাপও বাড়ে। এবং সব ক্ষেত্রে এই চাপ ক্ষতিকারকও নয়। অনেক সময় তা মানুষকে কাজে আরও উন্নতি করতে সাহায্য করে। মুশকিল হয় তখন, যখন নিরন্তর স্ট্রেস কারও আত্মবিশ্বাস কেড়ে নিতে শুরু করে। মনের শান্তি নষ্ট করতে শুরু করে। ওয়র্ক স্ট্রেসের ফলে অনেকেরই খাওয়াদাওয়া, ঘুম বিঘ্নিত হতে থাকে। অতিরিক্ত কাজ জমলে, অনেকে বাড়িতেও কাজ নিয়ে আসতে শুরু করেন। যার প্রভাব পড়ে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে। যার যা-ই কাজ হোক না কেন, কিছুটা হলেও স্ট্রেস থাকে— পছন্দের বিষয় হলেও। ছাত্রদের পড়াশোনাটাই কাজ এবং পড়াশোনা-জনিত চাপ তাদের মনেও জমে। এই ধরনের স্ট্রেসের কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ থাকে, যেমন— ক্লান্তি ৷ ঘুম না আসা খাওয়ার ইচ্ছে চলে যাওয়া ■ প্রবল বিরক্তি