এলজিবিটিকিউ' শব্দবন্ধটি চলতিভাবে বেশি ব্যবহৃত হলেও, অনেক বেশি যুক্তিপূর্ণ ও ইনক্লুসিভ শব্দবন্ধ হল ‘জেন্ডার অ্যান্ড সেক্সুয়াল মাইনরিটি’। প্রান্তিক লিঙ্গ ও যৌনতার নাগরিকদের আন্দোলনের ভাষা কালে কালে বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। ‘সেক্সুয়ালিটি’ ও ‘জেন্ডার’ এই দুটো বিষয়কে একত্র করে এলজিবিটিকিউ শব্দবন্ধটি তৈরি হয়েছিল। ‘লেসবিয়ান, ‘গে’ ও ‘বাইসেক্সুয়াল’ এই তিনটি শব্দ মূলত সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনের কথা বলে। কারওর রোমান্টিক পছন্দের অভিমুখের উপর নির্ভর করে তাঁর যৌন পরিচয় নির্ধারণ করা হয়। ‘কুয়্যার’ কিন্তু যৌনতা-পরিচায়ক শব্দ কম, রাজনৈতিক শব্দ বেশি। শেমিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হত এই শব্দ। শব্দের মাধ্যমেও তো নির্যাতন বা শেমিং করা হয়। সেভাবেই ‘কুয়্যার শেমিং’ করা হত তাঁদের, যাঁরা একটু অদ্ভুত, আর পাঁচজনের চেয়ে তথাকথিতভাবে আলাদা। এই ‘অদ্ভুত’ বা ‘বিদঘুটে’ বোঝাতেই পশ্চিমি দুনিয়ায় কুয়্যার শব্দের প্রচলন। কিন্তু আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে, এই মানুষরা এই শব্দবন্ধটিকেই আপন করে নেয়। এখন এলজিবিটিকিউএর সঙ্গে আরও বেশ কিছু শব্দ এখন যুক্ত হয়েছে...যেমন অ্যাসেক্সুয়াল অর্থাৎ যৌন-পছন্দ না-ও থাকতে পারে কারওর। সেমি সেক্সুয়ালিটি, প্যান সেক্সুয়ালিটির মতো শব্দও ব্যবহার হয় এখন। ‘ইন্টারসেক্স’ যাঁরা, তাঁরা শরীরগতভাবেই দু'টি যৌন চিহ্ন নিয়ে জন্মান। ‘এলজিবিটিকিউ’-এর সঙ্গে আরও নানা শব্দ ক্রমশ জুড়ছে। আসলে, যৌন পছন্দের বিষয়টি এতটাই ফ্লুইড যে এক-দু’টো শব্দবন্ধে তাকে বাঁধা মুশকিল। সমাজ যত উদার হচ্ছে, অভিব্যক্তির স্বাধীনতা যত সম্মান পায়, ততই এমন শব্দ আরও যুক্ত হতেই থাকবে। যৌন পছন্দের অভিমুখ আসলে একটা রামধনু শব্দ। ধরে নেওয়া হয়, হেটেরোসেক্সুয়ালিটি সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেই প্রেক্ষিতে এঁরা সংখ্যালঘু। তাই সেই হিসেবে যৌন সংখ্যালঘু বলেই অভিহিত করা ভাল।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।