জোধপুর ঘুরে পৌঁছলাম ‘দ্য গোল্ডেন সিটি’, জয়সলমের। থর মরুভূমি দেখার জন্য উদগ্রীব হয়েছিলাম। বইয়ে জো কত পড়েছি, এবার চাক্ষুষ ! কী দেখব? কেমন লাগবে? একেবারে পশ্চিম সীমান্তে... দেশের শেষ প্রান্ত! অদম্য কৌতূহল নিয়ে শুরু হল যাত্রা। জয়সলমের শহর থেকে ১২০ কিমি দূরে থর মরুভূমি। শহর থেকে বেরিয়ে টানা দু'ঘণ্টা ভাড়া গাড়িতে চলা। এই সময় জয়সলমের শহরটা এক ঝলক দেখে নিলাম। প্রথম-প্রথম রাস্তার দু'ধারে স্যান্ড স্টোনের সোনার মতো ঝকঝকে, বর্ধিষ্ণু বাড়ি চোখে পড়ছিল। বাড়িগুলোর গড়ন একটু অন্য রকম। ছাদগুলো দেখে মনে হয়, কেউ যেন হঠাৎ করে মুণ্ডুটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে! একতলা থেকে দোতলা যাওয়ার সিঁড়ি বাইরে দিয়ে। ও দেশে যে বৃষ্টির বালাই নেই!
বালাই নেই! বাইরে থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, প্রতিটি বাড়ির ভিতর মহলে বেশ বড় চাতাল, যাকে বলে উঠোন। অত্যধিক রৌদ্রে আমাদের গাড়িতে জলের দরকার পড়েছিল। সে কারণে একটি বাড়িতে কিছু ক্ষণ দাঁড়াতে হয়েছিল। সেই সুবাদে ভিতর বাড়িটাও একবার দেখে আন্দাজ করে নেওয়া গেল। বেশ সাজানো-গোছানো মিষ্টি শহর। কেবল সোনালি
রঙের ছটা। সূর্যের আলো পড়ে হলদে পাথর চকচক করছে। গোল্ডেন সিটিই বটে, কিছুটা সবুজও। কিছু পরেই শহর থেকে বেরিয়ে পড়লাম। এবার দু’দিকে কেবল রোদ আর বালি। শুকনো খটখটে, দু'চোখ যেন জ্বলে যায়! সবুজ নেই, জলাভূমি নেই, চোখ জুড়নোর মতো কিছুই নেই। মনটা দমে গেল! এসে পৌঁছলাম থর ডেসার্ট। বেশ ভিড়। টিকিট কেটে, খোলা জিপ ভাড়া নিলাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বলতে কেবল বালিয়াড়ি, অনুর্বর প্রান্তর, পাথুরে মাটি। তবে তার মধ্যেও রয়েছে নানা রঙের খেলা। স্যান্ড স্টোনের ছোট-বড় বাড়িগুলো সোনালি আভা ছড়িয়ে রেখেছে চার দিকে। নানা রঙে সাজানো উটের দল। মেয়েদের হাত ভর্তি রংচঙে চুড়ি, রঙিন পোশাক। ধু-ধু বালির ধূসর দিগন্তে রঙিন সূর্যাস্ত, সঙ্গে মন হু-হু করা বেদুইন সুর।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।