Before marriage প্রসক্রিপশন

আনন্দ উদযাপনের সঙ্গে সুরক্ষিত হোক আপনাদের বৈবাহিক জীবন। বিয়ের আগের মেডিক্যাল গাইডলাইন সাজিয়ে দিলেন সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. পায়েল বসু। শুনলেন অনিকেত গুহ।

বি য়ে মানে শুধু দু'জন মানুষের একসঙ্গে পথ চলা নয়; দুটো | পরিবার, দুটো আলাদা সংস্কৃতি ও কিছু প্রত্যাশার মেলবন্ধনও বটে। বিয়ে একটা সামাজিক প্রতিষ্ঠান হলেও, সুস্থ বৈবাহিক জীবন ও ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে বিয়ের আগেই মেডিক্যাল চেক-আপ করানো জরুরি। সত্যি বলতে, আমাদের সমাজে এই নিয়ে সচেতনতা যথেষ্ট কম। সেখানে বিয়ের আগে কুষ্ঠিবিচার বা কুণ্ডলী মেলানোর বাড়বাড়ন্ত থাকলেও, ক্লিনিক্যাল চেক-আপের দিকটি উপেক্ষিতই থাকে। তবে, বর্তমানে অনেকেই প্রি-ম্যারিটাল চেক-আপ সম্পর্কে আগ্রহী হচ্ছেন, যা নিঃসন্দেহে একটা ভাল লক্ষণ। শুধু ফিজিক্যাল হেলথ নয়, মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বর-কনে দুজনেরই ওজন, ব্লাড প্রেশার, কার্ডিয়োভাস্কুলার ফাংশান, রেসপিরেটরি স্ট্যাটাস পাশাপাশি কোনও প্রি-এগজ়িস্টিং হেলথ ইসু (ছোটবেলার ট্রমা) আছে কিনা, এই সবটাই একটা জেনারেল হেলথ অ্যাসেসমেন্ট করে দেখে নেওয়া উচিত। তাই নতুন জীবন শুরু করার আগে ছেলে, মেয়ে উভয়েরই হেলথ চেক-আপ করানো হয়ে উঠুক আমাদের সকলের কর্তব্য। এক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় পরীক্ষা করানো জরুরি? আসুন দেখে নেওয়া যাক...

সম্পর্কে মিষ্টতা থাকুক, রক্তে নয়...

খানিক মজার ছলে বললেও, ব্লাড সুগার আপনার বৈবাহিক জীবনে বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। ব্লাড সুগার হওয়ার কোনও বয়সসীমা নেই। আজকাল আট-দশ বছরের বাচ্চাদেরও সুগার ধরা পড়ছে। সৌজন্যে আমাদের রোজকার সেডেন্টারি লাইফস্টাইল। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, একজন মহিলার ডায়াবিটিস থাকলে গর্ভাবস্থায় তার নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনও তথ্য উঠে এসেছে যে, মায়ের রক্তে যদি অতিরিক্ত ডায়াবিটিস থাকে, তাহলে সদ্যোজাতের শরীরে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সেক্ষেত্রে বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি থাকাটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। ডায়াবিটিস এমন একটা রোগ, যা একবার ধরা পড়লে তা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া প্রায় অসম্ভব। এর থেকে পরবর্তীকালে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন, হাইপারটেনশন এবং হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি বা অসময়ে ওবেসিটির মতো ঘটনা ঘটতে পারে। তাই বিয়ের অন্তত মাস দু'য়েক আগে পাত্র, পাত্রী উভয়েরই সুগার লেভেল টেস্ট করিয়ে রাখা উচিত।