চিকিৎসায় রোবট প্রযুক্তি

গাইনিকলজিক্যাল সার্জারিতে সাড়া ফেলে দিয়েছে রোবটিক সার্জারির মতো প্রযুক্তি। তা নিয়ে বিশদে জানাচ্ছেন বিশিষ্ট গাইনিকলজিক্যাল সার্জেন অরুণা তাঁতিয়া। শুনলেন দেবলীনা অধিকারী।

অ জকের যুগ টেকনোলজির, এআই-এর। চিকিৎসাশাস্ত্রে এমনই এক উন্নত প্রযুক্তির নাম রোবটিক সার্জারি। ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে প্রথম এর ব্যবহার শুরু হয়। পরবর্তীতে ইউএস-এর চিকিৎসা দুনিয়াও এর সাহায্য নিতে শুরু করল। ২০০৫ সালে, এপ্রিল মাসে গাইনিকলজিক্যাল সার্জারিতে রোবটিক প্রযুক্তির

অনুমোদন পাওয়া যায়। এরপর থেকে ওপেন সার্জারি ও ল্যাপেরোস্কপি সার্জারিতে এই প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৬ সালের দিকে ভারত প্রথম এর সঙ্গে পরিচিত হয়। তবে প্রথম ম্যালিগন্যান্টের সার্জারিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হত। পরবর্তীকালে নানা জটিল গাইনিকলজিক্যাল সার্জারিতে রোবটিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে।

রোবটিক সার্জারির পরিচয় মূলত, চারটে রোবটিক আর্মের মাধ্যমে এই সার্জারি হয়। একটা আর্মে ক্যামেরা থাকে। যার মাধ্যমে ডাক্তার টিসুর ভিতরে লেয়ারগুলোকে দেখতে পান। আর বাকি আর্মগুলো ডাক্তারের নির্দেশমতো অপারেট করে। ওপেন এন্ডেড সিস্টেমে ডাক্তার বাকি টিমের সঙ্গে প্রয়োজনমতো আলোচনা করতে পারেন। একটা বড় স্ক্রিনের মাধ্যমে তিনি অপারেশন দেখতে ও সেইমতো নির্দেশ দিতে পারেন। ক্লোজ় এন্ড সিস্টেমে ডাক্তারকে একটা ভার্চুয়াল ডিভাইস পরে থাকতে হয়। তাই তিনি তাঁর টিমের সদস্যের সঙ্গে ভালভাবে কমিউনিকেট করতে পারেন না। রোবটিক আর্ম কোথায় থাকবে বা কীভাবে অপারেট করবে? তা অর্গ্যানের অবস্থান সহ নানা দিক বিবেচনা করে চিকিৎসক ঠিক করেন।