অন্ধ্রপ্রনরশিপ

একঘেয়ে পেশা যখন না-পসন্দ, তখন অন্ধ্রপ্রনর হিসেবে শুরু হতেই পারে আপনার কেরিয়ার। ফ্যাশন ডিজ়াইনিং থেকে ফুড মেকিং, গার্মেন্ট বিজনেস থেকে গ্যাজেট ইনোভেশন— সঠিক গাইডলাইন মেনে চললে সাফল্য আসবে সবেতেই। পরামর্শ দিচ্ছেন হোটেলিয়ার ও বিশিষ্ট অন্ধ্রপ্রনর কমলিনী পাল।

প্রতিদিন সকালে একটা নির্দিষ্ট সময়ে বেরিয়ে অফিসে যাওয়া, ঘড়ি ধরে আট থেকে ন’ ঘণ্টা কাজ করে তারপর বাড়ি ফেরা— একজন চাকরিজীবীর সারাদিনের সারসংক্ষেপ এটাই। রোজকার এই দশটা-পাঁচটার ডিউটি আওয়ার্সের বাইরে যারা কিছুটা অন্যভাবে কেরিয়ার গড়ে তুলতে চান, অন্ধ্রপ্ররনরশিপ তাদের জন্য এককথায় ‘হোয়াইট কলার জব’। একজন অন্ধ্রপ্রনর স্বাধীনভাবে তাঁর স্টার্ট-আপ চালান, ইনোভেশনের মাধ্যমে বাজারে নতুন প্রডাক্টের ডিমান্ড তৈরি করেন। এবং সব ঠিকঠাক থাকলে কয়েক বছরের মধ্যেই হয়ে উঠতে পারেন একজন সফল ‘বিজনেস ম্যান'। বিগত বেশ কিছু বছর ধরে অন্ধ্রপ্রনরশিপ চর্চায় উঠে এসেছে। ইয়ং জেনারেশনের একটা বড় অংশ কেরিয়ার হিসেবে অন্ধ্রপ্রনরশিপকে বেছে নিচ্ছে। টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে তারা নতুন নতুন উদ্ভাবন করছে। কিন্তু আর পাঁচটা বিষয়ের চেয়ে অন্ধ্রপ্রনরশিপ অনেকটাই আলাদা, তাই এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় স্কিল ও সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলোও চেনা ছকের বাইরে। -

■ আলোচনার শুরুতেই একটা বিষয় পরিষ্কার করে নেওয়া প্রয়োজন। ব্যবসা করা ও অন্ধ্রপ্রনরশিপের মধ্যে একটা তথ্যগত পার্থক্য আছে। পারিবারিক বিজনেসে যোগ দিয়ে আপনি একজন ব্যবসায়ী হতে পারেন; কিন্তু একজন অন্ধ্রপ্রনর সম্পূর্ণ নতুন কোনও মার্কেট ভেঞ্চার করবেন এবং একেবারে গোড়া থেকে তাঁর ব্যবসা শুরু হবে। এক্ষেত্রে প্রডাক্টের চাহিদা, মার্কেট ভ্যালু, মার্কেট সাইজ় সবটাই বিচার্য।

শুরু করার আগে...