প্যাক আপ হয়ে গেলে আমি চরিত্রকে সেটেই ছেড়ে আসি”

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী প্রিয়মণি। কাজ করেছেন পাঁচটি ইন্ডাস্ট্রিতে। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি তো বটেই হিন্দিতে সাম্প্রতিক ‘জওয়ান’, আর্টিকল ৩৭০' বা ‘ময়দান'-এ ছাপ ফেলেছেন তিনি। কথা বললেন মধুরিমা সিংহ রায়।

- মধুরিমা সিংহ রায়।

সম্প্রতি ‘ময়দান' মুক্তি পেয়েছে বড় পর্দায়। ছবি তো প্রশংসিত হচ্ছেই সর্বস্তরে, সঙ্গে আপনিও মুগ্ধ করেছেন। ‘সায়রা'র চরিত্রটি প্রথম যখন এল, কী মনে হয়েছিল? বনি কপূর আমাকে প্রথম ফোনটা করেছিলেন। উনি আমার স্বামীর খুব পরিচিত। ওঁরা একসঙ্গে কোনও ইভেন্টে কাজ করেছিলেন। তারপরে আমিও ফোনে ওঁর কথা শুনি। পরের দিন অফিসে যাই। বনি স্যর, অমিত শর্মার (পরিচালক) সঙ্গে দেখা করি। ন্যারেশন শুনি, আবার অফিসে যাই লুক টেস্টের জন্য। এক সপ্তাহ পরে শুটিং শুরু হয়। এভাবেই ‘সায়রা’ আমার জীবনে আসে। বনি স্যর যে আমার কথা ভেবেছিলেন চরিত্রটির জন্য, অমিত শর্মা যেভাবে পুরো শুটে আমাকে গাইড করে গিয়েছেন, তার জন্য ওঁদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।

২১ বছর হয়ে গেল ইন্ডাস্ট্রিতে। যদি খুব ভুল না হই ২০০৩-এ শুরু করেছিলেন। অভিনেতা হিসেবে নিজের উত্তরণকে কীভাবে দেখেন? ২০০২ সালে শুরু করেছিলাম আসলে। কিন্তু ছবি মুক্তি পায় একবছর পরে। সেই হিসেবে বছরগুলো গুণতে হবে (হাসি)। কিন্তু আমি ভীষণ খুশি যেভাবে আমার কেরিয়ার এগিয়েছে। এখন আমি জীবনের সেরা সময়ে আছি। বিশেষ করে আমি বলব, বিয়ের পরের কথা। আমার স্বামী (মুস্তাফা রাজ) আমার লাকি চার্ম । ও অয়েল অ্যান্ড গ্যাস বিজনেসে আছে, আমেরিকায় থাকে মূলত। তবে বিয়ের পর আমি আগের তুলনায় আরও ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। আরও বেশি কাজ করছি। ঠিক যেভাবে চেয়েছিলাম, সেরকমভাবেই এগোচ্ছি। নো রিগ্রেটস।

তামিল, তেলুগু, মালায়লম, কান্নাড়া, হিন্দি— এতগুলো ভাষায়, এতগুলো ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। মানিয়ে নিতে অসুবিধে হয়নি কখনও? ভাষা কখনও সমস্যা হয়নি আমার জন্য। আমার বড় হওয়া ব্যাঙ্গালোরে। ফলে আমি কান্নাড়া লিখতে, পড়তে পারি। আমার জন্মভিটে হল তামিলনাড়ু ও কেরলের সীমান্তের একটি জায়গা পালাক্কাড়ে।