মনে রাখার বিজ্ঞান

স্মৃতি কত ধরনের হয়? মাল্টিটাস্কিংয়ের নেপথ্যের বিজ্ঞান কী? কেউ কেউ কী ভাবে দারুণ মুখস্থ করতে পারেন? স্ট্রেসের সঙ্গেই বা মনে রাখার কী যোগ? সব নিয়ে আলোচনায় ভারতের প্রথম সারির মানসিক স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও কনসালট্যান্ট কেশব কুমার। লিখছেন মধুরিমা সিংহ রায়।

স্মৃ তিশক্তি বা মনে রাখার দু'টি দিক আছে: একটি হল মনস্তাত্ত্বিক দিক আর অপরটি স্নায়বিক দিক। প্রথমটির ক্ষেত্রে মূল ভিত্তি হল 'লার্নিং' বা শেখা। আপনি দৈনন্দিন জীবনে যা যা তথ্য সংগ্রহ করছেন, তার ভিত্তিতে যা শিখছেন, তা মস্তিষ্ক গুছিয়ে জমিয়ে রাখে। মস্তিষ্কের টেম্পোরাল লোবে তথ্য বা জ্ঞান ভান্ডার থাকে, যা হল সাধারণ চিন্তাভাবনা বা কনভেনশনাল থিঙ্কিংয়ের উৎস। মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে এর তিনটি অংশ আছে: লার্নিং, রিট্রিভাল ও রিকগনিশন। আবার স্নায়ুবিজ্ঞানের দিক থেকে স্মৃতিশক্তিকে নানা ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। সাধারণ ভাবে মূল দু'টি ভাগ হল: ডিক্লারেটিভ মেমরি ও প্রসিডিউরাল মেমরি। এই দু'টিই লং টার্ম মেমরি-র অন্তর্গত। প্রথমটি হল মূলত তথ্য, ডেটা বা ঘটনাক্রম মনে রাখা। আপনি যখন চাইবেন, তখন ব্যবহার করতে পারবেন এই স্মৃতিশক্তি। দ্বিতীয়টি হল দক্ষতা-ভিত্তিক। মানে, কোনও একটি কাজ কী ভাবে করবেন... সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটতে পারা বা অন্য যে কোনও বিষয় যা রপ্ত করতে হয়, তা-ই হল প্রসিডিউরাল বা মাসল মেমরি। অভ্যেস করতে করতে এই দক্ষতা আপনি রপ্ত করে ফেলতে পারবেন। কোনও বিষয়ে মনোযোগ দিলে মস্তিষ্ক সেই তথ্যকে গুছিয়ে সঞ্চয় করে। তথ্য ‘অর্গানাইজ়’ করে মূলত ফ্রন্টাল লোব। এই তথ্য এর পরে টেম্পোরাল লোবে স্থানান্তরিত হয়।