গাড়ি অউর আগে নেহি যায়েগা স্যর। আগে রাস্তা নেহি হ্যায় । আপ লোগো কা হোম স্টে ইয়াহাঁ সে আধা কিলোমিটার দুরি পর হ্যায়...” গাড়িটা দাঁড় করিয়ে আমাদের ড্রাইভার কার্তিক নিস্পৃহ গলায় বলে উঠল। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে হিমাচলের কুল্লু। সাঁঝের বেলায় স্যান্জ ভ্যালির স্বল্প পরিচিত শানগড় গ্রামের ঠিক কোনখানে কার্তিক আমাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দিল তা ঠিক মতো ঠাওর করতে না পারলেও, ঠান্ডাটা ভালই মালুম হল। কার্তিক হিমাচলের ছেলে। কিন্তু সে-ও দেখলাম, গায়ে জ্যাকেটটা চাপিয়ে নিল। গাড়ির আলোয় দেখলাম, ফুট চারেক উঁচু কাঠের একটা ডান্ডার উপরে টিনে লেখা হোম স্টে-র নাম। মোবাইলটা পকেট থেকে বার করে দেখলাম, ফুল টাওয়ার আছে। হোম স্টে-র মালিককে ফোন করলাম। লাগেজ বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য লীলাধর নামে একটি ছেলেকে পাঠাচ্ছেন তিনি। এখানকার অধিকাংশ হোম স্টে পর্যন্ত গাড়ি যায় না। তাই হোম স্টে থেকে লোক পাঠিয়ে লাগেজ নিয়ে যাওয়াটাই দস্তুর। যদিও আমাদের লাগেজ বলতে দু'জনের দুটো রুকস্যাক। শানগড় কিন্তু আমাদের এ বারের ভ্রমণসূচীতে ছিল না। আমাদের পরিকল্পনা ছিল স্পিতি ভ্যালির দোসর লাহৌল ভ্যালিতে তিনটে রাত কাটানোর। সেই মতো আমরা পয়লা এপ্রিল হাওড়া থেকে রাত ৯টা ৫৫ মিনিটের নেতাজি এক্সপ্রেসে চেপে বসেছিলাম। সে দিন ট্রেন ছাড়ার পরেই ভ্রাতৃপ্রতিম দেবজ্যোতি কৌতুক মিশ্রিত আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, “দাদা, পয়লা এপ্রিলে যাত্রা শুরু করলাম, এপ্রিল ফুল হতে হবে না তো?” সেই শুনে আমি হো হো করে হেসে উঠেছিলাম, আর আমার হাসি শুনে বোধ করি উপরওয়ালাও মুচকি হেসেছিলেন। এপ্রিলের তিন তারিখে চণ্ডীগড় থেকে মানালি পৌঁছে আমরা সত্যি সত্যিই এপ্রিল ফুল হয়ে গেলাম! প্রবল তুষারপাতের পরে মানালি থেকে অটল টানেল পেরিয়ে লাহোল ভ্যালির শিশু-তান্দি-কেলং-জিসপা হয়ে দারচা ব্রিজ পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা খোলা থাকলেও, সেখানকার হোটেল এবং হোম স্টেগুলো পর্যাপ্ত কর্মচারীর অভাবে বন্ধ। স্বপ্নের দেশ লাহৌল ভ্যালিতে রাত্রিবাসের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল! কিন্তু আমাদের ফেরার ট্রেন আরও তিন দিন পরে। তা হলে এই তিনটে দিন আমরা কাটাব কোথায়?
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।