ইন্ডি মিউজ়িশিয়ান হওয়ার এটাই সেরা সময়

প্লেব্যাক থেকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিউজিক—কম বয়সে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন আরমান মালিক। কলকাতায় মুখোমুখি মধুরিমা সিংহ রায়।

কলকাতায় এর আগেও অসংখ্য বার এসেছেন। প্রতিবার কেমন লাগে শহরটাকে? প্রচুর স্মৃতি কলকাতার সঙ্গে। ছোটবেলায় আমার অন্যতম প্রথম পাবলিক পারফরম্যান্স ছিল এই শহরে, ‘কলামন্দির’-এ। একটি রিয়্যালিটি শোয়ের পরপরই ছিল সেই পারফরম্যান্স। অনেক আশীর্বাদ ও ভালবাসা পেয়েছি বাংলা থেকে। আমার গানেরও প্রচুর অনুরাগী কলকাতায়। বাংলাতেও একাধিক বার গেয়েছি। ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ...

আরও আছেন। আর এখানকার খাবারের কথা আলাদা করে কী বলব! ভেটকি পাতুরি আমার প্রিয়।

এত কম বয়সে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। সাফল্যও এসেছে কম বয়সে। ফিরে দেখলে কী মনে হয়? ইটস বিন কোয়াইট আ লং জার্নি। আট বছর বয়সে শুরু করি। পেশাগত ভাবে, প্রায় ১৬ বছর ধরে গাইছি। পুরো জার্নিকে কয়েকটি ভাগে বা স্তরে ভাগ করা যেতে পারে। প্রথমে আমি শিশুশিল্পী ছিলাম।

তার পরে জিঙ্গলসের পাশাপাশি সিনেমায় গাইতাম। এর পরের পর্যায়ে পপ মিউজ়িকে ফোকাস করি। আবার ছোট্ট ব্রেকের পরে সিনেমায় প্লেব্যাক শুরু করি। সলমন খানের 'জয় হো' থেকে বলিউডে পুরোদমে কাজ শুরু। ফিরে দেখলে গর্বই হয়, এত কিছু অ্যাচিভ করতে পেরেছি। এতগুলি ভাষায় গেয়েছি, প্রায় ১২-১৩টি ভাষা তো হবেই। শিখে চলেছি নিরন্তর। আসলে, অনেক বছর ধরে একই কাজ করলে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করা মুশকিল হয়ে যায়। তখন একটু একঘেয়েমি আসতে পারে। তাই, শিল্পী হিসেবে সব সময় নিজেকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছি। দ্যাট ইজ দ্য ট্রিক টু হ্যাভ আ লংগার এক্সাইটিং কেরিয়ার।