'পু জোর যে নতুন ফ্লেক্সগুলো যাবে, তাতে ঋজুরেখ সান্যালের ছবি থাকবে তো?” রমানাথ ঘোষাল নস্যির ডিবেটা পকেট থেকে বার করে উপস্থিত সদস্যদের উদ্দেশে প্রশ্নটা ভাসিয়ে দিলেন। দেবকান্ত মজুমদার ধুতির কোঁচাটা ঝেড়ে বললেন, “অবশ্যই। কনফার্ম হয়ে গিয়েছে, তাই তো ঋজুর নমস্কারের ভঙ্গির ছবিটা দিয়ে দিয়েছি। আহা যেন মনে হচ্ছে, ঋজুই আমাদের পুজোয় আসার জন্য হাত জোড় করে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে উৎসবমুখর মানুষজনকে।” সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়ে গিয়েছে যে, এ বছর ঋজুকে সম্বর্ধনা দেওয়া হবে। ঋজুকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। প্রীতম বলল, “আরও আগে ঠিক হলে যাবতীয় কাটআউট, ব্যানার, হোর্ডিংয়ে শুরু থেকেই ঋজুর ছবি রাখা যেত।” বছর চারেক আগে ঋজু এই ক্লাব ঘরে বসে আড্ডাও মেরে গিয়েছে। আজ না হয় ও সেলেব্রিটি। তখন সকলে জানত, ঋজু থিয়েটার করে আর ফিল্ম লাইনে টুকটাক কী সব কাজ করে। পার্থ, বুবানরা বলত, “ঋজু তুই টিভি সিরিয়াল করলে তো পারিস!” চঞ্চলদা ঘাড় নেড়ে সায় দিয়েছিল, “আমার বৌও বলে, “ঋজু ঠাকুরপোকে সিরিয়ালের হিরো যা মানাবে না! ব্যাপক।' ঋজু মৃদু হাসত। তখন কে জানত, ব্যাটার পেটে পেটে এত!”
ঋজুর স্বপ্ন ছিল সিনেমার অভিনেতা হওয়ার। সিনেমায় ছোটখাটো অথচ গুরুত্বপূর্ণ কাজও যদি করা যায়! সে চেষ্টার কসুর রাখত না। স্টুডিয়ো পাড়ায় ঘোরাঘুরি, ডিরেক্টর প্রোডিউসারদের কাছে নিয়মিত আপডেটেড পোর্টফোলিয়ো দেওয়া। তার পর এক দিন সত্যি বিড়ালের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ল। এক তরুণ পরিচালকের একটা সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ কাজ পেল। সেখান থেকে নজরে পড়ে আর এক পরিচালকের। তিনি রিয়ালিস্টিক ফিল্ম বানান। সেখানে মেয়ে পাচারচক্রের দালালের রোল করে হইচই ফেলে দেয় ঋজু। ভাগ্যক্রমে সেই ছবিটি হিন্দিতে হয়, সেখানেও ঋজুই নিজের রোলটা করে। আর তার নায়িকা জাতীয় পুরস্কার পায়। ঋজুও আসে লাইমলাইটে। গত বছর মুম্বইয়ে দু'তিনটে কম বাজেটের প্রোডাকশনে কাজ পায় ঋজু। তার মধ্যে একটা সুপারহিট। ঋজুর চরিত্রটাও। ইউটিউবে দুটো শর্ট ফিল্ম করেছে। একটা পপুলার টিভি সিরিজ় করছে। ভারত বিখ্যাত এক ফিল্মমেকারের সঙ্গে সদ্য কাজ শেষ করেছে। ট্রেলার দেখে বোঝা যাচ্ছে, ওর চরিত্রটা গুরুত্বপূর্ণ।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।