• সচেতনভাবে আমার অভিনয় জীবন শুরু হয়নি। অজান্তেই কখন অভিনয় করে ফেলেছি, জানি না। দেখতে দেখতে এই পেশায় কেটে গেল ৪৪ বছর। সাড়ে তিন বা চার বছর বয়সে প্রথম মঞ্চে উঠেছি। পিএলটি-র রিহার্সাল হতো আমাদের বাড়িতে। আমার বাবা শান্তিগোপাল মুখোপাধ্যায় একাধারে পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা ছিলেন। পিএলটি, অভিনেতৃ সঙ্ঘর ট্রেজারার ছিলেন বাবা। আমার বাড়িতে সকলে কাকু, জেঠু। ভানু জেঠু (বন্দ্যোপাধ্যায়), দিলীপ কাকু (রায়), অনুপ জেঠু (কুমার), উৎপল জেঠু (দত্ত), উত্তম জেঠ (কুমার)।
চার বছর বয়সে প্রথম স্টেজে উঠেছিলাম। যতদূর মনে পড়ে নাটকের নাম ছিল ‘দুঃস্বপ্নের নগরী'। অথবা ‘তিতুমীর’ও হতে পারে। উইংসের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। উৎপল জেঠু হাত ধরে নিয়ে স্টেজে ঢুকে একটা জায়গায় বসিয়ে দিলেন। সেই প্রথম অভিনয় চলাকালীন স্টেজে ওঠা। এরপর পিএলটিতে প্রচুর ছোটখাট রোল করেছি। মরা সৈনিক হয়ে পড়ে থেকেছি। তরোয়াল নিয়ে যুদ্ধ করেছি। একবার তরোয়াল চালাতে গিয়ে মৃণালকাকুর (ঘোষ) পা কেটে দিয়েছিলাম। তরোয়ালটা তো টিনের ছিল। আমি চালাতেই সঙ্গে সঙ্গে কেটে গিয়েছে। আমি তখন ছোট মেয়ে। কিন্তু আমাকে উৎপল জেঠু বলেছিল, ‘আপনি সাত দিনের জন্য সাসপেন্ড।' সাসপেন্ড মানে, রিহার্সালে সময়মতো যেতে হবে। কিন্তু বাইরে বসে থাকতে হবে। ওটাই শাস্তি।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।