ন্যদিন মধ্যবয়স্ক অনীক এই সময় খবরের কাগজে মুখ গুঁজে দেন। বহু পুরনো অভ্যেস ত্যাগ করতে পারেননি। খবর কাগজে খবরের যেমন গন্ধ থাকে তেমন ওই অজস্র কালো বর্ণ বা শব্দের মধ্যে একটা আলাদা গন্ধ থাকে। সুখ যেমন ফুলের মতো ছড়িয়ে থাকে, খুঁজে নিতে হয়, তেমন কোন শব্দের সমাহার পড়বেন, কীসে ভালো লাগা জড়িয়ে থাকে তা উনি খুঁজে নেন। কিন্তু আজ গানটা সব ওলটপালট করে দিল। শ্রেয়সী টিভির মিউজিক চ্যানেলে সুমনের গান শুনছিল।
‘দেখা হবে তোমায় আমায় অন্য গানের ভোরে ... 'একটা গানের লাইনের অনেক মানে থাকে। এই মুহূর্তে অনীক হারিয়ে যান সেই গানের ভোরে! ভোর মানে শুরু হওয়া। হ্যাঁ, সেটা প্রেমেরও তো ভোর ছিল। মেয়েটির সঙ্গে দেখা হয়েছে। যথেষ্ট সুন্দরী। কচিকাঁচা হলুদরঙা, মিষ্টি হাসির মেয়ে। ভালো লেগেছে। যেভাবে ভালো লাগে ভোরের সূর্যকে। সেই ভালোলাগা কখন যেন ভালোবাসা হয়ে নদীর মতো বুকের মধ্যে বইতে শুরু করল। সেই প্রথম আউটরাম ঘাটে দুজন মুখোমুখি। পরিত্যক্ত এক কাঠের ভেসেলের জেটিতে। লোহার থাম্বা। মাথামোটা সুন্দর বসার জায়গা। এটিতে লঞ্চের নোঙরের দড়ি বাঁধা হতো। মেয়েটি একটা চাঁপারঙের সিল্কের শাড়ি পরেছিল। প্রেমের রেণু জড়ানো বাতাসে বাগ মানছিল না আঁচল। মেঘের মতো চুল যেমন এলোমেলো হচ্ছিল তেমন শাড়ির আঁচল। বেচারি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম। ওর লাজুক মুখ অবিন্যস্ত উড়ে চলা চুল, বাতাসে বারবার এলোমেলো হয়ে যাওয়া শাড়ি সব মিলিয়ে অনীকের বেশ লাগছিল। যেন পিকাসোর আঁকা ছবি। বললেন, থাক না! বাতাসের কাজ বাতাস করছে। করতে দিন। আপনার আজ গান গাওয়ার কথা তাই বরং গান। আমার গান খুব ভালো লাগে। শরীর মনের ভালো লাগার এক দারুণ টোটকা।
—তাই বুঝি। কীভাবে বুঝলেন? -ছোট বয়েসে প্রথম প্রেমে চোট খেয়ে এই গানের আশ্রয় নিয়েছিলাম। বাড়িতে পুরনো দিনের দম দেওয়া কলের গান ছিল। দুপুরে মান্না দে'র বিরহের গানের এলপি রেকর্ড চালিয়ে দিতাম। রোগের মলম হিসেবে কাজ করেছিল। মেয়েটি বেশ অবাক হলেন। বাহ্ ছেলেটি কত সহজে তার প্রথম প্রেমের কথা বলে ফেলল। -তার মানে আমি দ্বিতীয়! -তাও বা হলেন কোথায়? আগে গান শুনি। খালি গলায় ? হারমোনিয়াম ছাড়া গাওয়া যায়। -এক কাজ করুন। এখানে আপনি ওয়েট করুন। আমি বউবাজার থেকে একটা হারমোনিয়াম কিনে আনি। –বা রে, আমি তা বললাম কোথায়? আপনি একদম ছেলেমানুষ! তবে রাগলে বেশ লাগে।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।