শাসুজিত বসাক শ্বেতী হাতে ক্রেপ ব্যান্ডেজ বেঁধে দিতে দিতে বলল, ‘এখনও আগের মতোই ব্যথা আছে?' সোমপ্রভা অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে বললেন, ‘এ শা ব্যথা সহজে যাবে না। তাড়াতাড়ি করো...।' শাশ্বতী হাসল, ‘কথায় কথায় এত রেগে যান কেন বলুন তো? রাগলে আপনার শরীর খারাপ হয়, বোঝেন না? ' “হোক। ওসব নিয়ে তোমার মাথাব্যথা করতে হবে না।' ‘তাহলে কে করবে? অন্য সময় তো বলেন, তুমি ছাড়া আমার কেউ নেই।'
‘ভুল বলি। আমি একা ছিলাম, একাই থাকব। একা একাই একদিন মরেও যাব। যেদিন স্বামী মরেছে সেদিন থেকেই আমি একা। যে মেয়েরা কিছু করে না, স্বামী মলে তাদের কিছুই থাকে না। তোমাদের মতো লেখাপড়া করে চাকরিবাকরি করার সুযোগ আমরা পাইনি। বাবা-মা নামমাত্র পড়িয়ে বিয়ে দিয়ে বেঁচেছিল। ভাইবোন মিলিয়ে সাতজন ছিলাম। পড়াশোনার ক্ষেত্রে ছেলেরা অগ্রাধিকার পেয়েছিল। তবুও মিনুটা নিজের জেদে অনেকটা লেখাপড়া শিখে চাকরিও পেয়েছিল। তখন বুঝিনি, ইস্কুল ছাড়িয়ে বাবা যখন বিয়ের কথা বলল, অমনি আহ্লাদে আটখানা হয়ে ধেই ধেই করতে করতে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলাম। তুমি আমার কষ্টটা বুঝবে না।’ সোমপ্রভার এইসব গল্প কয়েক হাজারবার শুনেছে শাশ্বতী। রাগ হলেই শুরু করেন। কে শুনল আর না শুনল না, ওদিকে কোনও খেয়াল থাকে না। আসলে এসব তিনি নিজেকেই শোনান। একধরনের আত্মতৃপ্তি অনুভব করেন। কিংবা সান্ত্বনা খুঁজে পান।
ব্যান্ডেজ বাঁধা শেষ করে শাশ্বতী বলল, 'আমারও তো স্বামী নেই। স্বামী একজন মানুষ, আর মানুষের মৃত্যু বলেকয়ে আসে না। যে মানুষটি মরে যায়, সে আর একটা মানুষের সবকিছু কী করে নিয়ে যেতে পারে? হ্যাঁ, মানছি আপনার কোনও চাকরি ছিল না। পরনির্ভরশীল ছিলেন। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কুফলগুলি আপনাকে পুরোমাত্রায় ভোগ করতে হয়েছে। কিন্তু আপনি বেশ কিছু ভালো মানুষের সান্নিধ্যও পেয়েছেন। সবাই সবটা পায় না। যেটুকু পাওয়া যায় সেটুকু আঁকড়েই বাঁচতে হয়, তাই না?' “তা ঠিক। মান্টি একটা গান চালায়, ‘সব পেলে নষ্ট জীবন'। আমি শুনি। বেশ লিখেছে ছেলেটা।'
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
মাণ্ডবী নদী ও দুধসাগর
ভারতীয় সংস্কৃতিতে নদীকে ভগবান হিসেবে পূজা করা হয়। নদীর তীরে গড়ে ওঠে সভ্যতা, তাই বোধহয় এই রীতি। লিখেছেন পূর্বা সেনগুপ্ত।
কাছেপিঠে
সপ্তাহান্তের ছোট্ট ছুটিতে যাওয়ার মতো পাঁচটি গন্তব্যের খবর দিলেন তাপস কাঁড়ার।
মেলার টানে
বৈচিত্র্যময় দশটি মেলার সন্ধান দিচ্ছেন অরিন্দম ঘোষ৷
শীতের রূপকথা
শীত মানেই পিকনিক, পিঠে পরব। গ্রীষ্মপ্রধান দেশে এক মায়াবী রূপকথা। লিখছেন অনিরুদ্ধ সরকার।
সীমানা পেরিয়ে
সীমানা পেরিয়ে\" বইটি ঘিরে অর্ক ও রজতের গল্প একদিকে স্মৃতির মধুর পরশ, অন্যদিকে ক্ষতির মর্মব্যথা নিয়ে এক অনন্য রূপ নিয়েছে। বইটি শুধুমাত্র একটি উপন্যাস নয়, এটি অর্কর শৈশব থেকে কৈশোর, বন্ধুতা, এবং জীবনের গভীর অনুভূতির প্রতীক। বইটি হারানোর বেদনাকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর সম্পর্কের জটিলতা ও স্মৃতিচারণার মধুর দোলাচল সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। এটি পাঠককে জীবনের ক্ষণস্থায়ীত্ব এবং অতীতের মায়ার গভীরতায় ডুবিয়ে দেয়।
শেফের রেসিপি
শীতের সময়ে ঘরে তৈরি পুরভরা পরোটা খাওয়ার মজাই আলাদা। আলু বা কপির পুর দিয়ে তৈরি এই পরোটা, গরম গরম খেলে উপভোগ করা যায় একদম আলাদা। আলু পরোটা ও কপির পরোটা, দুইটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু বিকল্প, যা ঘিয়ে ভেজে কিংবা তন্দুরে সেঁকে পরিবেশন করা হয়। এই পরোটা সিজনের সেরা রেসিপি যা শীতকালীন খাবারের স্বাদ আরো বিশেষ করে তোলে।
‘সিনেমার হিরো হওয়ার জন্য ১২ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে'
বছরের শুরুতে সোজাসাপ্টা নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন চট্টোপাধ্যায়। অভিনেতা বিক্রম লিখছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
কলকাতার রোল আর বিরিয়ানি সব খেতাম!
একসময়ে কব্জি ডুবিয়ে খেতেন বাংলা তথা হিন্দি ছবির প্রবীণ এবং জনপ্রিয় অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এখন অবশ্য মেপেজুপে খাওয়া। সাক্ষাৎকারে দেবারতি ভট্টাচার্য।
‘যা বলতে চাই’
কারও অভিনয় জীবন দীর্ঘ, কারও বা সবে শুরু। কেউ আবার ক্যামেরার পিছনে কাজ করতেই বেশি ভালোবাসেন। ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞতা, ভালোলাগামন্দলাগা, চাওয়া-পাওয়া মন খুলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এবার কলম ধরলেন অনুরাধা রায়।
ফেলু বক্সী
টলিউডে বিভিন্ন ধরনের ছবি নির্মিত হচ্ছে, তার মধ্যে একটি ছবি ফেলু বক্সীর বিষয়ে কথা বলছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।