ধা ন কাটা চলছে। সারাদিন পরিশ্রম গেছে খুব। জমি | সুবলের বেশি নয়, মাত্রই পাঁচ বিঘে। কিন্তু মানুষও তো একটাই। একা হাতে সব করা। তাই সন্ধের মুখে হা ক্লান্ত হয়ে পবনের চায়ের দোকানে ঢুকেছিল সুবল। ঘরের লাগোয়া পবনের চায়ের দোকান। সামনের দিকে বাঁশের খুঁটির ওপর খড়ের ছাউনি। বাঁশের মাচা কেটেই বসার ব্যবস্থা। ছোটমতো একখানা বেঞ্চিও আছে। একধারে মাটির উনুন। কদিন ধরে ঠান্ডা পড়েছে খুব। ধানকাটার সময় ফুলহাতা শার্টখানা পরে নেয় সুবল। তার ওপর পুরনো আলোয়ানখানা জড়িয়েও জাড় কাটছে না। পবনকে চা বানাতে বলে তাই উনুনের ধার ঘেঁষে ভিতর দিকটায় বসেছে। উনুনের আঁচে ওম হচ্ছে বেশ। গরম চা ধরিয়ে দিয়ে পবন ভিতরে গেছে। দু'হাতের মধ্যে গেলাসটা ধরে আরামে চুমুক দিচ্ছিল সুবল, এমন সময় বাইরে গলার আওয়াজ পাওয়া গেল। দু’খান চা দাও গো মোড়লের পো... । বোসো টুকচান....আসছি আমি...।
ঘরের ভিতর থেকেই সাড়া দেয় পবন। গলার আওয়াজে সুবল বুঝতে পারে বাগদি পাড়ার হারান আর নিমাই। সুবলকে দেখতে পায়নি ওরা। কথা বলছে নিজেদের মধ্যে। ধান কেমন হয়েছে, আলু বোনা কবে থেকে হবে, এসব কথার মধ্যেই হঠাৎ ললিতার নামটা শুনে কান খাড়া হয়ে যায় সুবলের। গলাটা হারানের, ইয়াকুবের সঙ্গে ললিতার নাকি নিকা হবে শুনছি। নিমাইদা? কুথা থেকে শুনলি। আমি তো অমন কিছু শুনি নাই।
হুঁ গো। পাড়ার সবাই বলছে। সেদিন রহিমচাচার বাড়ি গেছিলাম, তখন শুনে এলাম। ইয়াকুবের তো বিবি আছে। মেয়ে দুটোও তো বড় হয়ে উঠল...। তা আছে। কিন্তু রহিমচাচা বলল, ললিতার কথাটাও তো ভাবতে হবে। একলা মেয়েমানুষ। ছোট একটা বাচ্চা। শ্যালকুকুরে তো ছিঁড়ে খাবে। ইয়াকুবের বাপই নাকি কথাটা তুলেছে। বাড়ির বউয়ের কথা তো তাদেরই ভাবতে হবে। কথাটা খুব ভুল নয় রে হারান। মেয়েটার তো বাপ-ভাই কেউ নাই। একলা থাকবে কী করে... রোজগারও নাই কুনও। গলাটা একটু নামিয়ে নেয় হারান, কিন্তু ললিতার তো নাকি মত নাই। বলেছে, আমি গেরামেরই মেয়ে, আমার ভয় কাকে। নিজে খেটে ছেলেকে মানুষ করব। কারও ঘরে ঝিগিরি করতে যেতে পারব না।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
মাণ্ডবী নদী ও দুধসাগর
ভারতীয় সংস্কৃতিতে নদীকে ভগবান হিসেবে পূজা করা হয়। নদীর তীরে গড়ে ওঠে সভ্যতা, তাই বোধহয় এই রীতি। লিখেছেন পূর্বা সেনগুপ্ত।
কাছেপিঠে
সপ্তাহান্তের ছোট্ট ছুটিতে যাওয়ার মতো পাঁচটি গন্তব্যের খবর দিলেন তাপস কাঁড়ার।
মেলার টানে
বৈচিত্র্যময় দশটি মেলার সন্ধান দিচ্ছেন অরিন্দম ঘোষ৷
শীতের রূপকথা
শীত মানেই পিকনিক, পিঠে পরব। গ্রীষ্মপ্রধান দেশে এক মায়াবী রূপকথা। লিখছেন অনিরুদ্ধ সরকার।
সীমানা পেরিয়ে
সীমানা পেরিয়ে\" বইটি ঘিরে অর্ক ও রজতের গল্প একদিকে স্মৃতির মধুর পরশ, অন্যদিকে ক্ষতির মর্মব্যথা নিয়ে এক অনন্য রূপ নিয়েছে। বইটি শুধুমাত্র একটি উপন্যাস নয়, এটি অর্কর শৈশব থেকে কৈশোর, বন্ধুতা, এবং জীবনের গভীর অনুভূতির প্রতীক। বইটি হারানোর বেদনাকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর সম্পর্কের জটিলতা ও স্মৃতিচারণার মধুর দোলাচল সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। এটি পাঠককে জীবনের ক্ষণস্থায়ীত্ব এবং অতীতের মায়ার গভীরতায় ডুবিয়ে দেয়।
শেফের রেসিপি
শীতের সময়ে ঘরে তৈরি পুরভরা পরোটা খাওয়ার মজাই আলাদা। আলু বা কপির পুর দিয়ে তৈরি এই পরোটা, গরম গরম খেলে উপভোগ করা যায় একদম আলাদা। আলু পরোটা ও কপির পরোটা, দুইটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু বিকল্প, যা ঘিয়ে ভেজে কিংবা তন্দুরে সেঁকে পরিবেশন করা হয়। এই পরোটা সিজনের সেরা রেসিপি যা শীতকালীন খাবারের স্বাদ আরো বিশেষ করে তোলে।
‘সিনেমার হিরো হওয়ার জন্য ১২ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে'
বছরের শুরুতে সোজাসাপ্টা নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন চট্টোপাধ্যায়। অভিনেতা বিক্রম লিখছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
কলকাতার রোল আর বিরিয়ানি সব খেতাম!
একসময়ে কব্জি ডুবিয়ে খেতেন বাংলা তথা হিন্দি ছবির প্রবীণ এবং জনপ্রিয় অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এখন অবশ্য মেপেজুপে খাওয়া। সাক্ষাৎকারে দেবারতি ভট্টাচার্য।
‘যা বলতে চাই’
কারও অভিনয় জীবন দীর্ঘ, কারও বা সবে শুরু। কেউ আবার ক্যামেরার পিছনে কাজ করতেই বেশি ভালোবাসেন। ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞতা, ভালোলাগামন্দলাগা, চাওয়া-পাওয়া মন খুলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এবার কলম ধরলেন অনুরাধা রায়।
ফেলু বক্সী
টলিউডে বিভিন্ন ধরনের ছবি নির্মিত হচ্ছে, তার মধ্যে একটি ছবি ফেলু বক্সীর বিষয়ে কথা বলছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।