CATEGORIES
আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়
এক যে ছিল পরিপাটি আহ্লাদী এক মেয়ে। হঠাৎ করে ফিফথ গিয়ারে ছুটল সেই মেয়ে। ট্যাক্সি চালানাে তার পেশা। সেই ডানপিটে কন্যে নিজেই বলে, মেয়েরা মঙ্গল গ্রহে পাড়ি দিচ্ছে, আর ট্যাক্সি চালাতে পারবে না! কিন্তু এমনটা তাে হওয়ার কথা নয়। কারণ, এই গল্পের নায়িকা তাে উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে। আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়’ মেগার নায়িকা ঊর্মি নাচ, গান, ফোটোগ্রাফি সবই শিখেছে, কিন্তু অল্প বিস্তর। অন্যকিছু না জানলেও সে ট্যাক্সি চালাতে ওস্তাদ। সমাজের উঁচুতলা থেকে কেন ঊর্মির এই পথে নামার তাগিদ।
কে বলেছে বলিউডে নেপােটিজম নেই: প্রাচী দেশাই
টানা বিরতির পর প্রায় চার বছর বাদে অভিনয়ে | ফিরলেন বলিউড অভিনেত্রী প্রাচী দেশাই। কেরিয়ারের শুরুতে টেলি অভিনেত্রী হিসাবে তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে বলিউডে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন। সম্প্রতি জি ফাইভ-এ মুক্তি পেয়েছে তাঁর ‘সাইলেন্স’ ছবিটি। অবন ভারুচা দেওহংস পরিচালিত এই ছবিতে তিনি এক দাপুটে পুলিস অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। টেলিফোন সাক্ষাৎকারে প্রাচী এই ছবি সহ তাঁর জীবনের নানা কথা জানালেন।
ওলিম্পিকসে ভালাে | ফল করতে চান সুতীর্থা
টোকিও ওলিম্পিকসে বাঙালি | প্রতিনিধি। টেবিল টেনিস তারকা সুতীর্থ মুখার্জি গেমসে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাঁর প্রতি পদক জয়ের প্রত্যাশা বেড়েছে। একটা সময় ওলিম্পিক টিমে একাধিক বাঙালি ক্রীড়াবিদ থাকতেন। এখন তা ঝিনুকের মধ্যে মুক্তো পাওয়ার শামিল।
ইচ্ছা ছিল সেনাবাহিনীতে যােগ দেওয়ার: মাহি গিল
অভিনেত্রী মাহি গিল। বলিউডে নিজের এক স্বতন্ত্র পরিচয় ইতিমধ্যেই গড়ে তুলেছেন। একের পর এক ভিন্ন ধারার ছবিতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে। কয়েক দিন। আগেই হটস্টার ডিজনি-তে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘১৯৬২: দ্য ওয়ার ইন দ্য হিলস'। এই সিরিজে তিনি। একজন সৈনিকের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মাহি জানালেন তাঁর জীবনের নানা কথা।
অপূর্ণ ইচ্ছে
আজ এই চৌষট্টি বছর বয়সে পৌঁছে পিছন ফিরে তাকালে মনে হয়, আমার জীবনে একটা এমন ঘটনা ঘটেছে, যার কোনও ব্যাখ্যা নেই আমার কাছে। তখন আমাদের তিনতলার ছাদের ঘরে সদ্য মাতৃমূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। একেবারে নিজস্ব মন্দির, আমার নিভৃত উপাসনাস্থল। মনে হতাে সবসময় স্তবস্তুতি, চণ্ডীপাঠ, গীতাপাঠ করি। করতামও তাই। সংসারের সব কাজ সেরে যখন কালীমায়ের সামনে বসতাম, নিজের মনে এক অদ্ভুত প্রশান্তি অনুভব করতাম।
রাজা-প্রজার সম্পর্ক?
কারও প্রতি নেতিবাচক জনমতকে একটি ইতিবাচক বিকল্পের অনুকূলে বওয়াতে না পারলে যে লাভ নেই, এই সহজ কথাটা আর কেউ বুঝুক না বুঝুক বিজেপি নেতারা বােঝেন বিলক্ষণ।
রাজা প্রসেনজিৎ ও স্থবির আনন্দ
তথাগত বুদ্ধ ও তাঁর সঙ্রে প্রতি অনুগত ছিলেন কোশলরাজ প্রসেনজিৎ। তিনি নিজে বুদ্ধের কাছে ধর্মব্যাখ্যা শােনার জন্য নিয়মিত যাতায়াত করতেন।
মুখােশ
মুখােশটা এতটাই সুন্দর ছিল যে, বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে গা শিরশির করে উঠত। কয়েক বছর আগে সিমলা বড়াতে গিয়ে ম্যাল থেকে কিনেছিলাম। অবশ্য বলা ভালো আমার মেয়ের আবদারে কিনতে বাধ্য হয়েছিলাম। মনে আছে, সেদিন খুব বৃষ্টি পড়ছিল, পাহাড়ি জায়গায় বৃষ্টি নিয়মহীন। ম্যালের বেশিরভাগ দোকানই বন্ধ ছিল। আত্মীয়-স্বজনের জন্য সিমলার স্মৃতি হিসাবে কিছু উপহার কেনার জন্যই ম্যালে ঘােরাঘুরি করছিলাম, তখনই এই দোকানটা আমাদের নজরে আসে। ম্যালের প্রায় শেষের দিকে দোকানটা, প্রচুর উপহার সামগ্রীতে ভরা। একদম কোণের দিকে টাঙানাে ছিল মুখােশটা, ভয়ঙ্কর সুন্দর, বেশিক্ষণ তাকানাে যায় না। মেয়ে ওই মুখােশটা কেনার জন্য নাছােড়বান্দা। শেষমেশ কিনেই ফেললাম মুখােশটা।
থ্রিডি প্রিন্টারে তৈরি আস্ত বাড়ি
আমরা কম্পিউটারে কোনও লেখা বা ছবি ছাপার জন্য | প্রিন্টার ব্যবহার করে থাকি। মাত্র এক ক্লিকেই অল্প সময়ের মধ্যে লেখা বা ছবি প্রিন্টার থেকে বেরিয়ে আসে। এখন এসে গিয়েছে থ্রিডি বা ত্রিমাত্রিক প্রিন্টার। স্বাভাবিক প্রিন্টারের মতাে এখনও সেটির বহুল ব্যবহার শুরু হয়নি। ঠিকই, কিন্তু এর দ্রুত উন্নতি ঘটছে। ইতিমধ্যে থ্রিডি প্রিন্টারের সাহায্যে পরীক্ষামূলকভাবে হৃৎপিণ্ড তৈরি করাও সম্ভব হয়েছে। আগামিদিনে হয়তাে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এই বিশেষ ধরনের প্রিন্টারের সাহায্যে তৈরি করা সম্ভব হবে। তবে এবার একটা আস্ত বাড়ি থ্রিডি প্রিন্টারের সাহায্যে তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে নিউইয়র্কের একটি সংস্থা।
মৃত্যুর মতাে সুন্দর
সরু পায়ে চলা পথটা দিয়ে যেতে যেতে সহদেব টের পেল আবার বমির বেগটা আসছে। তলপেটের ব্যথাটা আবার। মােচড় দিচ্ছে। প্রতিটি পদক্ষেপেই মনে হচ্ছিল তলপেটে একটা ধাক্কা লাগছে। কিছু একটা উঠে আসতে চাইছে তলপেট থেকে গলা বেয়ে। সহদেব জানে কী বেরিয়ে আসবে। আশ্চর্য! যখন খেয়েছিল, তখন সেই খাবারের কী মিষ্টি স্বাদ ছিল। আর যখন সেটাই বমি হয়ে গলা বেয়ে উঠে আসছে, তখন কী অসম্ভব তেতাে তার স্বাদ। যেন একটু আগে খাওয়া পায়েসের সঙ্গে সমস্ত জীবনে পাওয়া সব অপমান, হাজার বছরের অভিমান, যত দুঃখসব বেরিয়ে আসছে হড়হড় করে।
নিরামিষ প্রােটিন সয়াবিন
জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র উৎকৃষ্ট মানের উদ্ভিজ্জ প্রােটিন খাবার হিসেবে সয়াবিন অত্যন্ত জনপ্রিয়। নিরামিষাশীদের আহারে মাছমাংসের উত্তম বিকল্প হতে পারে সয়াবিনের তৈরি নানারকমের খাবার। শুধু নিরামিষাশী কেন, আমিষাশীরাও রকমারি রেসিপিতে সুস্বাদু এই শুটি জাতীয় সজিকে আস্বাদ করে আহ্লাদিত হয়ে থাকেন।
তাে ত লা মি সহজেই সারে
ট ভির পর্দায় চলছে হিন্দি সিরিয়াল। একটি চরিত্রের তােতলামি দেখে হেসে গড়িয়ে পড়ছে পরিবারের সবাই, মায় পাচ বছরের শিশুটি পর্যন্ত। তােতলা চরিত্রের তােতলামির সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিশুটিও বলতে শুরু করল, মা মা মা মা মারুঙ্গা। সেই শুনে দাদু-ঠাকুমার সেকী আনন্দ, সঙ্গে তাদের মা -বাবারও!
জোয়াকিম লাে সরে দাঁড়ালেন
দীর্ঘ ১৭ বছরের সম্পর্ক ভাঙা মুখের | কথা নয়। তবে সিদ্ধান্তটা কঠিন হলেও বৃহত্তর স্বার্থেই জার্মানির কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানাের সিদ্ধান্ত নিলেন জোয়াকিম লাে। দল কাতার বিশ্বকাপের যােগ্যতা অর্জনের লড়াইয়ে নামার আগেই এই কথা ঘােষণা করতে শােনা গেল বিশ্বকাপ জয়ী এই অভিজ্ঞ কোচকে। জার্মানির কোচের পদে চলতি বছরের ইউরাে কাপই হতে চলেছে তাঁর শেষ টুর্নামেন্ট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত ২০২৪ সালের ইউরাে কাপের কথা মাথায় রেখেই বিদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৬১ বছরের লাে। লক্ষ্য একটাই, উত্তরসূরিকে দল গুছিয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া।
ঐতিহাসিক অন্নপূর্ণা মন্দির
রায়চৌধুরী পরিবারের অন্নপূর্ণা"
এখানে আমার কীসের ভয়
বছর একইসঙ্গে একই মহল্লায় একসঙ্গে আছি কখনও কি কোনও অসুবিধে হয়েছে? তবে ভয় কেন? সত্যিই তাে! কেন ভয় পেলাম? এখানে আমার কীসের ভয়?
গঙ্গোত্রীর পথে সুন্দরী হরসিল
কুয়াশার চাদর সরিয়ে মাথার উপর তুষার কিরীট পরে দাঁড়িয়ে উদ্ধত হিমালয় আর নীচ দিয়ে প্রবহমানা পান্না-সবুজ ভাগীরথী। এই দুইয়ের মাঝে সারি সারি আপেল বাগান। যেন পটে আঁকা ছবি! ঘুম জড়ানাে চোখে যখন প্রথম দেখলাম হরসিল নৈসর্গিক রূপ, সঙ্গে সঙ্গে ভালােলাগার অদ্ভুত এক শিহরন হল। মনের মধ্যে জেগে উঠল এক অমােঘ সম্মােহনের আহ্বান।
অজয়কুমার ভাণ্ডারী
অন্নদাত্রী অন্নপূর্ণা। অন্ন জীবের প্রাণ। অন্ন ভিন্ন প্রাণ বাঁচে না। তাই অন্নদাত্রী অন্নপূর্ণা হলেন জীবের প্রাণতােষিণী সঞ্জীবনী শক্তি। তিনি মাতৃশক্তির অনেক রূপের এক রূপ। পৌরাণিক মতে অন্নপূর্ণা দেবী পার্বতীর অবতার। তিনি শুধু মর্ত্যজীবের পুষ্টিদাত্রী নন, তিনি ত্রিলােকেরও পুষ্টিদাত্রী। তিনি বসুন্ধরাকে সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা করে পূর্ণ রাখেন। তিনি যেমন জীবদেহকে অন্নদানে পুষ্ট রাখেন, তেমনি মুমুক্ষু হৃদয়কে পরিপুষ্ট করে মােক্ষ দান করেন। তাই তিনি সুখদা জ্ঞানদা মােক্ষদা প্রদায়িনী মাতা অন্নপূর্ণা ।
সাইনা
রাস্তায় হাঁটা আর রাস্তা তৈরি করা কিন্তু এক নয়। দুটো এক্কেবারে অন্য জিনিস। নিজের পথ তৈরির করার। কথা ভাব। ছােট্টবেলাতেই মেয়ে সাইনাকে (পরিণীতি চোপড়া) একথা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মা উষারানি (মেঘনা মালিক)। মেয়েও কিন্তু মাকে হতাশ করেনি। ছােট বেলাতেই আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত বাড়ির মেয়ের মতাে রান্নাবাটি খেলেনি। বরং হাতে তুলে নিয়েছিল ব্যাডমিন্টন র্যাকেট। মায়ের ইচ্ছা আর মেয়ের চেষ্টায় হায়দরাবাদের লাল বাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়ামে সিলেকশন হয়ে যায় সাইনার। এরপর অন্ধ্রপ্রদেশ স্টেট সাব জুনিয়র কম্পিটিশনে চ্যাম্পিয়ন। একে একে জিততে থাকে অন্য কম্পিটিশনও। মেডেল ট্রফিতে ঘর ভরে যায়। তারপর কোচ গােপীচাঁদের (মানব কল) প্রশিক্ষণ শিবিরে নাম লেখায় সাইনা। কোচের এমন প্লেয়ার চাই যে জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবে না। প্রশিক্ষণরত উঠতি প্লেয়ারদের সামনে এক অদ্ভুত প্রশ্ন করে বসেন কোচ। বলেন, এঘরে এমন কে আছে যে নিজেকে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাডমিন্টন খেলােয়াড় হিসেবে মনে করে? এক মুহূর্ত সময় না নিয়ে, নির্দ্বিধায় হাত উপরে তােলে সাইনা। আর কী।
রাধাকৃষ্ণের লীলাবিলাস
বসন্তে বাংলায় দোল, বাংলার বাইরে হােলি। একই উৎসব ভিন্ন নাম, ভিন্ন স্থান। ফানে ফাগের উৎসব আপামর মানুষের উৎসব দোল বা হােলিকে ঘিরে রয়েছে নানা কাহিনি। দোল মূলত রাধা ও কৃষ্ণের অপ্রাকৃত লীলাবিলাস। ফাল্গুনী পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ রাধিকা ও অন্যান্য গােপীদের সঙ্গে আবির খেলায় মেতেছিলেন। ভগবানের সেই অপ্রাকৃত লীলাকে সাক্ষী রেখে মন্দিরে মন্দিরে ভক্তেরা রাধাগােবিন্দকে আবির নিবেদন করেন। দোলকে কেন্দ্র করে নাচ, গান, আমােদ, আহ্লাদ করাটা বাহ্যিক বিষয়। দোলের মাহাত্ম্য লুকিয়ে রয়েছে রাধা-কৃষ্ণের লীলার মধ্যে। দোল এবং তাকে কেন্দ্র করে রং মাখা আসলে একটি প্রতীক। দোলের প্রধান উদ্দেশ্য ভগবানের সঙ্গলাভ।
সুখস্মৃতি ও অভিমানে দিন কাটছে অশােক কুমারের
কেউ আর মনে রাখে না। অথচ ভারতীয় হকির। সােনালি অধ্যায়ের কথা বলতে গেলে ১৯৭৫ সালের ১৫ মার্চ ভারতের হকি বিশ্বকাপ জয়ের প্রসঙ্গ আসবেই। সেবার ১৫ মার্চ কুয়ালালামপুরের মাটিতে চ্যাম্পিয়নের পতাকা উড়িয়েছিলেন অজিতপাল সিংরা। সেটাই ভারতীয় হকি দলের একমাত্র বিশ্বকাপ জয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালে ভারতের হয়ে জয়সূচক গােল করা অশােক কুমার এই প্রসঙ্গে একরাশ অভিমান উগরে দিলেন।
মুক্তিনাথ
লুম্বিনি থেকে সকাল আটটা নাগাদ রওনা দিয়ে, পথে বেগনাস লেক দেখে, পােখরা পৌঁছতে বিকেল হয়ে গেল। হাটেলে চেক-ইন করে, আমরা বেরলাম আশপাশের জায়গাটা একটু ঘুরে দেখতে। কাছেই মার্কেট, চারদিকে কতরকম কিউরিও, ছবি, ঘর সাজানাের জিনিসের দোকান। এ দোকান সে দোকান ঘুরে দেখতে দেখতে এক
চেহরে
পেঁজা তুলাের মতাে সাদা বরফের কণা বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। হাড়হিম করা ঠান্ডা। দীর্ঘদিন ধরে বারবার বরফের আচ্ছাদনে ঢাকা পড়ার ফলে মেঝের রঙেরও ঈষৎ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। বরফের কাঠিন্য দেখা দিয়েছে সবুজ মার্বেলের মেঝেতে। প্রবল ঠান্ডায় মনের ভিতরটাও কেমন যেন কঠিন হয়ে উঠেছে। এই শৈত্য প্রবাহের মধ্যেইঠান্ডা গলায় আনন্দ মহান্ত (অনু কাপুর) বলে ওঠে, এই দুনিয়ায় এমন কেউ নেই যে নিজের জীবনে কোনও অপরাধ করেনি। পরক্ষণেই শােনা যায় অন্য একজন পুরুষের গলা। নাম করণ ওবেরয় (ইমরান হাশমি)। বলে, আজকের জমানায় সে-ইসৎ যার বেইমানি কখনও ধরা পড়েনি।
টানা কুড়ি দিন হাতির সঙ্গে কাটিয়েছি: রানা দম্মুবাটি
দক্ষিণী তারকা রানা দথুবাটির জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। তিনি অভিনয় করছেন একাধিক বলিউডের ছবিতে। ‘বাহুবলী টু’ ছবির পর তাঁর চাহিদা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এবার এক অন্যরকমের ছবিতে দেখা যাবে এই দক্ষিণী তারকাকে। ছবিটির নাম ‘থতি মেরে সাথি। সম্প্রতি এক আড্ডায় রানা দথুবাটি শােনালেন নানান কথা।
গ্রামের রানি বীণাপাণি
তদ্রু রায়চৌধুরীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল বীণাপাণি। না ঠকিয়েও কীভাবে ব্যবসা করা যায়, সেই সালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ গ্রহণও করে রাইস মিলের মালিক শতদ্রু রায়চৌধুরী। এরপরেই নিজের চেয়ারটি বীণাপাণির দিকে এগিয়ে দিয়ে তাকে সততার সঙ্গে ব্যবসা করার পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। দৃঢ়তার সঙ্গে সেই দায়িত্ব নেয় বীণাপাণি। অনেকটা বিখ্যাত হিন্দি সিনেমা ‘নায়ক’এর মতাে। এই ছবিতে অনিল কাপুরকে সততার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল সিএম অমরীশ পুরি। সেই একই রকম প্লট ধরেই কি এগবে স্টার জলসায় শুরু হওয়া নতুন ধারাবাহিক ‘গ্রামের রানি বীণাপাণি’?
বেঁচে উঠেছেন গােয়েবলস।
হিটলারের পাবলিক এনলাইটমেন্ট এবং প্রােপাগান্ডা মন্ত্রী পল জোসেফ গোয়েবলস বলতেন, সাফল্য লাভের জন্য প্রােপাগান্ডায় সবকিছুই অনুমােদনযােগ্য। প্রােপাগান্ডার সঙ্গে সত্যের কোনও সম্পর্ক নেই বরং এটাই সত্য যে, আমরা জার্মানির বিজয়ের জন্য কাজ করছি। মিথ্যা বলতে হবে যতদূর সম্ভব পরােক্ষভাবে এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক চ্যানেল ব্যবহার করে। যাতে শত্রুর কাছে এই মিথ্যা ধরা পড়লে অস্বীকার করা যায়। কেউ মিথ্যা দিয়ে শুরু করলে শেষ পর্যন্ত তার এই অবস্থানে অনড় থাকতে হবে, মতামত পরিবর্তন করে সত্য স্বীকার করা যাবে না।
গ জ কুম্ভ
বুদ্ধ যখন জেবনে অবস্থানরত, সেই | সময়ে শ্রাবস্তী নগরের এক সম্ভ্রান্ত যুবক বৗদ্ধসঙ্ঘ সন্ন্যাসীরূপে যােগ দিলেন। বুদ্ধশাসন ও প্রবচনে বিশ্বাস রেখেই তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন। তবে তিনি বড়ই অলস প্রকৃতির ছিলেন। সন্ন্যাসলাভের পর ধর্ম বিষয়ে কোনও প্রশ্ন বা প্রসঙ্গে তাঁর কোনও আগ্রহ দেখা যেত না। সঙ্ঘের বয়ােজ্যেষ্ঠ ভিক্ষুদের সেবা করতেও তিনি উৎসাহ পেতেন না। আবার তথাগত বুদ্ধের কাছে উপস্থিত হয়ে আধ্যাত্মিক উন্নতির ইচ্ছাও তাঁর ছিল না। বন্ধু ভিক্ষুদের সঙ্গে কখনও ধর্ম। আলােচনা করে জ্ঞানবৃদ্ধি করতেও তাঁকে দেখা যেত না। কেবল যেখানে দশজন ভিক্ষু একত্রিত হয়ে গল্পগুজব মস্করায় মেতেছে সেখানেই তাঁকে দেখা যেত।
নতুন জন্ম
স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘নতুন জন্ম'। পরিচালনায় অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। এটি তাঁর দ্বিতীয় শর্ট ফিল্ম। ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশের ১০টি চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছে। ছবিটি। আরও ১০টিরও বেশি। চলচ্চিত্র উৎসবে অফিসিয়ালি সিলেক্টেড হয়ে আছে। স্বার্থপরতা অনেকসময় বিপদে ফেলে মানুষকে। মানবিক মূল্যবােধ হারিয়ে যায় বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহে। কিন্তু যত প্রতিকূল অবস্থাই হােক মা ছেলের সম্পর্ক চিরন্তনই। সেই গল্পই ধরা হয়েছে ছবিতে। ছবি শুরু হচ্ছে মধ্যবিত্ত পরিবারের মা জয়ার দিন্যাপন দিয়ে।
এক জমিতে ঘর বাঁধা
সেই সুদূর অতীত কাল থেকেই বঙ্গদেশে বিভিন্ন শাসক গােষ্ঠী শাসন করে গিয়েছে। চৈতন্যের বাংলায় সম্প্রীতির গল্প আজও লােকমুখে শুনতে পাওয়া যায়। এরপরেই বানিয়া ইংরেজদের তৈরি নীতি ধীরে ধীরে শান্ত বাংলায় রােপণ করে সাম্প্রদায়িকতার বিষ। সেই বিষকেই আবার ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলার মাটিতে। রবীন্দ্র-নজরুলের বাংলায় সম্প্রীতির যে পরিবেশ বজায় রাখার স্পৃহা মানুষের মধ্যে ছিল, তা কেমন যেন এখন ঠুনকো হয়ে ভেঙে পড়ছে। যা চলছে, তা দেখে মনে হচ্ছে সম্প্রীতির টান ফিকে হয়ে আসছে।
ব্যতিক্রমী লেখক রমানাথ রায়
চলে গেলেন সাহিত্যিক রমানাথ রায়। সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ, সকাল থেকে সামান্য বুকে ব্যথা—আর সন্ধ্যায়...। এই করােনা কালেও কফিহাউসে এসেছেন | আড্ডাপ্রিয় মানুষটি। বিভিন্ন সাহিত্য-উৎসবে গল্প পড়েছেন, আলােচনা করেছেন।
কোন মিষ্টি খাবেন? কোন মিষ্টি খাবেন না?
বাঙালিরা যেমন নানা রকমখাবার খেতে ভালােবাসে, তেমনই আবার নানা খাদ্য নিয়ে বাঙালিদের মধ্যে কৌতূহলেরও শেষ নেই। যে কোনও বাঙালি রােগীই ডাক্তারের কাছে এসে অন্তত একবার খাবার নিয়ে। প্রশ্ন করবেনই। মাছ, মাংস বা ফল নিয়ে প্রশ্ন তাে থাকেই। কিন্তু তার থেকেও বেশি তাঁরা জানতে চান মিষ্টি নিয়ে। যেমন—