মিঠুনদার বাংলোয় একদিন

কী করে রাজি করালেন নিজের চাইল্ডহুড হিরোকে? মমতামিঠুন ইকুয়েশনই বা মাথায় এল কী করে? ‘প্রজাপতি’র প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরী শেয়ার করলেন মিঠুন চক্রবর্তীর মাড আইল্যান্ডের বাংলোয় যাওয়ার অভিজ্ঞতার গল্প

আমি আর অভিজিৎ (সেন) যখন ‘প্রজাপতি’র গল্পটা তৈরি করি, তখন দেখলাম গল্পটা আল্টিমেটলি বাবা-ছেলের গল্পে এসেই দাঁড়াল। ছেলে হিসেবে তো দেবের কথা মাথায় ছিলই, কিন্তু প্রশ্নটা জট পাকাল, ‘বাবা কে হবে?’ এখানে এসে। অনেকের নামই উঠে এল আলোচনার মধ্যে। সেই নামগুলো এখানে আর বলছি না, তবে আলোচনার মধ্যে হঠাৎ করেই মিঠুনদার মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠল! কিন্তু বিগত কয়েক বছরে মিঠুনদা তো বাংলাতে কাজই করেননি! এটা ছবিটা করতে কি রাজি হবেন? সময়টা তখন ২০২১-এর গোড়ার দিক, লকডাউন চলছে পুরোপুরি। আমাদের ‘টনিক’ তখনও মুক্তি পায়নি। ‘আমাদের’ মানে ওই আমরা ত্রয়ী, দেব, আমি এবং আমাদের পরিচালক অভিজিৎ (সেন)। তা মিঠুনদার নামটা জোরা । হতেই মাথ এল প্রথম আশঙ্কার কথা, কীভাবে যোগাযোগ করব? একদিন অভিজিৎ খবর দিল, মিঠুনদা একটি ডান্স রিয়্যালিটি শো-এর জন্য কলকাতায় আসছেন। দেব-ও আছে সেই শো-তে। আমি দেবকে বললাম পুরো পরিকল্পনাটার কথা। ও বলল, দারুণ হবে। একদিন শুটিংয়ের ফাঁকে দেবই গিয়ে গল্পটা দু'লাইনে মিঠুনদাকে ন্যারেট করে। বানতলার ওখানে একটি স্টুডিয়োতে হচ্ছিল শুটিং। তা মিঠুনদা দেবকে বলেন, ‘কাল রাতে অতনুদাকে নিয়ে আয়।' পরে বুঝেছিলাম, আসলে গল্পের স্ট্রাকচারটা উনি আর একটু ডিটেলে শুনতে চাইছিলেন। পরেরদিন রাতে, মানে বেশ রাতেই, এই সাড়ে দশটা-এগারোটা নাগাদ আমি গেলাম ওদের সেটে। ওই রিয়্যালিটি শোয়ের শুটিং চলাকালীন মিঠুনদা ওখানেই থাকেন। ওখানেই ওঁর জন্য একটা ঘর বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কলকাতার পাঁচতারা হোটেল থেকে বানতলার স্টুডিয়ো— যাতায়াতের এই ধকলটা আসলে উনি নিতে চান না। তা আমি গিয়ে বললাম, ‘দাদা এটা বাবা-ছেলের গল্প। ছেলেটির মা মারা গিয়েছে। ছেলেকে বাবা প্রতিদিন বিয়ের কথা বলে আর ছেলে বিয়ে করে না, কারণ তার ভয়, বিয়ের পর যদি বউ বাবাকে তার ছেলের থেকে আলাদা করে দেয়! ছেলে বলে, ‘আমি তো তোমাকে ছাড়া বাঁচব না, তুমিও তাই। তাহলে...' মিঠুনদা এইটুকু শুনেই রাজি। বললেন, ‘কবে থেকে শুটিং?