
আমরা যারা নয়ের দশকে বড় হয়েছি, আপনার গান এবং জীবনযাপন তাদের শীতকালের কলকাতার প্রতি এক অমোঘ আকর্ষণে আকৃষ্ট করেছে। পার্ক স্ট্রিট, ক্রিসমাস ক্যারল, বিদেশি খাবার, ওয়াইন, অ্যাংলোদের জীবন... বাঙালিয়ানাকে ধরে রেখেই এক সাহেবি কলকাতার রূপ দেখিয়েছেন আপনি। আমার প্রশ্ন হল, আপনার তো গোটা জীবন জুড়ে দার্জিলিং। আপনি আগে একবার আমাকে বলেছিলেন, কলকাতা আপনার ভাল লাগত না। তা হলে এই ভালবাসাটা তৈরি হল কীভাবে? বলা যেতে পারে, কলকাতা আমাকে নিজের মতো করে আঁকড়ে ধরে নিয়েছে। আমি যখন দার্জিলিং থেকে চলে এলাম, তখন বারবার ভেবেছি পালিয়ে যাব। বাড়িতে রীতিমতো ঝগড়া করতাম। কিন্তু এই শহরের প্রতি ভাল লাগাটা তৈরি হল পরে, যখন বাদল সরকারের সঙ্গে আমার আলাপ হল। নাটকের সূত্রে বাদলবাবু বিভিন্ন এক্সারসাইজ় দিতেন আমাকে। যেমন ধরুন, কলকাতার কোনও ভিড় রাস্তায় আমাকে ছেড়ে দিয়ে বলতেন, “আট ঘণ্টা পরে আমি কলকাতার কোথায় থাকতে পারি, সেটা আন্দাজ করে চলে এসো।” ভাবুন, এটা করতে হলে আমাকে কলকাতার গলি-খুঁজি তো চিনতেই হবে। বাদলবাবু কী ভাবেন, কোথায় যেতে ভালবাসেন, সেটাও জানতে হত! প্রথম প্রথম ভীষণ অসুবিধে হত। কিন্তু দেখলাম, এইভাবে কলকাতা চিনে গেলাম। এই চেনাটা আরও গভীর হল মৃণাল সেনের সান্নিধ্যে এসে। ‘চালচিত্র’ করার সময় আমি মৃণালদার প্রেমে যতটা পড়লাম, ওঁর মাধ্যমে কলকাতাও অতটাই কাছের হয়ে গেল।
আর এই বড়দিন, কলকাতার এই অ্যাংলো কালচার? উত্তরটা খানিকটা আপনিই দিয়ে দিলেন। পৃথিবীতে একমাত্র বাঙালি ছাড়া আর কোনও জাতি দেখতে পাবেন না, যারা ক্রিসমাসকে বড়দিন বলে! আমি কোথায়? এই বাঙালি জাতিই তো ক্রিসমাসকে আপন করে নিয়েছে! শুধু তাই নয়, ২২-২৩ তারিখ থেকে টানা ১ তারিখ পর্যন্ত আলো-টালো দিয়ে সাজিয়ে, পার্টি করে, কেক খেয়ে, গানবাজনা করে ব্যাপারটাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গিয়েছে যে, সেটা প্রায় দুর্গাপুজোর মতো কার্নিভ্যালে রূপান্তরিত হয়েছে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, আমার মধ্যে যে কসমোপলিটন একটা ছাপ... সেটা তৈরি করার পিছনে এই বাড়ি এবং পাড়াটার একটা অবদান আছে। আমার দাদুর তৈরি এই বাড়িতে আমি সারাক্ষণ বিভিন্ন রকমের মানুষ আসতে দেখেছি। সেখানে অ্যাংলো যেমন ছিলেন, ছিলেন হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান... বিভিন্ন ধর্মের মানুষ। আমার বাড়ির
この記事は ANANDALOK の December 27, 2022 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です ? サインイン
この記事は ANANDALOK の December 27, 2022 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です? サインイン

স্পোর্টস
ভারতের মেয়েরা টানা দ্বিতীয়বার অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচের সেরা ও বিশ্বকাপের সেরা হলেন জি তৃষা।

বিরাটরোহিত কতদিন?
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রোফির পরই ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে এই দুই ক্রিকেট মহাতারকার।

মুম্বইতে কোল্ডপ্লে ম্যাজিক
চাকচিক্য, আতিশয্য ও তারকা ছটা...মুম্বইতে কোল্ডপ্লে কনসার্টের বিস্তারিত গল্প তুলে ধরলেন আসিফ সালাম

আমি অন্যের মতো হতে গিয়ে একটা খারাপ নকল হয়ে গেলাম: সোহিনী সরকার
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি ‘অমরসঙ্গী'। বাস্তব জীবনেও নিজের সঙ্গীকে খুঁজে পেয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে স্পষ্টবক্তা হিসেবেই পরিচিতি তাঁর, তাই বন্ধু সংখ্যাও কম। নায়িকা সোহিনী নন, মানুষ সোহিনী সরকার-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় আসিফ সালাম

আমার চুল পড়ে যাচ্ছে কেন, তা নিয়েও লোকে অভিযোগ করতে পারেন: ঋত্বিক চক্রবর্তী
‘ভাগ্যলক্ষ্মী’ ‘অপরিচিত’, ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই'...একের পর এক ছবি মুক্তি পাচ্ছে তাঁর। সঙ্গে চলছে নতুন ছবির শুটিং। তার মধ্যেই সময় বের করে কথা বললেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। শুনলেন আসিফ সালাম

মহম্মদ রফি এক সাধকের শতবর্ষ
পেশা হিসেবে বাছতে হয়েছিল ক্ষৌরকর্মকে। কিন্তু গান যাঁকে বেছে নিয়েছে, তিনি অন্য কোনও কিছু করবেন কী করে? মহম্মদ রফি সারাজীবন নিজের গানের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়ে গিয়েছেন। শেষে সেই ঈশ্বরের জন্যই ছাড়তে গিয়েছিলেন গান! কেন? জন্মশতবর্ষে পা দেওয়া এই সঙ্গীত সাধকের জীবনকে ফিরে দেখলেন সায়ক বসু

মুহূর্তরা ছুঁয়ে যায়
আনন্দলোক পুরস্কার, সেই সঙ্গে আনন্দলোকের ৫০তম জন্মদিন বলে কথা। দ্বিগুণ উদ্যাপনে সামিল হলেন সকলে। লিখছেন অংশুমিত্রা দত্ত

পরিবারই ছিল আব্বার কাছে ফার্স্ট প্রয়োরিটি
কাজ শেষ হলেই, কোথাও দু'দণ্ড দাঁড়াতেন না। বাড়ি ফিরে খেলতেন বাচ্চাদের সঙ্গে। বলতেন, সেদিনকার রেকর্ডিংয়ের গল্প। ৫৫ তম ইফির মঞ্চে মহম্মদ রফির জীবনের নানা গল্প শোনালেন শিল্পীর দ্বিতীয় পুত্র শাহিদ রফি

রফিজি আমার কাছে ভগবানের দূত
অনেকটা একলব্যের মতো করেই রফিজির কাছ থেকে গানের শিক্ষা নিয়েছেন তিনি, সোনু নিগম। নিজের ‘ভগবান' সম্পর্কে তিনি তুলে ধরলেন আবেগের কথা

প্রেমের ব্যাপারে আমি খুব প্রাচীনপন্থী: অন্বেষা দত্তগুপ্ত
একাধিক ভাষায় গান গেয়েছেন, সঙ্গীত পরিচালক হিসেবেও নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন। এর মধ্যেই বার বার এসেছে অভিনয়ের প্রস্তাব। তবে অন্বেষা দত্তগুপ্ত কীভাবে দেখেন তাঁর এই যাত্রাপথকে? তাঁর সঙ্গে কথা বললেন সায়ক বসু