বিকেলে বন্ধুরা যখন মাঠে ফুটবল খেলছে, তখন বই-খাতায় মুখ গুঁজে বসে থাকতে হচ্ছে বলে বিল্টুর মন খারাপ । এমন সময় কে যেন বলে উঠল, “এই যে বিল্টু, তোমার পড়াশোনায় মন নেই, দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে বসে
আছ যে বড়?” বিল্টু কথাটা শুনে চমকে চার দিকে তাকাল। ঘরে তো কেউ নেই! মা ঠিক এ ভাবে বকেন বটে। কিন্তু মা এখন বাড়ি নেই। পাশের বাড়ির সীমাকাকিমার শরীর খারাপ। তাই মা কলেজ থেকে ফিরে কাকিমার খোঁজ নিতে গেছেন। এমন সময় এই অযাচিত ধমকে বিল্টু একটু ঘাবড়ে গেল।
বিল্টদের বাড়িটা দোতলা। বিল্টুর পড়ার ঘর বাড়ির একতলার পিছন দিকে। ঘরটায় দুটো দরজা। একটা দরজা মূল বাড়ির দিকে। সেই দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকলে তার সোজাসুজি, আর-একটা দরজা গিয়ে বাগানে পড়েছে। ঘরে আসবাব বলতে বিল্টুর পড়ার টেবিল, দুটো চেয়ার, বই রাখার একটা আলমারি। পড়ার টেবিলের মুখোমুখি বাগানের দিকে একটা জানলা। জানলা দিয়ে তাকালে আন্দাজ কুড়ি গজ দূরত্বে বাগানের পাঁচিল ঘেঁষে একটা তেঁতুল গাছ।
বাড়িটা পুরনো আমলের। জানলাগুলো এক মানুষের উপর লম্বা হবে। লম্বা লম্বা লোহার শিক দেওয়া গরাদ আর জানলার পাল্লা দু'ভাগে ভাগ করা। নীচে দুটো পাল্লা। উপরে দুটো পাল্লা। নীচের জানলার বাঁ দিকের পাল্লার উপর একটা শালিক পাখি বসে আছে কেবল। এ ছাড়া আশপাশে কেউ নেই।
বিল্টু একটু চেঁচিয়েই বলল, “আড়াল থেকে কে কথাটা বলল? সামনে এসে বলো।”
বিল্টুকে অবাক করে দিয়ে শালিক পাখিটা বলে উঠল, “বলি, চেঁচাচ্ছ কেন? চোখের মাথা খেয়েছ নাকি? আমি তো তোমার সামনে বসেই কথা বলছি। তুমি এত অমনোযোগী কেন?”
একটা পাখিকে কথা বলতে দেখে বিল্টু ভীষণ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, “তুমি কথা বলতে পারো! তুমি আমার নাম জানলে কী করে?”
শালিকটা বলে উঠল, “এতে এত অবাক হওয়ার কী আছে? অনেক পাখিই কথা বলতে পারে, জানো না?
আমি তোমাদের বাগানের ওই তেঁতুল গাছটায় থাকি। সকালের দিকে তো আমার অফিস থাকে, তাই আগে তোমার সঙ্গে আলাপ হয়নি। বিকেলের দিকে আমি ফাঁকা থাকি। তা কয়েক দিন ধরে তোমায় দেখছি, বিকেলে ঘরে বসে পড়াশোনা করছ। পড়ায় তো তোমার মন নেই। তোমার মা তোমায় যখন বকাবকি করেন, বিল্টু নামেই ডাকেন। আমার চোখ, কান খুব সজাগ। তাই তোমার নাম জেনে গেছি। বলি, ব্যাপারটা ঠিক কী? বন্ধুরা মাঠে ফুটবল খেলছে, আর তুমি ঘরে বসে আছ! তোমার মা কাল বলছিলেন, পরীক্ষায় ফেল করেছ নাকি?”
この記事は ANANDAMELA の 5 Sep, 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です ? サインイン
この記事は ANANDAMELA の 5 Sep, 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です? サインイン
মায়াবী মরু
মরুভূমির বালির গভীরে কত যে রহস্য! বিশ্বের প্রথম মাকড়সার ভাস্কর্য থেকে প্রাচীনতম ধারালো অস্ত্র! লিখেছেন সুদেষ্ণা ঘোষ
টাকার গাছ
সে প্রথমে ভাবল, মাকে ডেকে দেখাবে। কিন্তু মা বড্ড সরল। কথা চেপে রাখতে পারে না। বাবা অনেক গোপন কথা মাকে বলতে বারণ করার পরেও মা মনের ভুলে সবাইকে বলে দিয়েছে। তাই এই খবরটা মাকে না বলাই শ্রেয়।
ঠোঙ্গা
প্রায় জমে যাওয়া ঠান্ডায়, ভিজে যাওয়া জামার তলায় হাপরের মতো ওঠা-নামা করছিল বুক। অনেকের জীবন এখানেই শেষ হয়েছে। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম।
এক শালিক
বিল্টু বুঝে গেছে, শালুক খুব সাধারণ শালিক নয়৷ সে মাথা নাড়িয়ে বলল, “শালুক, তোমার যখন এত জ্ঞান, তখন আমাকে একটা বুদ্ধি দাও। যাতে বিকেলের এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাই । তিন মাস বাদে, বাৎসরিক অতুলকৃষ্ণ স্মৃতি চ্যালেঞ্জ শিল্ডের ফুটবল ফাইনাল খেলা। ব্যাঁটরা বয়েজ স্কুলের সঙ্গে আমাদের চন্দনপুর বয়েজ স্কুলের খেলা।”
তাইল্যান্ডের তাকলাগানো দ্বীপ
দ্বীপ নয়, দ্বীপপুঞ্জ। ফুকেট ও ক্রাবির মনোরম, নির্জন সব দ্বীপ ঘুরে এসে লিখেছেন রামেশ্বর দত্ত
এক বল তিন ছক্কা
গোবিন্দবাবু যে ঘরে খুন হয়েছেন, ঘনশ্যাম সেখানে তাদের নিয়ে গেল। বিছানার চাদরে তখনও চাপ চাপ জমাট বাধা রক্ত। কর্নেল বলল, “গোবিন্দবাবুর দেহ যখন পাওয়া যায়নি, তখন তিনি খুন না-ও হতে পারেন।” সত্যরঞ্জন বলল, “কিন্তু বিছানায় যে জমাট বাধা রক্ত!”
ছায়াগ্রামে পুষ্পবৃষ্টি
আমাদের ভাগ্য ভাল, ব্রজবাবু আজও পাগল হননি। যদিও রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে উনি... যাক সে সব কথা।”
আশ্চর্য লাঠি
মস্তানদের পিটিয়ে সিধে করে পচা বাজারে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। সে আমাদের গর্ব। আমরা তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেব।”
সাধনবাবুর সাধের বাস
মা বেঁচে থাকতে অনেক সাহায্য করেছেন। তখন ঘন ঘন আসতেন। এখন উৎসব-অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করলে আসেন। মালতীজেঠি এলে সুষুনি শাক নিয়ে আসতেন।
সায়েন্স সঙ্গী
বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানের নানা শাখায় নিরন্তর ঘটে চলেছে নানা ঘটনা। তারই কিছু খবর রইল এই পাতায়।