সেই সব মানুষ, ভারতে যাদের লোকে মান্যিগন্যি করে— যেমন রাজনৈতিক নেতা, বা জননীতির নির্ধারক শ্রেণি— তাদের একটি সাধারণ অক্ষমতা লোকের চোখে পড়বেই। তা হল ভবিষ্যৎ, এমনকি নিকট ভবিষ্যৎও, অনুমান করতে অনীহা। কথাটি বললাম মহারাষ্ট্রের পুণে শহরে এক বন্ধুগৃহে কয়েক দিন কাটাতে এসে। বন্ধুর ফ্ল্যাট যেখানে, তার চতুর্দিকে বিশালাকায় সব অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক। নিত্যই আরও টাওয়ার নির্মাণ হয়েই চলেছে। সারা দিন শুধু আকাশছোঁয়া ক্রেনের নড়াচড়া ও কংক্রিট মিক্সারের ঘড়ঘড় শব্দ। কারা বাস করে এত সব নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটে? কারাই-বা বাস করতে চলেছে এত নতুন গৃহে? কোথা থেকে আসছে এত নতন জীবিকা?
“আইটি। এ সবই আইটি-র মহিমা,” বন্ধু বললেন। কথাটি ভুল নয়। কারণ, বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তিতে কর্মরতদের সংখ্যায় পুণে এক নম্বর— ছাড়িয়ে গেছে বেঙ্গালুরুকেও। তবে ভারতের সর্বত্রই নাগরিক জীবনে আইটি-র হাতছানি অপ্রতিরোধ্য। বাজার অর্থনীতি বুঝে গেছে যে, এই দেশে একমাত্র তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে নিযুক্ত কর্মীদেরই মাসপয়লা পকেটে আসবে ভাল অঙ্কের বেতন। তাই এত গৃহ-নির্মাণের ঘটা, এত ঘরের পাশে শপিং মল, এত জিম, এত গাড়ির শোরুম। যেখানে বসে লিখছি এই প্রবন্ধ, তার অনতিদূরে রয়েছে আর-একটি ব্লক, যেখানে ছোট ছোট ফ্ল্যাটের ছড়াছড়ি। তাদের আয়তন মেরেকেটে পাঁচশো বর্গফুট। তাদেরই মাসিক ভাড়া পনেরো থেকে কুড়ি হাজারের মধ্যে। শুনলাম, প্রতিবেশীদের অনেকেই নাকি তাদের সঞ্চয় ব্যয় করে বুক করেছিলেন ওই ছোট ছোট ফ্ল্যাট।
この記事は Desh の October 02, 2022 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です ? サインイン
この記事は Desh の October 02, 2022 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です? サインイン
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।