বছরখানেকের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচন। দেশের মূল দু’টি রাজনৈতিক শক্তি বিজেপি এবং কংগ্রেস। এই দুই দলের মতাদর্শ নিয়ে বিশেষ ধন্দ নেই। কংগ্রেস মোটের ওপর মধ্যপন্থী। সেখানে বাম এবং ডান ঘেঁষা মানুষও আছেন। বিজেপি দক্ষিণপন্থী। কখনও তা কোমল, কখনও-বা দৃঢ়। শক্তিশালী রাষ্ট্রের ভাবনা এই দৃঢ়তর মতের অংশবিশেষ। জাতীয়তাবাদের অনেক ধরন আছে। তার মধ্যে সামরিক এবং ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ দু’টিই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে প্রায় আশি শতাংশ মানুষ হিন্দু। সেই জায়গায় হিন্দুত্বের যে-বিমূর্ত ভাবনা, তার রূপায়ণের মধ্য দিয়েই বিজেপির উত্থান। আরএসএস থেকে ধরলে ইতিহাস অনেক লম্বা, প্রায় একশো বছরের। এর পর আশির দশকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিজেপির আত্মপ্রকাশ। তাদের ভাবনা সরাসরি রামমন্দির থেকে শুরু করে কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য থেকে অবিচ্ছেদ্যতর অংশ তৈরি করা। আরও একটু বৃহত্তর দিক্-নির্দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির আলোচনা। এই প্রত্যেকটা মতের পক্ষেই বিজেপির প্রচুর যুক্তি। সঙ্গে আরএসএস-এর প্রত্যক্ষ সমর্থন। অন্যদিকে, দেশের বিরোধীরা এই ভাবনার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। সেখানে যে-মত উঠে আসছে, তা উদারবাদের বা প্রগতিশীলতার। এখন বাংলা ভাষায় উদারবাদ বা প্রগতিশীলতা শব্দ হিসেবে বামঘেঁষাদের কাছে ধর্মীয় রাষ্ট্রবাদের তুলনায় বেশি আকর্ষণীয়। মননশীল বাঙালি সেই কারণেই হয়তো ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে জিতিয়েছেন। যদিও সেখানে দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। অর্থাৎ যেখানে উদারবাদের কথা আসছে, তার উল্টোদিকে রক্ষণশীলতার পক্ষেও মত আছে যথেষ্ট। গোটা দেশ জুড়েই একটি অংশের কাছে হিন্দুত্ব একটি প্রিয় শব্দ। শক্তপোক্ত একটি দেশ তাঁদের স্বপ্ন। রাজনৈতিক বিশ্লেষণকে নৈর্ব্যক্তিক যুক্তি-প্রতিযুক্তিতে পেশ করতে গেলে তাই ভাল খারাপকে দু'টি বিপরীতমুখী শব্দ হিসেবে পেশ করাই ভাল। ইউক্রেনে যে-স্বাধীনতা সংগ্রামী, সে-ই আবার রাশিয়ার কাছে সন্ত্রাসবাদী। বুঝতে অসুবিধে হয় না যে, ভাল-খারাপের বদলে সাদা-কালো, শূন্য-এক— এইরকম বাক্যাংশ ব্যবহার করে দ্বান্দ্বিক ভাবনা প্রকাশ করাটাই সুবিধেজনক। সেক্ষেত্রে রাশিয়া আর ইউক্রেনের যোদ্ধাদের মধ্যে কে ভাড়াটে আর কে দেশপ্রেমী, সেই তর্কে ঢুকতে হয় না, শূন্য বনাম এক গোছের দুটো দাগে দাগিয়ে দিলেই কাজ চলে যায়।
この記事は Desh の August 17, 2023 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です ? サインイン
この記事は Desh の August 17, 2023 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です? サインイン
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।