তিন্নির প্রেম
Desh|April 17, 2024
আগুনচক্ষু মেলে তাকান তপতী। মুখে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ, “ওরে মুখপুড়ি, এই ঘরে থাকবি, আমাদের খাবি-পরবি, আবার আমাদেরই অবজ্ঞা করবি? খবরদার, ওই হাভাতেটার সঙ্গে ফের ঘুরঘুর করেছিস তো ঝাড়ুপেটা করব।”
মৃত্যুঞ্জয় দেব না থ
তিন্নির প্রেম

ব্যা পারটা জানাজানি হতে বাড়িতে দক্ষযজ্ঞ বাধল! যদিও তিন্নি এমনটাই আশঙ্কা করেছিল আগে থেকেই। জানত, সত্য গোপন থাকবে না। একদিন জানাজানি হবেই ওদের কৃষ্ণলীলা রাসলীলা। সে দিন অবধারিত ভয়ঙ্কর গৃহযুদ্ধের সম্মুখীন হতে হবে তাকে। কী ভাবে সামাল দেবে তখন, তা অবশ্য ভেবে দেখেনি কখনও। এখন ভাবতে বসে চোখে সর্ষেফুল বেচারির। মাথা বনবন। কেমন দিশাহারা পাগলপাগল লাগছে যেন। “গালে হাত দিয়ে কী ভাবছিস? ভাল চাস তো মনে-মনে ওই ভুল-সম্পর্কের কবর দে। সমাধি রচনা কর। নইলে কপালে অঢেল দুঃখ আছে, এই বলে রাখলাম।”

“চুপ করো! বেশি বকবক করবে না, বুঝলে! একদম চুপ!” ঘাড় উঁচু করে মায়ের দিকে বড়-বড় চোখ করে তাকায় তিন্নি। “চুপ মানে! কী বলতে চাস তুই? তেড়েফুঁড়ে ওঠেন তপতী। নিজে ভুল করে আবার এত বড় চোখ করে তাকাচ্ছিস? গরম দেখাচ্ছিস? চোখ দুটো গেলে দেব, বুঝলি? একদম গলা উঁচিয়ে কথা বলবি না। একটু লজ্জাবোধ থাকে তো, গলা নামা। অসভ্য মেয়ে কোথাকার!” “তুমি চুপ করো। কোনও ভুল করিনি আমি।” “কী! ভুল করিসনি? তবে ভুলটা কে করেছে শুনি? পাশের বাড়ির হরির মা?” “ভুল করছ তোমরা।” “আমরা! হতভম্ব হয়ে তাকান তপতী। আমরা ভুল করছি? এ-কথার মানে কী?” “তোমরা যা জানো, সব ভুল জানো। ভুলভাল লোকের কাছ থেকে ভুলভাল কথা শুনে দু'জনে নাচনকোঁদন শুরু করেছ। সাহস বা সদিচ্ছা থাকে তো সত্যটা জানার চেষ্টা করো।”

“সত্যটা কী শুনি?” “ও কখনওই অ্যালকোহোলিক নয়। অশিক্ষিত নয়। চালচুলোহীন-বেকারও নয়। ওরা যথেষ্ট ধনী।”

“তাই নাকি? দু’-দিন ওই বদমাশটার পেছন পেছন ঘুরঘুর করে সবজান্তা হয়ে গেছিস?” বলে পুনর্বার তেড়েফুঁড়ে ওঠেন তপতী। রক্তচক্ষু মেলে তাকান। পাগলা হাতির মতো মাথা ঝাঁকান, “পাড়ার লোকজন কিছুই জানে না তবে? সবাই মিথ্যে বলছে?”

“হ্যাঁ, সবাই মিথ্যে বলছে,” তিন্নির দৃঢ়স্বর। “চুপ! একদম চুপ! বেহায়া বেশরম নির্লজ্জ মেয়ে কোথাকার! প্রেমে একেবারে হাবুডুবু খাচ্ছেন উনি। সত্যিটাও দেখতে পাচ্ছেন না। অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র সেজেছেন। তোর কপালে বহুত দুঃখ আছে রে তিন্নি, এই বলে রাখলাম। এমন হাঁদা-বোবা-কালা সাজিস না। কেঁদে কূল পাবি না রে। জীবনটা অনেক বড়। একটিবার ভুল করে ফেললে আজীবন সইতে হবে সে জ্বলন।” “কোনও উপদেশ শুনতে চাই না।” “তবে কী চাস, শুনি? মনে-মনে কী প্ল্যান এঁটেছিস?” “জানি না, যাও।”

この記事は Desh の April 17, 2024 版に掲載されています。

7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。

この記事は Desh の April 17, 2024 版に掲載されています。

7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。

DESHのその他の記事すべて表示
ভূতের বাড়ি
Desh

ভূতের বাড়ি

প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।

time-read
4 分  |
November 17, 2024
চার দশকের মেট্রো
Desh

চার দশকের মেট্রো

কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।

time-read
5 分  |
November 17, 2024
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
Desh

ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত

ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।

time-read
4 分  |
November 17, 2024
ফিরলেন ট্রাম্প
Desh

ফিরলেন ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

time-read
8 分  |
November 17, 2024
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
Desh

দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর

ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।

time-read
9 分  |
November 17, 2024
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
Desh

মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন

ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।

time-read
10 分  |
November 17, 2024
বহুরূপী কৃত্তিকা
Desh

বহুরূপী কৃত্তিকা

হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।

time-read
10+ 分  |
November 17, 2024
দিগন্তের আলো
Desh

দিগন্তের আলো

মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।

time-read
10+ 分  |
November 17, 2024
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
Desh

অসমাপ্ত গল্পের পাতা

একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"

time-read
10+ 分  |
November 17, 2024
চৈতি-ঝরা বেলায়
Desh

চৈতি-ঝরা বেলায়

মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।

time-read
10+ 分  |
November 17, 2024