• দেশ পত্রিকার সাম্প্রতিকতম সংখ্যায় (২ অক্টোবর ২০২৪) সম্পাদকীয় নিবন্ধের শিরোনাম—‘সত্যের আলোয় ভেসে যাক চরাচর'। সম্পাদকের সঙ্গে সহমত হয়ে বলতে চাই, নারী সমাজের, নারী শক্তির প্রতীক আমাদের ঘরের মেয়ে উমা বৎসরান্তে ঘরে আসুক, যদিও পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূল নয়। পাশাপাশি প্রতিবাদ, আন্দোলন চলুক।
আমাদের দু'টি প্রাচীন মহাকাব্যের মূল বিষয় সত্য ও ন্যায়ের পথে ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। আমাদের রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে মহাভারতের সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি চলছে। পদ ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করার তাগিদে বহু অন্যায়, বহু দুর্নীতির মদতদাতা এবং রক্ষাকর্তার ভূমিকা পালন করছেন সর্বোচ্চ পদাধিকারীরা। ভীষ্ম শরশয্যায় শুয়ে মৃত্যুর প্রতীক্ষায়, দ্রৌপদী এলেন পিতামহর সঙ্গে দেখা করতে। সরাসরি প্রশ্ন করলেন, অন্যায় ভাবে দুঃশাসন যখন তাঁর বস্ত্রহরণ করছিল, তখন তিনি বিচলিত হলেও নীরব ছিলেন কেন! উত্তরে ভীষ্মের বক্তব্য ছিল, তিনি সে-সময় ধৃতরাষ্ট্রের অন্নদাস ছিলেন তাই বাধ্য হয়ে অন্যায় মেনে নিয়েছিলেন, প্রতিবাদ করতে পারেননি। এর নজির বহুকাল থেকে আমাদের রাজ্য তথা দেশে দেখা যায়। পুলিশ ও প্রশাসন আধিকারিকরা সরকারের অন্নদাস (যদিও জনগণের করের টাকায় এঁদের বেতন হয়), তাই চাকরির ভয়ে, মানসিক নির্যাতনের ভয়ে সঙ্গত কারণেও তাঁরা সরকার পক্ষের বিরোধিতা করতে পারেন না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারেন না। রক্ষকের ভূমিকা পালন না করে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করেন। আমাদের রাজ্যে সাম্প্রতিক কালের ঘোর অমানিশার অন্যতম কারণ এটি।
রামায়ণ থেকেই অকাল বোধনকে আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব, প্রাণের পূজা হিসেবে গ্রহণ করেছি। রাবণ বধের জন্য অসময়ে অসুরনাশিনী দুর্গার আরাধনায় ব্রতী হয়েছিলেন রামচন্দ্র। ছোটবেলায় দেখেছি ভক্তি, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও ভালবাসার দুর্গাপূজা। তখন উৎসব নিয়ে অত মাতামাতি ছিল না। সেই পূজা এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেক বদলে গেছে। আড়ম্বরের বাহুল্যে বেড়েছে উৎসব, হারিয়ে গেছে পূজা। তবে পুজোয় রাজনৈতিক চরিত্রের অনুপ্রবেশের ফলে বিবর্তনের বাঁকগুলো বদলে যাচ্ছে দ্রুত। পুজো এখন জনসংযোগের, আনুগত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। আজকের কার্নিভালপুজো তার অন্যতম উদাহরণ।
この記事は Desh の October 17, 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です ? サインイン
この記事は Desh の October 17, 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です? サインイン
অসুরক্ষিত এক চিকিৎসা ক্ষেত্র
স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিকৃত ভাবনা এবং দর্শনের আকাশে নিশাচর হিসেবে চিকিৎসা মাফিয়াদের উদ্ভব এবং বিকাশ।
‘ধ্রুপদী’ হল বাংলা ভাষা এ
কটা সঙ্গত প্রশ্ন উঠতে পারে ধ্রুপদী ভাষার সংজ্ঞার্থ কী? এর কী আদৌ কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞার্থ আছে?
ইজ্রায়েল-গাজা-প্যালেস্টাইন, ইরান ও সৌদি আরব, লেবানন—মধ্যপ্রাচ্যের অশান্তি ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে।
ইজরায়েলের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহে ভারত ইজরায়েলের কাছ থেকে সমর্থন পায়। তবে, ভারত প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকেও সমর্থন জানিয়ে এসেছে।
আমাদের রক্তকণিকারা আলোয় মাতে
কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান শ্রোতাকে নিয়ে যায় অনন্তসাগরমাঝে, করুণ সুরে বাজতে থাকে চরণতলচুম্বিত পন্থবীণা।
উৎসবের অন্ধকার
সময় কখন কার হাত দিয়ে অলক্ষ্মী তাড়িয়ে লক্ষ্মীর আসন গড়ে দেয়, কেউ তা জানে না। শুধু আশা, শ্মশানের ছাইভস্ম — চেতনা, ভালবাসা, আদর্শ ও পারস্পরিক বিশ্বাসের সুধাধারায় ধুয়ে যাক। পশ্চিমবঙ্গবাসী শান্তি, স্বস্তি, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সমৃদ্ধি নিয়ে স্থিত হোক।
লক্ষ্মীশ্রী ও লক্ষ্মীনিবাস পাঁচালি
বাঙালিদের ব্যবসা করা নিয়ে আজ যতই ব্যঙ্গের তির ছুটে আসুক না কেন, বাঙালিরা সপ্তডিঙা নিয়ে ব্যবসা করতে বেরিয়ে পড়েছিল, বাংলার ইতিহাস-সাহিত্য, সেই প্রমাণ দিয়েছে একাধিকবার।
পান্থজন ও তাঁর সখা
নতুন পথের খোঁজে অক্লান্ত এই পথিক জীবনসায়াহ্নে পৌঁছেও পড়তে চাইছেন কবিতায় আধুনিকতার কম্পাস!
সিদ্ধার্থ জাতক
নিজে ঈশ্বর মানতেন না, কিন্তু মানুষ তাঁকেও ঈশ্বর বানিয়ে ছেড়েছে। তাঁর জন্মস্থল নিয়েও সীমানার এ পারে ও পারে রশি টানাটানি; ডলার-ইয়েন-এর মায়া বড় কম নয়।
দৃশ্য ও অনুভূতির রেখমালা
দর্শককে নিজের গভীর অভ্যন্তরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয় বিড়লা একাডেমির এই প্রদর্শনী।
বিপ্লব, ব্যতিক্রম ও বাস্তব
তিনটি সাম্প্রতিক নাট্যালোচনা। তাতে এক্সপেরিমেন্টাল কাজ যেমন আছে, তেমনই আছে সাহিত্যনির্ভর গল্পও।