কীভাবে কাজ করে হোমিওপ্যাথি?

যে জিনিসটি একটি সুস্থ মানবশরীরে কোনও অসুখের সৃষ্টি করেছে, সেটিকেই যদি ‘হাইলি ডাইলিউটেড’ আকারে মানবশরীরে প্রয়োগ করা যায়, তাহলে রোগটি সেরে যাবে।

হোমিওপ্যাথিক ওষুধ কীভাবে কাজ করে? আদৌ কোনও কাজ করে কি? অনেক মানুষের মধ্যে, এমনকী বিজ্ঞানী, চিকিৎসকদের মধ্যেও রয়েছে এই প্রশ্ন।

জার্মান ডাক্তার স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ১৭৯০ সাল নাগাদ যে একগুচ্ছ নীতি নির্ধারণ করে গিয়েছিলেন, তার উপর ভিত্তি করেই চলছে এই চিকিৎসাশাস্ত্রটি। নীতিগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হল, ‘লাইক কিওরস লাইক’— অর্থাৎ যে জিনিসটি একটি সুস্থ মানবশরীরে কোনও অসুখের সৃষ্টি করেছে, সেটিকেই যদি ‘হাইলি ডাইলিউটেড’ আকারে, মানে একাধিকবার জল মিশিয়ে খুবই পাতলা করে মানবশরীরে প্রয়োগ করা যায়, তাহলে রোগটি সেরে যাবে। ধরা যাক, কোনও ‘পয়জন আইভি’ বা বিষাক্ত আইভি লতা থেকে কোনও ব্যক্তির ত্বকের রোগ হয়েছে। এবার একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক করবেন কী, ওই বিষাক্ত আইভি লতার বিষটিকেই সংগ্রহ করবেন। এরপর সেটিতে অনেকবার জল মিশিয়ে খুব ‘ডাইলিউট’ বা পাতলা করে রোগীর শরীরে প্রয়োগ করবেন। হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের মত, এতেই সারবে ওই ত্বকের রোগ।

আর ঠিক এই পদ্ধতিটি ঘিরেই যত প্রশ্ন, গুচ্ছের সংশয়। বিরুদ্ধবাদীদের বক্তব্য, যে পদার্থটি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করবে বলে বলা হচ্ছে, যেমন এখানে আইভি লতার বিষ, সেটিকেই যদি এত ‘ডাইলিউট’ বা পাতলা করে ফেলা হয়, তাহলে সেটা আর লড়াই করবে কী করে? উত্তরটা লুকিয়ে রয়েছে যে পদ্ধতিতে একজন হোমিওপ্যাথ তাঁর ওষুধকে ‘ডাইলিউট’ বা পাতলা করেন এবং যেভাবে সেটিকে ‘পোটেনটাইজ’ বা চার্জড করেন, সেই পদ্ধতির মধ্যে।