মালয়েশিয়ার নানা দিকে
Bhraman|August 2023
এবার পুজোর ছুটিতে মালয়েশিয়া ঘুরে আসতে পারেন। কলকাতা থেকে চার ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এয়ার এশিয়া, ইন্দোনেশীয় বাটিক এয়ারের বিমান সরাসরি চার ঘণ্টায় কলকাতা থেকে কুয়ালালামপুর পৌঁছে দেয়। দুটি উড়ানই রাত বারোটা নাগাদ কলকাতা ছেড়ে স্থানীয় সময় সকাল সাতটা নাগাদ কুয়ালালামপুর পৌঁছয়। এছাড়া আরও অনেকগুলি ফ্লাইট একটু ঘুরপথে নিয়মিত যাতায়াত করে।
মালয়েশিয়ার নানা দিকে

কুয়ালালামপুর দেশের প্রধান ও সর্বপ্রসিদ্ধ শহর হল গোম্বাক নদীর তীরে কুয়ালালামপুর, প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের বাস এখানে। ওখান থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে পুত্রাজায়া নামে নতুন শহরটিই হল দেশের রাজধানী (১৯৯৯ সাল থেকে)। সেখানকার ঝাঁ-চকচকে নব্য ধাঁচের বাড়ি ও সরকারি প্রাসাদোপম দপ্তরগুলি খুবই সুন্দর। গোলাপি গ্র্যানাইটের তৈরি বিশাল পুত্রা মসজিদ, সবুজ গম্বুজধারী প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, নীল জলের লেকের পাশে তিনতলা পুত্রাজায়া ব্রিজ। সেগওয়ের মতো ইনমোশন ইলেক্ট্রিক পার্সোনেল ট্রান্সপোর্টারে অল্প সময়ের মধ্যে শহরটিকে ঘুরে দেখে নেওয়া যায়। বেশ নতুন ধরনের আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা।

কুয়ালালামপুর শহরেই রয়েছে দেশের সংসদ ভবন, সুলতানের বাসস্থান ইস্তানা নেগারা ও আরও বহু দ্রষ্টব্য, যেমন পেটরোনাস ট্যুইন টাওয়ার্স ও সেন্ট্রাল পার্কার মধ্যে বহু প্রসিদ্ধ কুয়ালালামপুর টাওয়ার যেগুলি এককালে পৃথিবীর সর্বোচ্চ অট্টালিকা হিসেবে পরিগণিত হত। শহরের ভেতর ও কাছাকাছি যাওয়া-আসার জন্য আছে মেট্রো, এল আর টি, ট্যাক্সি, বাস আর দূরের জন্য কুয়ালালামপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে ট্রেন ও কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান পরিষেবা। চারদিকে ম্যলের ছড়াছড়ি, চোখধাঁধানো বিপণি সম্ভার, আর খাওয়ার জায়গার তো কোনও অভাবই নেই। বড় মাল ছাড়াও বহু পুরনো বাজার আছে যেখানে উঁকি মারলে দেশের সাধারণ মানুষ ও তাদের জীবনযাত্রার একটা ঝাঁকিদর্শনও পাওয়া যায়। শহরের দ্রষ্টব্যের মধ্যে রয়েছে: জাতীয় মসজিদ, জাতীয় মিউজিয়াম ও আর্ট গ্যালারি ↑ মিউজিয়াম নেগারা, সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশন, ঐতিহাসিক মারডেকা স্কোয়্যার, যেখানে ১৯৫৭ সালের ৩১ অগস্ট ওদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল, ইত্যাদি।

কুয়ালালামপুর খাদ্যপ্রেমীদের স্বর্গ বললে ভুল বলা হবে না। এদেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ফুডকোর্টে খাওয়া। এখন সেটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। বহু পর্যটন সংস্থা ২-৮ ঘণ্টাব্যাপী খাবার চেখে বেড়ানো ও নিজে হাতে রান্না শেখার ক্লাসের ব্যবস্থা করে থাকে। দেশের উত্তর দিকের প্রসিদ্ধ পেনাং শহরের জর্জটাউন এলাকায় এটা অবশ্যকরণীয় আনন্দের একটা। তবে মালয়েশিয়া মুসলিম রাষ্ট্র বলে প্রকাশ্যে শূকর-মাংস বিক্রয় ও মদ্যপান বা বিক্রয় নিষিদ্ধ। কিন্তু বহুজাতিক খাবারের বিপণিগুলিরবিশেষ লাইসেন্স আছে।

この記事は Bhraman の August 2023 版に掲載されています。

7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。

この記事は Bhraman の August 2023 版に掲載されています。

7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。

BHRAMANのその他の記事すべて表示
বাঁকুড়ার অষ্টসখী দুর্গার গ্রামে
Bhraman

বাঁকুড়ার অষ্টসখী দুর্গার গ্রামে

এবছর যাঁরা আমরাল গ্রামের অষ্টসখী দুর্গাপুজো দেখতে যেতে চান, তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেন সঞ্জয় গোস্বামীর সঙ্গে: -৮৯১৮১-৩৬০৫৬

time-read
2 分  |
August 2024
ইতিহাসের দিল্লি
Bhraman

ইতিহাসের দিল্লি

প্রায় দু'হাজার পাঠক-পাঠিকা এক সঙ্গে বসে পড়াশোনা করার মতো একটি সুবিশাল হলঘরও আছে এখানে।

time-read
4 分  |
July 2024
স্মৃতির নগরী আগ্রা
Bhraman

স্মৃতির নগরী আগ্রা

আছে আরও নানা স্থাপত্য। তবে কেল্লা-প্রাঙ্গণের মূল আকর্ষণ সেলিম চিস্তির দরগা। শ্বেতপাথরের এই দরগাটি কেল্লার জামি মসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত।

time-read
2 分  |
July 2024
বারাণসীর পথ-ঘাট অলিগলি
Bhraman

বারাণসীর পথ-ঘাট অলিগলি

বারাণসীর খাওয়াদাওয়া বারাণসীর গলি, তস্য গলির মধ্যে পথ হারানোর সম্ভাবনা প্রবল। তবে গলিতে মানুষের কোনও অভাব নেই, তাঁরাই বাতলে দেবেন পথ। এই সব গলির দেওয়ালে আঁকা আছে রংবেরঙের চিত্র। ছবির বিষয় কেবল ধর্মীয় বা পৌরাণিক কাহিনিই নয়, সমসাময়িক সমাজও। এই অলিগলি থেকে শুরু করে রাজপথ, সর্বত্রই খাবারের দোকান পাবেন। বারাণসীতে এসে রসনাকে তৃপ্তি না দিলে নিজেই ঠকবেন! বেনারসের সকাল শুরু হয় গরম কচুরি দিয়ে, সঙ্গে নিতে পারেন মালাই টোস্ট আর চা। বেনারসের আর-এক জনপ্রিয় খাবার চাট। ফুচকা থেকে বড়া আর টম্যাটো থেকে কচুরি, সব কিছুরই চাট মেলে বেনারসে। চাটের সঙ্গে আছে ঠান্ডা কুলফি ও ফালুদা। শীতে বেনারস গেলে অবশ্যই চেখে দেখবেন মালায়িও— মালাই ও মাখনের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। অনেকের মতে মালায়িও হল মিষ্টির রাজা। এছাড়া রাবড়ি, লস্যি আর শেষ পাতে নানা স্বাদগন্ধের বেনারসি পান তো আছেই !

time-read
3 分  |
July 2024
চেনা কাশ্মীর দেখে অল্প চেনা পথে
Bhraman

চেনা কাশ্মীর দেখে অল্প চেনা পথে

আরও আনন্দের হয় যদি শ্রীনগর থেকে চলে যেতে পারেন কাশ্মীরের অচেনা স্বর্গ তোসা ময়দান । তুষারে মাখা পিরপাঞ্জাল পর্বতশ্রেণি ঘিরে আছে বিস্তীর্ণ তৃণভূমিকে। ঢেউখেলানো ময়দানের বুক চিরে খরস্রোতে বয়ে চলেছে সুখনাগ নদী। ছাগল, ভেড়া, ঘোড়া মনের সুখে চরে বেড়ায় সেই সবুজ প্রান্তরে। শ্রীনগর থেকে তোসা ময়দানের দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার। গাড়িতে যাতায়াতের খরচ পড়বে ৬,০০০-৭,০০০ টাকা। শ্রীনগরের কোনও হোটেলে রাত্রিবাস করেই সারাদিনের সফরে দেখে নেওয়া যায় তোসা ময়দান। তবে কেউ যদি তোসা ময়দানে তাঁবুতে রাত্রিবাস করতে চান, কিংবা সীতাহরণ গ্রামের হোমস্টেতে থাকতে চান তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেন সীতাহরণ গ্রামের ফৈয়াজ আহমেদ শেখ (৯৯০৬৮-৫৪২৮৬) ও মনজুর আহমেদ শেখের (৯৯০৬৬-৫৬৫৯১) সঙ্গে। তোসা ময়দান থেকে বিভিন্ন ট্রেকিং প্রোগ্রামের ব্যবস্থার জন্যও কথা বলা যেতে পারে ওঁদের সঙ্গে।

time-read
8 分  |
July 2024
গাড়োয়ালের পথে পথে
Bhraman

গাড়োয়ালের পথে পথে

অনলাইন রেজিস্ট্রেশন গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ এবং হেমকুণ্ড-র যাত্রীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করা এখন বাধ্যতামূলক। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য দেখুন এই ওয়েবসাইট: https:// registrationandtouristcare.uk.gov.in কেদারে ডুলি ও ঘোড়ার খরচ বয়স্ক যাত্রীদের পদব্রজে কেদারনাথ যেতে অসুবিধা হলে ঘোড়া বা ডুলিরও ব্যবস্থা আছে এপথে। গৌরীকুণ্ড থেকে ১ কিলোমিটার এগিয়ে কেদার যাওয়ার ডুলি ও ঘোড়া পাওয়া যায়। গৌরীকুণ্ড থেকে ডুলিতে যাওয়া-আসা মিলিয়ে আনুমানিক খরচ ১৪,০০০-১৬,০০০ টাকা। শরীরের ওজন অনুযায়ীও ভাড়ার তারতম হয়। গৌরীকুণ্ড থেকে কেদার যাওয়ার ঘোড়ার সরকারি খরচ ৩,২০০ টাকা। তবে চাহিদা অনুযায়ী আরও অনেক আনুষঙ্গিক খরচ যুক্ত হয়। ফেরার পথে কেদার থেকে গৌরীকুণ্ড ঘোড়ার খরচ ২,০০০ টাকা। জেনে রাখুন সাধারণত মদমহেশ্বরের মন্দির অক্ষয় তৃতীয়ার দিন খোলে আবার দীপাবলির পর বন্ধ হয়। মন্দির বন্ধ হওয়ার সময় মদমহেশ্বরের প্রতিমূর্তি ডোলিতে নামিয়ে আনা হয় উখিমঠের ওঙ্কারেশ্বর মন্দিরে।

time-read
10+ 分  |
July 2024
কুমায়ুন ভ্রমণ
Bhraman

কুমায়ুন ভ্রমণ

লালকুঁয়া থেকে করবেট অরণ্য লালকুঁয়া থেকে করবেটের দূরত্ব মোটামুটি ৭০ কিলোমিটার। ১,২৮৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই অরণ্য আটটি 'জোন'-এ বিভক্ত। জনপ্রিয় জোনগুলি হল ধিকালা, বিজরানি, ঝিরনা ও ঢেলা। এর মধ্যে আবার ধিকালা জোনেই সরকারি থাকার ব্যবস্থা ও বিভিন্ন ধরনের সাফারির ব্যবস্থা সব চেয়ে ভালো। উপরোক্ত সবক'টি জোনেই বনবিভাগের লজ, গেস্টহাউস আছে। বাফার এলাকায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার ব্যবস্থাও আছে। আগে থেকে বুকিং করলে অবশ্যই ধিকালা বা বিজরানি জোনের জন্যই চেষ্টা করা উচিত। তবে, জঙ্গলে বন্যপ্রাণীর দেখা পাওয়া সবসময়ই ভাগ্যের ব্যাপার! ধিকালা জোনে থাকলে ধানগঢ়ী গেট দিয়ে প্রবেশ করার পথে কোশী নদীর বুকে গর্জিয়া দেবীর মন্দির দেখে নেওয়া যেতে পারে। করবেট থেকে ফেরার পথে কালাধুঙ্গিতে জিম করবেটের বাসস্থান ও মিউজিয়াম দেখে নেওয়া যায়। পথের ধারে একটি অত্যন্ত অনাড়ম্বর দুই কামরার বাড়িতে জিম করবেট থাকতেন। বর্তমানে এটিকে একটি সুন্দর মিউজিয়ামে পরিণত করা হয়েছে। করবেট অরণ্য সম্বন্ধে বিশদে জানতে ৫৫ পৃষ্ঠা দেখুন।

time-read
4 分  |
July 2024
উত্তরের অরণ্য
Bhraman

উত্তরের অরণ্য

দুধওয়া জঙ্গলের প্রবেশপথেই রয়েছে অনেকগুলো কটেজ নিয়ে সরকারি বনবাংলো। পালিয়া কালানে বেসরকারি হোটেলও আছে।

time-read
5 分  |
July 2024
বুদ্ধ-জীবনের আট মহাস্থান
Bhraman

বুদ্ধ-জীবনের আট মহাস্থান

সেই থেকে এর নাম মর্কট হ্রদ। এটি বুদ্ধের জীবনের আট মহত্তম ঘটনার অন্যতম ।

time-read
6 分  |
July 2024
এক যাত্রায় গুজরাত দিউ
Bhraman

এক যাত্রায় গুজরাত দিউ

ফোর্টটি বেশ বিস্তৃত এবং সজ্জিত। এছাড়া দেখে নিন আই এন এস খকরি

time-read
5 分  |
July 2024