সিমলা ছুঁয়ে চ্যানসেল পাস

অপূর্ব সুন্দর স্টেশন। যাত্রীরা কামরা থেকে নেমে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। এরপর সোলান, সোঘি, তারাদেবী, সামারহিল স্টেশন পার হয়ে ট্রেন সিমলায় পৌঁছল।

- লেখা ও ছবি: গৌতম সরকার

রাতে দিল্লি থেকে কালকায় এসে পরদিন ভোর পৌনে ছ'টার শিবালিক ডিলাক্স | এক্সপ্রেসে চললাম সিমলায়। রাতটুকু স্টেশন সংলগ্ন একটা হোটেলে কাটল। সওয়া ঘণ্টা পর ট্রেন যখন গুম্মান স্টেশনে ঢুকছে তখন আকাশও আস্তে আস্তে পরিষ্কার হচ্ছে। বারোগে গাড়ি দাঁড়ায় আট মিনিট। অপূর্ব সুন্দর স্টেশন। যাত্রীরা কামরা থেকে নেমে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। এরপর সোলান, সোঘি, তারাদেবী, সামারহিল স্টেশন পার হয়ে ট্রেন সিমলায় পৌঁছল।

সিমলার ম্যাল থেকে পাঁচ মিনিটের হাঁটাপথে ‘হোটেল হোয়াইট'। পুরনো আমলের বাড়ি, বড় বড় ঘর, ঘর লাগোয়া ব্যালকনি। হোটেল মনপসন্দ হলেও ভিড়াক্রান্ত ম্যালে মন টিকল না বেশিক্ষণ। উইন্টার ফেস্টিভ্যাল চলছে। সুন্দর ম্যালকে ঘিরে ত্রিপল, ব্যানার, ফ্লেক্স, হাজারো দোকান, সেই সঙ্গে হইচই নাচ-গান। অতঃপর ক্রাইস্ট চার্চ আর গ্যেইটি থিয়েটার ঘুরে পালালাম কালীবাড়ি অভিমুখে। পুজো দিয়ে, প্রসাদ নিয়ে নীচের পুলিশ চৌকির রাস্তা ধরে ডান দিক বরাবর হাঁটা লাগালাম। কিছুটা গেলে পাহাড়ের কিনারে কাঠের বেঞ্চে সুন্দর বসার ব্যবস্থা আছে। বেশ কয়েকটা হোটেল আর দোকানও আছে। কিন্তু শীতে সন্ধে ছ'টার পর সিমলা জুড়ে এত ঠান্ডা হাওয়া বইতে থাকে যে, ফাঁকা জায়গায় বসে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়ে! কালীবাড়ির পথেই পড়ে ব্যান্টনি মিউজিয়াম, সেখানে সন্ধেবেলা 'লাইট অ্যান্ড সাউন্ড' প্রদর্শনীতে সিমলার ইতিহাস বর্ণিত হয়। পরদিনের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করে রাখা ছিল কলকাতা থেকেই। চালকের নাম ভিকি। স্থানীয় ছেলে। সকাল সাড়ে আটটায় বেরনো হল, প্রথম স্টপ কুফরি। কুফরির মিনি জু শান্ত সবুজ দেওদার আকীর্ণ জায়গা। এত সকালে স্বভাবতই নিরালা। সম্বর, থর, মাস্ক ডিয়ার,