
খা তায়-কলমে তালুকা বা গ্রামের নাম রাখাল। কিন্তু মানিলা দেবীর মন্দিরের জন্য নাম হয়ে গিয়েছে মানিলা। নির্মেঘ দিনে উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া জেলার এ গ্রামের প্রধান আকর্ষণ এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছড়ানো হিমালয়ের শিখররাজির দৃশ্য আর হিমালয়ের দুর্লভ পাখি চির আর কোকলাস ফেজ্যান্ট।
লালকুঁয়া স্টেশনে নেমে সস্ত্রীক চললাম প্রায় ছ'হাজার ফুট উচ্চতার মানিলায়। তবে সরাসরি নয়, ঠিক হয়েছে, মধ্যে এক দিন কাটাব নউকুচিয়াতালের কাছে এক হোমস্টেতে, পাখি খুঁজতে ঘুরে আসব সাততাল আর চাফি। তারপর দুটো দিন মানিলায় থেকে যাব করবেটের জঙ্গলে। সেখানে বিজরানি জোনে অতি কষ্টে এক রাতের বুকিং পাওয়া গিয়েছে। কলকাতায় গ্রীষ্মের দাবদাহ যখন অসহনীয়, কুমায়ুন পাহাড়ের পাদদেশে তখন বসন্তের ছোঁয়া। লালকুঁয়া স্টেশনে গাড়ি নিয়ে চালক গুড্ডু অপেক্ষা করছিল। সময়টা ২০২৩-এর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ। কাঠগোদাম হয়ে হোমস্টেতে পৌঁছে গেলাম ঘণ্টাখানেকের মধ্যে। নউকুচিয়াতালের (উচ্চতা ৪,০০০ ফুট) কাছে হোমস্টে। নৈনিতালের হ্রদগুলির মধ্যে নউকুচিয়াতাল অপেক্ষাকৃত শান্ত, নিরিবিলি। আকৃতিতে নয় কোণবিশিষ্ট, তাই এমন নাম। আশপাশে হোটেল-রিসর্ট আছে বেশ কয়েকটা। তা সত্ত্বেও গাছপালায় ছাওয়া নউকুচিয়াতালকে ভালো লেগে যায়। গাছে গাছে পাখির কলতান, হ্রদের জলে ভেসে পড়ার আহ্বান ! ধরনের লেকের ধার দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখা হয়ে গেল মাউন্টেন বুলবুল, হোয়াইট-ক্রেস্টেড লাফিংথ্রাশ আর এক ঝাঁক ব্ল্যাক-থ্রোটেড টিটের সঙ্গে। এছাড়াও বেশ কয়েক কাঠঠোকরা— যেমন, ব্রাউন-ফ্রন্টেড উডপেকার আর গ্রেটার ইয়লোনেপ উডপেকার। এখন পাখিদের বাসা বাঁধার মরশুম, তাই আমাদের হোমস্টের কাছেও নানা পাখির ওড়াউড়ি। তার মধ্যেই দেখা পেলাম ব্লু-উইঙ্গড মিনলা, টিকেলস থ্রাশ, প্লাম-হেডেড প্যারাকিট সহ বেশ কিছু পাখির
আমাদের পাখি দেখানোর গাইডের নাম প্রবীণ। বিকেলে তার সঙ্গে ঘুরে এলাম কাছেই সাততাল আর চাফি থেকে। সে দেখাল এই অঞ্চলের বিশেষ দু'টি পেঁচা— ব্রাউন উড আউল আর টনি ফিশ আউল। আয়তনে বেশ বড় এই প্যাচাদু'টি।
この記事は Bhraman の April 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です ? サインイン
この記事は Bhraman の April 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です? サインイン

ইয়েলবং
গুহার মধ্যে রুমতি নদীর পাথুরে খাতে হাঁটুজলে বুকজলে হাঁটা, উপর থেকে ঝরে পড়া নদীর জলে ভিজে যাওয়াইয়েলবংয়ে নদীখাত পদযাত্রার সেরা সময় মার্চ-এপ্রিল।

চোপতা তুঙ্গনাথ আউলি গরসন বুগিয়াল
হরিদ্বার থেকে দেবপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, কুণ্ড হয়ে চোপতা। চোপতা থেকে তুঙ্গনাথ, চন্দ্রশিলা। তারপর যোশিমঠ থেকে বদ্রীনাথ, আউলি হয়ে গরসন বুগিয়াল। গাড়োয়ালের নিসর্গপথে বেড়ানোর সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

ভাগামনের চা-বাগানে
চা-বাগান, বুগিয়াল আর পাইনবনে ছাওয়া গাঢ় সবুজ ভাগামনে সারাবছর যাওয়া চলে। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে। ভাগামনের বাড়তি পাওনা প্যারাগ্লাইডিং।

নতুন পথে গোকিও হ্রদ অভিযান
থোনাক লা (৫,৪১৬ মিটার) আর রেঞ্জো লা (৫,৪৩৫ মিটার)-য় দাঁড়িয়ে সোজা তাকালে আকাশের গায়ে ঝকঝক করে এভারেস্ট শৃঙ্গ, আর চোখ নামালে হিমালয়ের নীলকান্তমণি গোকিও হ্রদ। এভারেস্টের পাড়ায় দু'দিক থেকে গোকিও হ্রদ অভিযানের সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

একুশে ফেব্রুয়ারি
১৯৯৮ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে, গাজী সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে আনিসুজ্জামানের সঙ্গে গভীর আলোচনার পর, ঢাকা শহরের রাস্তায় বাঙালির একুশের মিছিলের অংশ হিসেবে মাতৃভাষার জন্য রক্তদান করা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে ফুলের পাহাড়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলাম।

রণথম্ভোরের রাজকাহিনি
রণথম্ভোর অরণ্যে যাওয়া চলে ১ অক্টোবর থেকে ৩০ জুন। তবে, গ্রীষ্মে প্রখর দাবদাহ সহ্য করে জলের ধারে অপেক্ষা করলে বাঘের দেখা পাওয়ারই কথা।

মেঘালয় ভ্রমণ
একের পর এক জলপ্রপাত, হ্রদ, নদী, রুট ব্রিজ, প্রাকৃতিক গুহা— সব কিছু নিয়ে মেঘালয় প্রাকৃতিক সম্পদের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার। বেড়ানোর সেরা সময় মার্চ থেকে জুন। তাপমাত্রা এ-সময় ১৬ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

হাব্বা খাতুনের দেশে
কাশ্মীরের চেনাপথ ছেড়ে এক অচেনা কাশ্মীর ভ্রমণ। মারশেরি, বাঙ্গাস, লোলাব, মচ্ছল ও গুরেজ উপত্যকা। গুরেজ উপত্যকায় যেতে হলে যে গিরিবা পেরতে হয়, সেই রাজদান পাস শীতের মাসগুলোয় বরফে ঢাকা থাকে।

লিপুলেখ থেকে কৈলাস পর্বত দর্শন
কুমায়ুন হিমালয়ের লিপুলেখ গিরিবর্তে দাঁড়ালে দেখা যায় সুদূর তিব্বতের কৈলাস পর্বত। গাড়ি চলে যায় লিপুলেখ পাস পর্যন্ত। তবে, লিপুলেখ পাসে যেতে সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক অনুমতি লাগে। নাবি থেকে নাভিধাং হয়ে লিপুলেখ পাস ৩০ কিলোমিটার । নাবি থেকে আরেক পথে জলিংকং হয়ে আদি কৈলাসও ৩০ কিলোমিটার। পার্বতী সরোবরের ধারে আকাশ আলো করে দাঁড়িয়ে আছে আদি কৈলাস।

আয়ারল্যান্ডের পথে-প্রান্তরে
সাগর, নদী, হ্রদ, আদিগন্ত ঢেউখেলানো সবুজ উপত্যকা, প্রাচীন সব দুর্গ, প্রাসাদ, আড্ডাখানা নিয়ে আয়ারল্যান্ড গ্রীষ্মে ভারি মনোরম।