এবছর মার্চ মাসে সুযোগ এল এক অভিযাত্রী দলের সঙ্গে আন্টার্কটিকা মহাদেশে যাওয়ার। বছরখানেক ধরে চলছিল এর প্রস্তুতি।
আন্টার্কটিকা মহাদেশের পশ্চিম দিকের অংশ আন্টার্কটিক পেনিনসুলা। মানচিত্রে দেখা যায়, মহাদেশ থেকে লেজের মতো বেরিয়ে আছে ১,৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ অঞ্চল। ওটাই আন্টার্কটিক পেনিনসুলা। দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণতম প্রান্ত থেকে দূরত্ব এক হাজার কিলোমিটার। আশি শতাংশ বরফে ঢাকা। বিশ্ব-উষ্ণায়নের প্রভাব আন্টার্কটিকার অন্যান্য অংশের তুলনায় পশ্চিমী তথা পেনিনসুলা অঞ্চলে অনেক বেশি।
৯ মার্চ সকাল আটটা নাগাদ পৃথিবীর দক্ষিণতম প্রান্তের শেষ শহর, উশুয়াইয়ায় নেমে পড়লাম। ‘পৃথিবীর শেষ প্রান্ত' নামেই পরিচিতি শহরটার। এই ছোট শহরটাই আন্টার্কটিকার প্রবেশদ্বার।
অ্যারাইভাল লাউঞ্জে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন ট্যুর কোম্পানির লোকেরা। আরও কয়েক জন যাত্রী জড়ো হলেন। টার্মিনাল থেকে বেরিয়ে উঠলাম একটা ছোট বাসে।
পৃথিবীর শেষ শহর শীতল, ঘন মেঘ আর কুয়াশায় ঢাকা। থমথম করছে মেঘে ছাওয়া, হিমবাহে ঢাকা চারপাশের পর্বতমালা, চিরহরিৎ অরণ্য। টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে। উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথ বেয়ে, শহর ছাড়িয়ে গাড়ি থামল হোটেল উইন্ডহ্যাম গার্ডেনের সামনে।
শহরের তিন দিকে বরফ আর হিমবাহে ভরা পর্বত, আর-এক দিকে সমুদ্রের খাঁড়িপথ, নাম বিগল চ্যানেল। চারপাশে সবুজ অরণ্যের মধ্যে হোটেল। ঘড়িতে ন'টা। শুনলাম ঘর রেডি হতে আরও কিছু সময় লাগবে। রিসেপশনে লাগেজ রেখে, পিঠে ছোট রুকস্যাক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম জনবিরল পাহাড়ি পথে। অরণ্যের ভিতর দিয়ে এঁকেবেঁকে ঊর্ধ্বমুখী পথে অনেকটা উপরে এক গ্লেসিয়ার। কনকনে শীতল বাতাস বইছে। মাধ্যাকর্ষণের বিপরীতে ওঠার সময় পরিশ্রমে ঘর্মাক্ত হয়ে যাচ্ছি। আর থামলেই শীতল বাতাসে হাড়কাঁপানি ঠান্ডা লাগছে। থেমে থেমে ঘণ্টাখানেক হেঁটে গ্লেসিয়ারের নীচ অবধি গিয়ে ফিরতি পথ ধরলাম।
この記事は Bhraman の September - October 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です ? サインイン
この記事は Bhraman の September - October 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です? サインイン
আদি কৈলাসের পথে
একটা হোমস্টে। অনন্ত আকাশে কেবল দুটো চিল উড়ছে। প্রায় পনেরো হাজার ফুটে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আমায় ঘিরে রেখেছে অসীম, উদার প্রকৃতি।
ত্রিপুরার ডম্বুর দীর্ঘ জলপথ পেরিয়ে এক আশ্চর্য দ্বীপে
আকাশের চাঁদ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। অন্ধকার সর্বব্যাপী নয়, আলো আছে। আলোর কথা ভেবে আনন্দ হয়।
মারাটুয়ার জলে-জঙ্গলে
বোটচালক একবার মেঘের দিকে দেখছে, একবার জেটির দিকে! আগে আমরা জেটি ছোঁব? না, আগে বৃষ্টি আমাদের ছোঁবে ? রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় দেখতে থাকি, বোটটা যেন জলের উপর দিয়ে উড়ছে!
তপোভূমি তপোবন
দেখলে মনে হবে, গিরিশিরা ধরে হাঁটতে হাঁটতে শিবলিংয়ের মাথায় চড়া বুঝি সম্ভব। তবে, বাস্তবে শিবলিংয়ের শীর্ষারোহণ অন্যতম কঠিন অভিযান।
পালাসের বিড়ালের খোঁজে মোঙ্গোলিয়া
শহরে এসেও বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে উদার, অসীম প্রান্তরে পেয়েছিলাম এক অপার স্বাধীনতার অনুভূতি আর প্রকৃতির সঙ্গে এক প্রত্যক্ষ সংযোগের বোধ।
আন্টার্কটিকা পৃথিবীর শেষ প্রান্তে অভিযান
মাদ্রিদের হোটেলে রাত কাটিয়ে পরদিন আমস্টারডাম ঘুরে নামলাম ব্রিস্টলে।
ড্যানিশ রিভিয়েরা
আর আছে ড্যানিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া। আশেপাশে জেলেদের গ্রাম। জেলেডিঙি ছড়িয়েছিটিয়ে রাখা থাকে সমুদ্রতটেই। সোজা সোজা রাস্তা একেবারে নিরালা !
পাহাড়ি গরিলা আর শিম্পাঞ্জির খোঁজে
গাইডের আশ্বাস পেলাম, একটা না একটা নিশ্চয়ই নীচে নামবে। তাঁর কথা কিছুক্ষণ পরই সত্যি হল।
মুঘল রোডে পীর কি গলি
আমরা দেখলাম বহু স্থানীয় মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই দরগার চাতালে বসে প্রার্থনা করছেন।
কানাডার জলে জঙ্গলে
লিসা কখন নিজের হাতে এনে দিয়ে গেছেন জলের বোতল, আপেলের রস আর ওয়েফার। লাঞ্চ প্যাকেট খোলাই হয়নি। পড়েই রইল সেসব।