প্রাপ্তবয়স্কদের গলার সমস্যা

সাধারণ গলা ব্যথা ভেবে যা এড়িয়ে চলছেন, তা কোনও জটিল সমস্যার ইঙ্গিতবাহী নয় তো? রোজকার কোনও অভ্যেস গলার উপর প্রভাব ফেলছে কি? পূর্ণবয়স্কদের গলার নানা অসুখ এবং তার চিকিৎসা নিয়ে আলোচনায় কনসালট্যান্ট ইএনটি অ্যান্ড স্লিপ অ্যাপনিয়া সার্জন ডা. দীপঙ্কর দত্ত। লিখছেন সায়নী দাশশর্মা।

মরসুমের একটু বদল হতে না হতেই একগাদা সমস্যার সূত্রপাত। আজ কাশি তো কাল সোর থ্রোট... ঘরে ঘরে গলার সমস্যায় জেরবার সকলে। জেনে রাখা ভাল, বাচ্চারা যেমন ভাইরাল ইনফেকশনে কাবু হয়, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও কিন্তু সেই আশঙ্কা রয়েছে। ভাইরাল ছাড়াও অন্যান্য নানা সংক্রমণ এবং তার সঙ্গে জীবনযাত্রার নানা অভ্যাসও গলার উপর প্রভাব ফেলতে পারে অজান্তেই। সুস্থ থাকতে হলে সব দিকেই লক্ষ রাখা প্রয়োজন। এবারের আলোচনার বিষয় সেটিই। প্রাপ্তবয়স্কদের গলার বিভিন্ন সমস্যা, তার চিকিৎসা এবং ভাল থাকার সুলুকসন্ধান রইল আপনাদের জন্য...

ভাইরাস থেকে লাইফস্টাইল প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে গলার সবচেয়ে কমন সমস্যা গলা ব্যথা এবং খুশখুশে কাশি। এই মুহূর্তে অ্যাডিনোভাইরাস, রাইনোভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাসের প্রভাবে এক বিশেষ ধরনের কাশি খুব ঘন ঘন দেখা যাচ্ছে। মূল পার্থক্য একটাই, সাধারণ কাশি যেমন ৫-৭ দিনে সেরে যায়, এ ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। কোনও জটিল রোগ ভেবে ভয় পাওয়ার কারণ নেই অবশ্য। কারণ বাচ্চাদের যেমন বড়দের ক্ষেত্রে এটি ততটাও ভয়ের নয়। আসলে এই ধরনের ভাইরাসের চরিত্রই এমন যে, পুরোপুরি সুস্থ হতে অপেক্ষাকৃতভাবে বেশি সময় লাগছে। হয়তো এর নেপথ্যে করোনাভাইরাসেরও কিছুটা ভূমিকা রয়েছে। অতিমারি প্রায় সকলের ইমিউনিটির উপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সম্ভবত তার দরুণই এই ভাইরাসের প্রভাব এত বেশি পড়ছে আমাদের শরীরে। এগুলো একটাও নতুন ভাইরাস বা নতুন কোনও অসুখ নয়। বরাবরই আমাদের বাতাসে এদের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু এত দিন এদের দ্বারা আমরা এত বেশি কাবু হয়ে পড়িনি। ঘরে ঘরে এখন যে গলা ব্যথা এবং কাশি দেখা যাচ্ছে, তার অন্যতম কারণ এই সব ভাইরাস। সকলেরই কমবেশি সপ্তাহ তিন-চারেক মতো সময়