চন্দ্রাভিযান ও কিছু প্রশ্ন

প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পদার্পণ করল চন্দ্রযান-৩, এই ঐতিহাসিক সাফল্যের প্রেক্ষিত ও প্রতিক্রিয়া থেকে উঠে আসছে কিছু প্রশ্ন। সেই সম্পর্কে আলোচনায় শুভজিৎ নন্দী

ি নটা ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯। স্থান ইসরো কন্ট্রোল রুম। উপস্থিত সকলের চোখ আটকে রয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিনে। সকলেরই মুখে উদ্বেগের ছায়া। বাইরে সমস্ত ভারতবাসী, আনন্দ-উৎসব পালনের জন্য অপেক্ষারত। তখন চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২.১ কিমি উপরে রয়েছে চন্দ্রযান-২। হঠাৎ, সকলেরই মুখের অভিব্যক্তির বদল হল। চন্দ্রযানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে ততক্ষণে। ইসরো-প্রধান কে শিভন কাঁপা গলায় জানালেন সে কথা। সাংবাদিক বৈঠকের শেষে ভেঙে পড়লেন কান্নায়, প্রধানমন্ত্রীর সান্ত্বনা ও আশ্বাসে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করছেন। এই দৃশ্য আমরা ভুলিনি। এরপর, সময় এগিয়েছে। ইসরো-র বিজ্ঞানীরা কী ভাবে সেই ব্যর্থতার মোকাবিলা করেছিলেন, জানি না। পরবর্তী সময়পর্বে সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে কিছু বিক্ষিপ্ত হেডলাইন, পুনরায় তোড়জোড় চলছে চাঁদে পাড়ি দেওয়ার জন্য। অবশেষে ১৪ জুলাই, শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধওয়ন মহাকাশ কেন্দ্র থেকে এলভিএম রকেটে (বাহুবলী) চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল চন্দ্রযান-৩।