চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি ছেড়ে ফ্যাশনে আসা একদম ঠিক সিদ্ধান্ত ছিল

আতিশয্য আর জাঁকজমকে মোড়া তাঁর ফ্যাশন কালেকশন। মনের দিক থেকেও নিজেকে রাজা ভাবেন ডিজ়াইনার জে জে ভালায়া। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন মধুরিমা সিংহ রায়।

- মধুরিমা সিংহ রায়।

আপনার কালেকশন মানেই তা জাঁকজমক, বাহুল্য আর আতিশয্যে ঠাসা। ফ্যাশন-দর্শনের নেপথ্যে কোন ভাবনা কাজ করে? ৩৩ বছর হয়ে গেল ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে। যে পাঁচ-ছ'জন হাতেগোনা ডিজ়াইনার ভারতে ‘ফ্যাশন'-এর সূচনা করেছিলেন, আমি তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলাম। এটা ভেবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়। এই লম্বা সময়ে কীভাবে নিজে গ্রো করেছি, কীভাবে আমার ব্র্যান্ড ইভলভ করেছে, সেই গল্প অভূতপূর্ব! তবে একটা কথা বলতে পারি, তিন দশক কাটিয়ে দেওয়ার পরেও ‘এতকিছু পেয়েছি’ ভেবে বিশ্রাম নেওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই আমার। অনেক কিছু অ্যাচিভ করা বাকি এখনও। আপনি যা ভালবাসেন, তার উপর ভরসা রেখে এগোতে হবে। এটা প্রথম থেকেই ভেবে নিয়েছিলাম। আর প্রথম থেকেই নিশ্চিত ছিলাম যে লাগজ়ারি পোশাক নিয়েই কাজ করব। আই ডোন্ট ডু ক্যাজুয়াল ক্লোদস। আমি পারবও না হয়তো। কিন্তু বিয়ে বা বিশেষ অকেশনে সাজগোজ করতে চাইলে, দেয়ার ইজ্ নোবডি বেটার দ্যান আস। এটা আমি বরাবর বিশ্বাস করে এসেছি। আমার কাছে লাগজারির দৃষ্টিভঙ্গি ‘টাইমলেসনেস' বা চিরন্তন আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে। তবে এখন আমি চাইছি যাতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ আমার পোশাক পরতে পারেন। কয়েক সিজ়ন আগে 'জে জে কাপুরথলা' লঞ্চ করি। ইট'স মোর অ্যাকসেসিবল লাইন। অকেশন ওয়্যার হলেও এগুলো পরে বিয়ে করতে পারবেন না। দাম ৫০ হাজারের নীচে।