দিদি বাড়ি ফেরেনি। কোনও কোনও দিন বাড়ি ফিরতে তার রাত হয়। তবে এত দেরি হয় না। কেন হচ্ছে? তার উপর আজকের রাতটা বিশ্রী। ‘ঝুপ্ ঝুপ্...ঝুপ্ ঝুপ্...' করে নাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছে। সেই বিকেল থেকে শুরু, থামার লক্ষণ নেই। না জোরে, না আস্তে। এই বৃষ্টিকে বলে ঘ্যানঘেনে বৃষ্টি। এ রকম বৃষ্টি হলে মনে হয়, ‘কোনোদিন থামিবে না আর'। তখন বৃষ্টির মধ্যেই আমাদের বাকি জীবনটা কাটাতে হবে। সেটা হবে স্যাঁতসেঁতে একটা জীবন ।
আমার ভাল নাম মধুমাধবী। মধুমাধবী চট্টোপাধ্যায় । সুন্দর না? আমাদের চার বোনের নামই সুন্দর। রাগের নামে নাম। আশাবরী, মধুমাধবী, বাগেশ্রী আর শাবেরি। মায়ের দেওয়া। মা এক সময় গান-বাজনা করত। বিয়ের পর সব গোল্লায় গিয়েছে। এখন আর গুনগুনও করে না। অভাবের সংসার রাগ-রাগিণী বোঝে না, ডালভাত বোঝে। ডাল-ভাতে রাগ-রাগিণী নেই বলে মা মেয়েদের নামে খানিকটা সাধ মিটিয়েছে। তবে নাম যত বেড়েছে, সংসারের খরচও তত বেড়েছে। 'হেড' বাড়লে অভাব তো বাড়বেই। দরিদ্র বাড়িতে ‘হেড' বলে কিছু হয় না, সবটাই ‘পেট’।
কঙ্কা চোখে মুখে হাসি এনে বলে, “আমাদের নাম দেওয়ার দায়িত্ব যদি আমাদের বদরাগী বাবা পেত, তা হলেও আমরা রাগের নাম পেতাম। তবে সেটা গান-বাজনার রাগ হত না।” আমি বললাম, “কী রকম হত?” কঙ্কা বলল, “বাবা সব নিজের রাগের নামে মেয়েদের নাম রাখত। দিদির নাম দিত মাথাগরম, তোর নাম দিত দাঁত খিঁচুনি, ছোড়দির নাম দিত ধমক, আমার নাম দিত এক চড়!” আমরা হেসে উঠি। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট হলে কী হবে, কঙ্কা মজার কথায় ওস্তাদ। এই বয়সেই খুব রসবোধ। শুনেছি, মায়েরও নাকি এমন ছিল। ‘সংসার' নামের মাড়াই যন্ত্রটি সব রস নিংড়ে দিয়েছে। এখন শুধু আখের ছিবড়ে। আমি প্রায়ই প্ৰাৰ্থনা করি, কঙ্কার যেন এমন না হয়। সে যেন গোটা জীবন হাসতে পারে। ছোটবেলা থেকে আমরা আমাদের নামের গুণগান শুনে আসছি। পাড়ায়, স্কুলে, নেমন্তন্ন বাড়িতে সকলে বলত, “বাহ, কেমন চমৎকার নাম তোমাদের! কে দিয়েছে?” আমরা গর্ব করে বলতাম, “মা দিয়েছে।” “বাহ, তিনি এত রাগের নাম জানেন!” আমরা বলতাম, “ও মা, জানবে না কেন? মা তো এক সময় গানবাজনা করত। কত ফাংশনে গেয়েছে। স্কুলে গেয়ে একবার মেডেলও পেয়েছিল। সে গানের কথাও আমরা জানি। কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া।”
この記事は SANANDA の June 30, 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です ? サインイン
この記事は SANANDA の June 30, 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です? サインイン
"একটা গুলি এখনও শিরদাঁড়ায় আছে
শরীরে ন'টি গুলি। দু'বছর হাসপাতালের বিছানায়। তাঁর পরেও ঝুলিতে প্যারালিম্পিকসের সোনা। তিনি মুরলীকান্ত পেটকর। ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন' তাঁর জীবনের ভিত্তিতেই তৈরি। কথা বললেন মধুরিমা সিংহ রায়।
দিদি এখনও বাড়ি ফেরেনি
কোন সাহসে... আজ আসুক, আসুক একবার, ওই মেয়ের হবে...” যদিও বৃষ্টিতে ভিজলে চোখের জল আলাদা করা যায় না, তা-ও আমি বাবার দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছি।
মৃৎশিল্পের কথকতা
মুর্শিদাবাদ জেলায় ভাগীরথীর পশ্চিম পারে অবস্থিত এক গ্রাম। নাম, কাঁঠালিয়া । রাজা শশাঙ্কর রাজধানী কর্ণসুবর্ণর দক্ষিণে এই গ্রামে মাটি দিয়ে রোজ জন্ম নেয় কত গল্প! সাক্ষী মহেশ্বর মণ্ডল ও পৃথা বসু।
ফ্যাশন ফ্রেম ১
হেয়ার স্টাইলিংয়ে বিডেড ব্যান্ডানায় স্টাইলিশ আধুনিক সাজ। গয়না: করিশ্মাজ় গোলপার্ক
এস্থেটিক গাইনিকলজি: কী ও কেন?
সৌন্দর্যায়নের নানা সমস্যার সমাধান করা যায় গাইনিকলজির নতুন ধারা ‘এস্থেটিক গাইনিকলজি'র মাধ্যমে। বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট গাইনিকলজিস্ট ডা. সেবন্তী গোস্বামী।
প্রসঙ্গ বোন হেলথ
বয়স বৃদ্ধি ও হাড়ের সমস্যা যেন সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রাত্যাহিক জীবনযাত্রায়। বিশদে জানাচ্ছেন অর্থোস্কোপিক স্পেশ্যালিস্ট ও রোবটিক জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জন ডা. বিকাশ কপূর এবং মেডিক্যাল ডিরেক্টর ও বিশিষ্ট অর্থোপেডিক ডা. অভিরূপ মৌলিক। লিখছেন অনিকেত গুহ
অস্টিয়োপোরোসিস ও সুস্থতা
অস্টিয়োপোরোসিসের কারণ, উপসর্গ ও প্রতিকার বিষয়ে কথা বললেন কলকাতার নামী হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের প্রধান ডা. রাকেশ রাজপুত। লিখছেন দেবলীনা অধিকারী।
সমস্যা যখন অস্টিয়োআথ্রাইটিস
অস্থিসন্ধিতে ব্যথার সমস্যায় ভোগেন বহু মহিলাই। সমাধান কী? অস্টিয়োআথ্রাইটিস নিয়ে আলোচনায় কনসালট্যান্ট অর্থোপেডিক ডা. সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়। জেনে নিলেন উপমা মুখোপাধ্যায়।
অস্থি-সমস্যার নানা কারণ
নানা ধরনের সমস্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে হাড়। সে সব সমস্যার কথা খোলসা করলেন বিশেষজ্ঞরা। শুনলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
রোবটিক্স, এআই ও হাড়ের সার্জারি
চিকিৎসা ব্যবস্থা আধুনিক থেকে আধুনিকতর হয়ে উঠছে। রিপ্লেসমেন্ট বা ফ্র্যাকচারের অস্ত্রোপচারে সাহায্য করছে হিউম্যানয়েড রোবটিক্স ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। জানাচ্ছেন সিনিয়র কনসালট্যান্ট, অর্থোপেডিক্স অ্যান্ড ট্রমাটোলজি ডা. নিখিলেশ দাস। লিখছেন মধুরিমা সিংহ রায়।