পুজোর মন ভাল নেই...

প্রতিবাদের শহরে পুজো আসছে। দেবী আরাধনায় উৎসবের মেজাজ কি এবার আদৌ ফিকে? কেমন চলছে বড় পুজোগুলোর প্রস্তুতি? খোঁজ নিল ‘সানন্দা”।

সেপ্টেম্বর মাসের অর্ধেকটা পেরিয়ে গেল। অন্যান্য বছর এই সময়ে চারপাশের ব্যস্ততা জানান দেয় যে, পুজোর আর হাতেগোনা কয়েকটা দিন বাকি। এ বারে ছবিটা আলাদা। অনেকে বলবেন, প্রতিবাদের শহরেও তো পুজোর প্রস্তুতি চলছে। বড় বড় ক্লাবগুলো প্যান্ডেল গড়তে ব্যস্ত, কুমোরটুলি ব্যস্ত প্রতিমার অর্ডারে শেষ মুহূর্তের ফিনিশিং টাচে। আবার গড়িয়াহাট-হাতিবাগানের ব্যবসায়ীরাও হয়তো ব্যস্ত ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে। এত কিছু থাকলেও, এ বারে যেন অনেক কিছুই নেই! এ কথা ঠিক যে, বড় পুজোগুলির প্রস্তুতি প্রায় এক বছর আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়। মৃৎশিল্পীদের কাছে প্রতিমার বায়নাও জমা পড়তে থাকে অনেক মাস আগে থেকেই। সেগুলি যেমন ছিল, তেমনই আছে। কিন্তু এর পাশাপাশি শহর কলকাতা এ সময়টা মুখ ঢাকে বিজ্ঞাপনে। বড় বড় হোর্ডিংয়ে ছেয়ে যায় উত্তর থেকে দক্ষিণ। এ বারে সেই বিজ্ঞাপন তো প্রায় সেভাবে চোখেই পড়ছে না এখনও! জানা যাচ্ছে, বড় বড় ব্র্যান্ডগুলি পুজোর ক্যাম্পেনও কমিয়ে দিয়েছে অনেকগুণ। বন্ধ সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারও। স্থানীয় বাজারগুলোতে মানুষ কেনাকাটার জন্য ভিড় করছেন ঠিকই, তবে তা-ও বেশ কম। বড় পুজোর পাশাপাশি ছোট-মাঝারি বেশ কিছু পুজো সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার রাজডাঙার একটি ক্লাবের পুজোর পক্ষ থেকে প্রতিনিধি বললেন, “ক্লাবের তরফে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এ বারে আমরা অনুদান নেব না। এটি আমাদের সকলের সিদ্ধান্ত।” এমন অসংখ্য পুজো কমিটি আচার মেনে পুজো করলেও জাঁকজমক করতে চাইছেন না। অ্যাপার্টমেন্ট বা কমপ্লেক্সের পুজোগুলির অনেকগুলিই এ বার বিরত থাকছে আড়ম্বর থেকে। সব মিলিয়ে একটা বিষয় স্পষ্ট, প্রতিবাদের শহরে পুজো হবে। কিন্তু জৌলুস এ বার ফিকেই.....